Ajker Patrika

সাভারের শিল্পাঞ্চলে ঈদের ছুটি, বাইপাইলে ঘরমুখী জনস্রোত

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩, ১৬: ৫০
সাভারের শিল্পাঞ্চলে ঈদের ছুটি, বাইপাইলে ঘরমুখী জনস্রোত

শিল্পাঞ্চল সাভারের অধিকাংশ কারখানা ছুটি হয়ে যাওয়ায় ঈদযাত্রায় শুরু হয়েছে ভোগান্তি। সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে জনস্রোত সামাল দিতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। যাত্রীর তুলনায় গাড়ি কম থাকায় বাড়ছে ভিড়, আর হঠাৎ হওয়া বৃষ্টিতে বাড়ছে ভোগান্তি।

আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলামুখী সড়কে যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতেই বাইপাইল তিনমাথা এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বিশাল জনস্রোত।

স্থানীয়রা বলছেন, শিল্পাঞ্চল সাভারের বেশির ভাগ কারখানা মঙ্গলবার ছুটি হয়েছে। এ কারণেই বাড়তে শুরু করেছে মানুষের চাপ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাইপাইল থেকে উত্তরাঞ্চলমুখী সড়কে যাত্রীবাহী বাস থাকলেও তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি যাত্রী অপেক্ষা করছে। পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে ঘরমুখী মানুষ বেছে নিচ্ছেন ফিরতি খালি গরুর ট্রাক।

ভোর থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আমিনবাজার হয়ে পাটুরিয়ামুখী গাড়িগুলো দুপুর পর্যন্ত কোনো যানজটের দেখা পায়নি। দুপুর থেকে হেমায়েতপুর, সাভারের পৌরসভা বাসস্ট্যান্ড থেকে সাভার স্ট্যান্ড ও নবীনগর স্ট্যান্ডে অল্প অল্প যানজটের সৃষ্টি হতে থাকে।

বেলা ৩টায় বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর থেকে জামগড়া হয়ে বাইপাইল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ির দীর্ঘ যানজট চোখে পড়ে। ঢাকা থেকে বের হওয়ার লেনের চাইতে ঢাকামুখী লেনগুলোতে অতিরিক্ত গাড়ির যানজট চোখে পড়ে। ঢাকামুখী সড়কে নবীনগর থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ডিইপিজেড-বাইপাইল পর্যন্ত যানজট ছিল।

শিল্পাঞ্চল সাভারের অধিকাংশ কারখানা ছুটি হয়ে যাওয়ায় ঈদযাত্রায় শুরু হয়েছে ভোগান্তিট্রাকে চড়ে বাড়ি যাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে একবার বাসে ওঠার চেষ্টা করেছিলাম। ৪০০ টাকার ভাড়া এখন ৮০০। পরে ফিরে গিয়েছিলাম বাসায়। আজ সকাল থেকে আবার চেষ্টা শুরু করি। বাসে ভাড়া কেউ কেউ আরও বেশি চায়। বাধ্য হয়ে এই ট্রাকেই উঠেছি।’ 

এদিকে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ সামলে যানজট কমাতে ভোর থেকেই কাজ করছে ঢাকা জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে তিনি নিজেও যানজট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের টিম দিনরাত কাজ করে চলেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা বেশ কিছু স্পটে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করছেন। এ ছাড়া সাভার মডেল, আশুলিয়া থানা ও ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ তো আছেই। তারাও যানজট নিরসনে কাজ করে চলেছে।’

এসপি আরও বলেন, ‘গাড়িগুলো কিন্তু দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে নেই। কারও জন্য জ্যামের সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মোবাইল টিম অ্যাকশন নিচ্ছে। আমরা চাই যাত্রীরা দ্রুত বাসে উঠে গন্তব্যে রওনা করুক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নাজমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করায় বিদ্যালয়ে যান না। কিন্তু বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হচ্ছে নিয়মিত। এতে বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও মিলছে তাঁর। তবে নাজমা আক্তারের হয়ে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। খাতায় নাজমা আক্তারের স্বাক্ষর করছেন হেপি। এমন ঘটনা নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধনু নদের তীরঘেঁষা নূরারীপুর গ্রামে ২০১৮ সালে স্থাপিত হয় রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৪ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত তিনি। বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন নাজমা আক্তার। সঙ্গে নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে নাজমা আক্তার ঢাকায় বসবাস করেন। তবে স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষক’। ওই শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের হয়ে পাঠদানসহ শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। আর এই কাজে সাহায্য করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে নাজমা আক্তার ঢাকায় থাকেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

