মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মনোহরদী উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হয়েছে। যা জেলার কলা উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। যার মধ্যে অধিকাংশই চাপা কলা। ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই কম বেশি কলার চাষ হয়। তবে দৌলতপুর, লেবুতলা, শুকুন্দী, চালাকচর, চরমান্দালিয়া ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে কলার চাষ বেশি হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তৃত জমি জুড়ে কলার বাগান। পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানের মালিক-শ্রমিকেরা। চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতেও অসংখ্য বাগান রয়েছে। অন্যের জমি বর্গা নিয়েও অনেকে কলা বাগান করছেন। আবার অনেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে কলা বাগান করছেন।
এ বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় কলা চাষে। ফলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলা চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উপজেলায় চিনিচাম্পা, চাপা, অমৃত সাগর ও গেরাসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের কলাগাছ থেকে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলার দামও বেশি।
সাধারণত বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সেসব জমিতে কলা চাষ ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে জাত ভেদে সাড়ে ৩ শত থেকে ৪ শত কলার চারা রোপণ করা হয়ে থাকে। যত্ন সহকারে কলা চাষ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।
এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও প্রতি বিঘা জমি থেকে কলা বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব নয়। তা ছাড়া কলা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শুকুন্দী ইউনিয়নের চরনারান্দী গ্রামের কৃষক হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর আগে দুই বিঘা জমিতে কলা চাষ শুরু করি। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই বাগান বৃদ্ধি হচ্ছে। এ বছর ৯ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছি।'
কী কী কলার চাষ করেছেন এবং লাভ কী রকম হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ৬ বিঘায় সাগর কলার চাষ করেছি। আর বাকি ৩ বিঘায় চাপা কলা, সবরি কলা ও গেরা কলার চাষ করা হয়েছে। আশা করা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়লে খরচ বাদে এক বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে।'
কৃষক হুমায়ূন কবির আরও বলেন, 'কলার প্রকারভেদে ২২-২৫ হাজার টাকা দরে প্রতি একশ কলার কাঁদি বিক্রি হচ্ছে। কলার কাঁদি আগাম পাইকারদের কাছে বিক্রিও করা যায়। এটি কৃষকদের বাড়তি সুবিধা।'
লেবুতলা ভূঁইয়ার বাজার এলাকার কাউছার নামে এক কৃষক বলেন, 'দেড় বিঘা কলার জমি রয়েছে। প্রতি বছর এই জমি থেকে আমি এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারি।'
প্রতি বিঘায় কী পরিমাণ খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ লাগে। গড়ে এক বিঘা জমিতে ৭০-৭৫ হাজার টাকার কলা বিক্রি করা যায়। খরচ বাদে লাভ থাকে বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ হাজার টাকা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝে মধ্যে লোকসানও গুনতে হয়। তবে দেশব্যাপী কলার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে এ এলাকার কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন।'
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, 'মনোহরদী উপজেলার মাটি কলা উৎপাদনের জন্য অনেক উপযোগী। এ অঞ্চলের কলা দেশ বিখ্যাত। যাতে এ অঞ্চলে কলার আবাদ বৃদ্ধি পায় সে জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে উপজেলা কৃষি অফিস।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'উপজেলায় দিন দিন কলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা কলা চাষ করছেন। কলা চাষে কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।'
সাগর কলা উৎপাদনের জন্য নরসিংদীর মনোহরদীর মাটি উপযোগী। চাপা ও অমৃত সাগর কলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মনোহরদী উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হয়েছে। যা জেলার কলা উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। যার মধ্যে অধিকাংশই চাপা কলা। ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই কম বেশি কলার চাষ হয়। তবে দৌলতপুর, লেবুতলা, শুকুন্দী, চালাকচর, চরমান্দালিয়া ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে কলার চাষ বেশি হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তৃত জমি জুড়ে কলার বাগান। পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানের মালিক-শ্রমিকেরা। চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতেও অসংখ্য বাগান রয়েছে। অন্যের জমি বর্গা নিয়েও অনেকে কলা বাগান করছেন। আবার অনেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে কলা বাগান করছেন।
এ বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় কলা চাষে। ফলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলা চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উপজেলায় চিনিচাম্পা, চাপা, অমৃত সাগর ও গেরাসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের কলাগাছ থেকে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলার দামও বেশি।
সাধারণত বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সেসব জমিতে কলা চাষ ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে জাত ভেদে সাড়ে ৩ শত থেকে ৪ শত কলার চারা রোপণ করা হয়ে থাকে। যত্ন সহকারে কলা চাষ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।
এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও প্রতি বিঘা জমি থেকে কলা বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব নয়। তা ছাড়া কলা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শুকুন্দী ইউনিয়নের চরনারান্দী গ্রামের কৃষক হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর আগে দুই বিঘা জমিতে কলা চাষ শুরু করি। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই বাগান বৃদ্ধি হচ্ছে। এ বছর ৯ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছি।'
কী কী কলার চাষ করেছেন এবং লাভ কী রকম হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ৬ বিঘায় সাগর কলার চাষ করেছি। আর বাকি ৩ বিঘায় চাপা কলা, সবরি কলা ও গেরা কলার চাষ করা হয়েছে। আশা করা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়লে খরচ বাদে এক বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে।'
কৃষক হুমায়ূন কবির আরও বলেন, 'কলার প্রকারভেদে ২২-২৫ হাজার টাকা দরে প্রতি একশ কলার কাঁদি বিক্রি হচ্ছে। কলার কাঁদি আগাম পাইকারদের কাছে বিক্রিও করা যায়। এটি কৃষকদের বাড়তি সুবিধা।'
লেবুতলা ভূঁইয়ার বাজার এলাকার কাউছার নামে এক কৃষক বলেন, 'দেড় বিঘা কলার জমি রয়েছে। প্রতি বছর এই জমি থেকে আমি এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারি।'
প্রতি বিঘায় কী পরিমাণ খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ লাগে। গড়ে এক বিঘা জমিতে ৭০-৭৫ হাজার টাকার কলা বিক্রি করা যায়। খরচ বাদে লাভ থাকে বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ হাজার টাকা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝে মধ্যে লোকসানও গুনতে হয়। তবে দেশব্যাপী কলার ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে এ এলাকার কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন।'
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, 'মনোহরদী উপজেলার মাটি কলা উৎপাদনের জন্য অনেক উপযোগী। এ অঞ্চলের কলা দেশ বিখ্যাত। যাতে এ অঞ্চলে কলার আবাদ বৃদ্ধি পায় সে জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে উপজেলা কৃষি অফিস।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'উপজেলায় দিন দিন কলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা কলা চাষ করছেন। কলা চাষে কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।'
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। গত আট মাসে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার এসব ঘটনায় পর্যালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব হত্যাকাণ্ডে একই গ্যাং জড়িত।
২ ঘণ্টা আগেমেয়াদ শেষের প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুরে দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দুধকুমারের তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ম্যানেজারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের টাকা নিয়ে...
২ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে বসানো হয়েছে হাট-বাজার। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশ। খেলাধুলার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটিতে যাওয়া-আসা করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
২ ঘণ্টা আগেবালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে