কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা, জ্ঞান, বাণী ও সুরের দেবী সরস্বতী। প্রতি বছর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি বাড়ি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গত ৪ বছর ধরে কোটালীপাড়া উপজেলায় এ পূজার ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের শ্রী শ্রী রাধাগবিন্দ ও গনেশ পাগল সেবাশ্রম চত্বরে ৬৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমায় সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়।
আজ বুধবার ধর্মীয় উৎসবের পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন শত শত ভক্তবৃন্দ। ঢাক, ঢোল, কাশির বাদ্য ও উলুধ্বনিতে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। আয়োজকদের দাবি, এটিই এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমায় সরস্বতী পূজা। এই পূজার প্রতিমাটি তৈরি করেছেন পাল শ্রীবাস গাইন।
এদিকে পূজা দেখার জন্য আমবাড়ী গ্রামের আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন লোক এসে জড়ো হয়েছে পূজাস্থলে। এ ছাড়াও বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, ফরিদপুর, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আত্মীয় এসেছে এ গ্রামে পূজা দেখার জন্য। এই পূজাকে কেন্দ্র করে বসেছে ৩ দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা। আয়োজন করা হয়েছে ধর্মীয় যাত্রাপালা ও কবি গানের।
পাল শ্রীবাস গাইন বলেন, ‘আমি আমার ৮ জন সহকারীকে নিয়ে এক মাস ধরে এ প্রতিমাটি নির্মাণ করেছি। আমি এর আগেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের প্রতিমা তৈরি করেছি। এ ধরনের প্রতিমা তৈরি করতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে থাকি। কিন্তু এটা আমার গ্রামের পূজা। আমাকে আয়োজকেরা যা দেবে আমি তাতেই খুশি। তবে এর আগে গত বছর এই স্থানে ৬০ ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করেছিলাম। এ বছর ৬৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করেছি।’
পুরোহিত অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০ বছর ধরে পূজা করি। কিন্তু এত বড় প্রতিমায় কোনো দিন পূজা করিনি। আমার আজকে অনেক স্থানে পূজা করার কথা ছিল, কিন্তু সব বাদ দিয়ে এখানে পূজা করতে এসেছি। এত বড় প্রতিমায় পূজা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
পূজা কমিটির সভাপতি সুনীল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা এলাকার যুবকেরা মিলে এই পূজার আয়োজন করেছি। গত বছর ৬০ ফুট উচ্চতার প্রতিমায় সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছিলাম। এ বছর ৬৫ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমায় পূজার আয়োজন করেছি। পূজায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হবে। আমরা এ ধরনের পূজার আয়োজন করতে পেরে খুবই আনন্দিত।’
পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্রনাথ গাইন বলেন, ‘এ পূজা দেখার জন্য বাগেরহাট জেলা থেকে আমাদের বাড়িতে অনেক আত্মীয় এসেছে। এদের নিয়ে সবাই আনন্দ ফুর্তির মধ্যে দিয়ে পূজা উদ্যাপন করছি। আগামীতেও এ পূজা চালিয়ে যাব।’
প্রশান্ত অধিকারী বলেন, ৫ বছর আগে এই আমবাড়িতে ৩৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমা দিয়ে বড় পরিসরে এখানে সরস্বতী পূজা শুরু হয়েছিল। এ বছর ৬৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমা দিয়ে পূজা হচ্ছে। আমার জানা মতে এটিই এ উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিমায় সরস্বতী পূজা।
বরিশাল থেকে আগত সুধীর মধু বলেন, ‘আমি আমবাড়ী গ্রামের জামাই। যখন জানতে পারলাম ৬৫ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমায় পূজা হবে তখন এই পূজা দেখার জন্য সস্ত্রীক সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে আসলাম। আমার জীবনে এত বড় সরস্বতী প্রতিমা দেখেনি।’
কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান তুষার মধু বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে এত বড় সরস্বতী পূজা হচ্ছে শুনে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। আগামীতে যাতে এই পূজা আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য আমার পরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজকদের সার্বিক সহযোগিতা করব।’
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আমরা হিন্দু মুসলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করি। আমার জানামতে এ উপজেলায় এ বছর ছোট বড় প্রায় সহস্রাধিক সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পূজার আনন্দ আমরা কোটালীপাড়াবাসী ভাগ করে নিই।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা, জ্ঞান, বাণী ও সুরের দেবী সরস্বতী। প্রতি বছর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি বাড়ি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গত ৪ বছর ধরে কোটালীপাড়া উপজেলায় এ পূজার ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের শ্রী শ্রী রাধাগবিন্দ ও গনেশ পাগল সেবাশ্রম চত্বরে ৬৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমায় সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়।
আজ বুধবার ধর্মীয় উৎসবের পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন শত শত ভক্তবৃন্দ। ঢাক, ঢোল, কাশির বাদ্য ও উলুধ্বনিতে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। আয়োজকদের দাবি, এটিই এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমায় সরস্বতী পূজা। এই পূজার প্রতিমাটি তৈরি করেছেন পাল শ্রীবাস গাইন।
এদিকে পূজা দেখার জন্য আমবাড়ী গ্রামের আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন লোক এসে জড়ো হয়েছে পূজাস্থলে। এ ছাড়াও বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, ফরিদপুর, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আত্মীয় এসেছে এ গ্রামে পূজা দেখার জন্য। এই পূজাকে কেন্দ্র করে বসেছে ৩ দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা। আয়োজন করা হয়েছে ধর্মীয় যাত্রাপালা ও কবি গানের।
পাল শ্রীবাস গাইন বলেন, ‘আমি আমার ৮ জন সহকারীকে নিয়ে এক মাস ধরে এ প্রতিমাটি নির্মাণ করেছি। আমি এর আগেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের প্রতিমা তৈরি করেছি। এ ধরনের প্রতিমা তৈরি করতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে থাকি। কিন্তু এটা আমার গ্রামের পূজা। আমাকে আয়োজকেরা যা দেবে আমি তাতেই খুশি। তবে এর আগে গত বছর এই স্থানে ৬০ ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করেছিলাম। এ বছর ৬৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করেছি।’
পুরোহিত অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০ বছর ধরে পূজা করি। কিন্তু এত বড় প্রতিমায় কোনো দিন পূজা করিনি। আমার আজকে অনেক স্থানে পূজা করার কথা ছিল, কিন্তু সব বাদ দিয়ে এখানে পূজা করতে এসেছি। এত বড় প্রতিমায় পূজা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
পূজা কমিটির সভাপতি সুনীল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা এলাকার যুবকেরা মিলে এই পূজার আয়োজন করেছি। গত বছর ৬০ ফুট উচ্চতার প্রতিমায় সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছিলাম। এ বছর ৬৫ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমায় পূজার আয়োজন করেছি। পূজায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হবে। আমরা এ ধরনের পূজার আয়োজন করতে পেরে খুবই আনন্দিত।’
পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্রনাথ গাইন বলেন, ‘এ পূজা দেখার জন্য বাগেরহাট জেলা থেকে আমাদের বাড়িতে অনেক আত্মীয় এসেছে। এদের নিয়ে সবাই আনন্দ ফুর্তির মধ্যে দিয়ে পূজা উদ্যাপন করছি। আগামীতেও এ পূজা চালিয়ে যাব।’
প্রশান্ত অধিকারী বলেন, ৫ বছর আগে এই আমবাড়িতে ৩৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমা দিয়ে বড় পরিসরে এখানে সরস্বতী পূজা শুরু হয়েছিল। এ বছর ৬৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমা দিয়ে পূজা হচ্ছে। আমার জানা মতে এটিই এ উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিমায় সরস্বতী পূজা।
বরিশাল থেকে আগত সুধীর মধু বলেন, ‘আমি আমবাড়ী গ্রামের জামাই। যখন জানতে পারলাম ৬৫ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমায় পূজা হবে তখন এই পূজা দেখার জন্য সস্ত্রীক সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে আসলাম। আমার জীবনে এত বড় সরস্বতী প্রতিমা দেখেনি।’
কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান তুষার মধু বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে এত বড় সরস্বতী পূজা হচ্ছে শুনে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। আগামীতে যাতে এই পূজা আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য আমার পরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজকদের সার্বিক সহযোগিতা করব।’
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আমরা হিন্দু মুসলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করি। আমার জানামতে এ উপজেলায় এ বছর ছোট বড় প্রায় সহস্রাধিক সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পূজার আনন্দ আমরা কোটালীপাড়াবাসী ভাগ করে নিই।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৩ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৩ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৪ ঘণ্টা আগে