গত ২৮ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে দুজন উপস্থিত। আর অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার বিদ্যালয়ে হাজির না থাকলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় তিনি উপস্থিত রয়েছেন। জানতে চাইলে স্নাতকপড়ুয়া শিক্ষার্থী হেপি আক্তার বলেন, ‘নাজমা ম্যাডাম ঢাকায় আছেন। এ জন্য কয়েক মাস তাঁর ক্লাস আমি নিচ্ছি। ম্যাডাম বলাতে তাঁর শিক্ষক হাজিরা খাতায় আমি “নাজমা” লিখে স্বাক্ষর করছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’

প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার বলেন, ‘নাজমা আক্তার আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। আমি ভয়ে শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাইনি।’

অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে ঢাকায় আছি। হেপি আক্তারকে দিয়ে আমার শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানো ঠিক হয়নি।’

খালিয়াজুরী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবু রায়হান বলেন, ‘নাজমা আক্তার নামের এক শিক্ষক ঢাকায় আছেন। বিদ্যালয়ে না এসেও অন্যজনকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করাচ্ছেন বলে শুনেছি। এটি নিয়মবহির্ভূত। নাজমা আক্তারসহ বিদ্যালয়ের যারা এই কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার জন্য সুপারিশ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রিপোন মাখাল (৩৫) নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে পাইকগাছা থানার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের সামনের একটি ডোবা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তবে সেখানে তখন পানি ছিল না।

উদ্ধারের পর পুলিশ রিপোনকে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রিপোন মাখাল পৌর সদরের খ্রিষ্টানপাড়ার বাসিন্দা মিখায়েল মাখালের ছেলে।

যুবকের বাবা মিখায়েল মাখাল বলেন, ‘আমাদের ভাইদের মধ্যে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। তখন আমার ছেলেকে আমার ভাই ও ভাইপোরা বসতঘরে মারধর করে। তখন আমার ছেলে রিপোন ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমি গিয়ে ছেলেকে থানা থেকে নিয়ে আসি।’

ছেলেকে পুনরায় মারধর করা হতে পারে আশঙ্কায় তিনি রিপোনকে অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। এর পর থেকে ছেলে ঠিকমতো বাড়িতে যেত না। মিখায়েল মাখালের ভাষ্য অনুযায়ী, পারিবারিক বিরোধের জেরে এই কাজ করা হতে পারে।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নিরাপদ মন্ডল জানান, পুলিশ রিপোন নামের এক যুবককে রোববার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫২
ঢাকার যানজট নিরসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার। ফাইল ছবি
ঢাকার যানজট নিরসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার। ফাইল ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও গোষ্ঠী দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে একযোগে কর্মসূচি শুরু করায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। যার প্রভাবে কোথাও কোথাও ব্যাপক জনভোগান্তি ও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এই জনভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমপিওভুক্তির দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তকরণ, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এমপিওভুক্তকরণের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে বেশ কয়েকটি সংগঠন অবস্থান করছে। এ ছাড়া চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নন-ক্যাডারে নিয়োগ প্রদানের জন্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলছে। যার ফলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।

ডিএমপি আরও জানায়, শত বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে যানজট বৃদ্ধির ফলে যে জনভোগান্তি তৈরি হয়েছে, সে জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যমুনার টাটকা মাছের ‘গোলাম হোটেল’: দেশি স্বাদের খোঁজে ভিড় দূর-দূরান্তের অতিথির

আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ
কর্মচারীদের সঙ্গে হোটেলের মালিক গোলাম সরকার নিজেও কাজ করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মচারীদের সঙ্গে হোটেলের মালিক গোলাম সরকার নিজেও কাজ করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘড়ির কাঁটায় বেলা ১১টা ৫ মিনিট। রোদে ঝিলমিল করছে যমুনার পানি। পাড় ঘেঁষে কয়েক মিনিট হাঁটতেই চোখে পড়ে টিনের বড় একটি ঘর, সেখানে চলছে গোলাম হোটেল। ভেতরে ঢোকার আগেই ধোঁয়া আর মসলার গন্ধ নাকে এসে লাগে। কড়াইয়ে ফুটছে গরুর ঝোল, পাশে কেউ পেঁয়াজ কাটছেন, আবার কেউ মরিচ-আদাবাটা নিয়ে ব্যস্ত।

মাঝবয়সী এক ব্যক্তি সাদা ছোট দাড়ি আর মুখভরা হাসি নিয়ে কাটছেন টাটকা যমুনার মাছ। তিনি গোলাম সরকার, এই হোটেলের মালিক। তিনি একসময় শাহজাদপুরের একটি খাবারের হোটেলে কর্মচারী ছিলেন। এখন নিজেই হোটেল দিয়েছেন। অন্যের হয়ে কাজ করা মানুষটি এখন কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন ২৫ জনকে। তবু তিনি বসে থাকেন না; অন্যদের সঙ্গে হাত লাগিয়ে রান্না ও পরিবেশনের কাজও করেন।

গোলাম সরকারের বাড়ি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের গোপীনাথপুরে। তিনি বলেন, ‘দুই যুগের বেশি সময় ধরে হোটেলটা চালাচ্ছি। শুরুটা হয়েছিল যমুনার মাছ দিয়ে। এখন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শুধু এই মাছ খেতে।’

হোটেলটির অবস্থানও বেশ জমজমাট স্থানে। দক্ষিণে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, পাশে বিশ্ববিদ্যালয় আর সামনে এগোতেই চোখে পড়ে যমুনা নদীর ঢেউ।

শুক্রবার দোকানে ঢুকতেই চোখে পড়ে পাবদা, চিংড়ি, বোয়াল, বাঘাইর, বাইম, গোচি, বাশপাতারি—সবই যমুনার তাজা মাছ। প্রতিদিন বাজার থেকে কিনে আনা হয়, রান্না হয় দুপুরে ভোজের জন্য।

দুপুর গড়াতেই হোটেলটি মানুষে ভরে যায়। কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ আবার অপেক্ষায়। একটা সিটও খালি নেই। ঢাকা, টাঙ্গাইল, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন অতিথিরা শুধু একবেলা দেশি স্বাদ নেওয়ার জন্য।

দুপুর গড়াতেই হোটেলটি মানুষে ভরে যায়। কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ আবার অপেক্ষায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুপুর গড়াতেই হোটেলটি মানুষে ভরে যায়। কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ আবার অপেক্ষায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা থেকে আসা মাহফুজ ও নুর বললেন, ‘শুধু গোলামের হোটেলের মাছ খাওয়ার জন্যই এসেছি। এমন টাটকা স্বাদ এখন আর কোথাও পাওয়া যায় না।’

গোলাম সরকার বলেন, ‘শুরুটা ছিল কষ্টের। অন্যের দোকানে কাজ করতাম। তারপর ছোট করে নিজের দোকান দিই। প্রথম দিকে মানুষ কম আসত, ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে যায়।’

এখন প্রতিদিন প্রায় ৯০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়। সঙ্গে মুরগি, চিংড়ি, আইড় মাছ, বোয়াল, বাইম সবই দেদার বিক্রি চলে। দাম জানতে চাইলে তিনি জানান, মুরগি ১২০, চিংড়ি ১৫০, আইড় মাছ ২০০, বাঘাইর ৩০০, বাইম ২০০, বোয়াল ২০০ টাকা প্রতি বাটি। মাছের মুড়িঘণ্ট ১০০ টাকা করে।

গোলাম বলেন, ‘প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকার খাবার বিক্রি হয়। ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়াসহ সব জায়গা থেকে মানুষ আসেন। তাঁদের মুখে হাসি দেখলে মনে হয় পরিশ্রম সার্থক।’

যমুনার হাওয়ায় মিশে যায় মাছের ঝোলের গন্ধ। নদীর ওপারে সূর্য ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ছে, গোলামের হোটেলে তখনো ভিড় দেখা যায়। এই স্বাদ, এই গল্প একবার যার মনে ছোঁয়া দেয়; সে আর ভুলতে পারে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত