নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘শুনলাম বিজ্ঞানের সেই অসাধারণ শিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। কেমন দেশ যেখানে যেই শিক্ষককে পুরস্কৃত করার কথা তাঁকে তিরস্কৃত করা হচ্ছে। ধিক এই সমাজকে। আমাদের কত সৌভাগ্য এত কম বেতন সত্ত্বেও হৃদয় মণ্ডলের মত শিক্ষক আজও আছে।’
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে দিনের পর দিন কারাবন্দী রাখায় এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক আব্দুন নূর তুষার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘হৃদয় মণ্ডল বাইশ বছর ধরে বিজ্ঞান পড়ান। বাইশ বছরে অন্তত এগারো হাজার ছাত্রছাত্রীকে বিজ্ঞান শিখিয়েছেন বলে মনে করি। একদল ধর্মান্ধ বলল আর তাঁকে আটক করা হলো? শিক্ষকের অমর্যাদার প্রতিবাদে তাঁর ছাত্ররা কোথায়?’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যকরী সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, ‘হৃদয় মণ্ডলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা তদন্ত করতে হবে। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে একটার পর একটা ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ষড়যন্ত্র করে পটুয়াখালীতে দেবাশীষকে ফাঁসানো হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রসরাজকে ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনাগুলো বারবার ঘটছে।’
বিজ্ঞানের ক্লাসে ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনাকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল এখনো মুক্তি না পাওয়ায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সমালোচনা করছেন অনেকে।
হৃদয় মণ্ডলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দেশের ১৮ বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, সৈয়দ হাসান ইমাম, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, সারোওয়ার আলী, আবেদ খান, সেলিনা হোসেন, লায়লা হাসান, আবদুস সেলিম, মফিদুল হক, শফি আহমেদ, শাহরিয়ার কবীর, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মুনতাসীর মামুন, সারা যাকের, শিমুল ইউসুফ ও হারুণ হাবীব।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার ও জামিন না দেওয়া, কলেজশিক্ষক লতা সমাদ্দারকে টিপ পরার কারণে পুলিশ সদস্যের লাঞ্ছনা, মুজিব শতবর্ষে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা সমর্থন এবং ভাস্কর্য ইসলামবিরোধী কাজ বলে চিহ্নিত করে পুলিশ সদস্যের ফেসবুক ও সরাসরি মাইকে ঘৃণ্য বক্তব্য, ইতিপূর্বে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষকে ঘৃণা করার শিক্ষা সংবলিত রচনা অন্তর্ভুক্তি, দুবছর আগে একজন সচিবের টাকনুর ওপরে কাপড় পরার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি এবং বাংলা নববর্ষের প্রভাতে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বিদআত বলে ঘোষণা আমাদের মনে এই ছায়াপাত করে যে, রাষ্ট্রকাঠামোর অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি তাঁদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে।
গত ২০ মার্চ দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস নেওয়ার সময় বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন। এ সময় শিক্ষকের কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে নানা রকম প্রশ্ন করে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। শিক্ষকও তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ শিক্ষকের কথাবার্তা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পর দিন ২১ মার্চ শিক্ষার্থীরা আপত্তিজনক কথাবার্তার অভিযোগ এনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। এতে প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন গণিত বিষয়ের ওই শিক্ষককে ৩ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে শোকজ করেন। কিন্তু শোকজের জবাব দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার না হওয়ার আগেই ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা জোটবদ্ধ হয়ে শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এরপরই শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আসাদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও অবমাননার অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন। আগামী ১০ এপ্রিল জামিনের বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
‘শুনলাম বিজ্ঞানের সেই অসাধারণ শিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। কেমন দেশ যেখানে যেই শিক্ষককে পুরস্কৃত করার কথা তাঁকে তিরস্কৃত করা হচ্ছে। ধিক এই সমাজকে। আমাদের কত সৌভাগ্য এত কম বেতন সত্ত্বেও হৃদয় মণ্ডলের মত শিক্ষক আজও আছে।’
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে দিনের পর দিন কারাবন্দী রাখায় এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক আব্দুন নূর তুষার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘হৃদয় মণ্ডল বাইশ বছর ধরে বিজ্ঞান পড়ান। বাইশ বছরে অন্তত এগারো হাজার ছাত্রছাত্রীকে বিজ্ঞান শিখিয়েছেন বলে মনে করি। একদল ধর্মান্ধ বলল আর তাঁকে আটক করা হলো? শিক্ষকের অমর্যাদার প্রতিবাদে তাঁর ছাত্ররা কোথায়?’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যকরী সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, ‘হৃদয় মণ্ডলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা তদন্ত করতে হবে। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে একটার পর একটা ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ষড়যন্ত্র করে পটুয়াখালীতে দেবাশীষকে ফাঁসানো হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রসরাজকে ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনাগুলো বারবার ঘটছে।’
বিজ্ঞানের ক্লাসে ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনাকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল এখনো মুক্তি না পাওয়ায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সমালোচনা করছেন অনেকে।
হৃদয় মণ্ডলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দেশের ১৮ বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, সৈয়দ হাসান ইমাম, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, সারোওয়ার আলী, আবেদ খান, সেলিনা হোসেন, লায়লা হাসান, আবদুস সেলিম, মফিদুল হক, শফি আহমেদ, শাহরিয়ার কবীর, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মুনতাসীর মামুন, সারা যাকের, শিমুল ইউসুফ ও হারুণ হাবীব।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার ও জামিন না দেওয়া, কলেজশিক্ষক লতা সমাদ্দারকে টিপ পরার কারণে পুলিশ সদস্যের লাঞ্ছনা, মুজিব শতবর্ষে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা সমর্থন এবং ভাস্কর্য ইসলামবিরোধী কাজ বলে চিহ্নিত করে পুলিশ সদস্যের ফেসবুক ও সরাসরি মাইকে ঘৃণ্য বক্তব্য, ইতিপূর্বে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষকে ঘৃণা করার শিক্ষা সংবলিত রচনা অন্তর্ভুক্তি, দুবছর আগে একজন সচিবের টাকনুর ওপরে কাপড় পরার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি এবং বাংলা নববর্ষের প্রভাতে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বিদআত বলে ঘোষণা আমাদের মনে এই ছায়াপাত করে যে, রাষ্ট্রকাঠামোর অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি তাঁদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে।
গত ২০ মার্চ দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস নেওয়ার সময় বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন। এ সময় শিক্ষকের কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে নানা রকম প্রশ্ন করে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। শিক্ষকও তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ শিক্ষকের কথাবার্তা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পর দিন ২১ মার্চ শিক্ষার্থীরা আপত্তিজনক কথাবার্তার অভিযোগ এনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। এতে প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন গণিত বিষয়ের ওই শিক্ষককে ৩ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে শোকজ করেন। কিন্তু শোকজের জবাব দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার না হওয়ার আগেই ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা জোটবদ্ধ হয়ে শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এরপরই শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আসাদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও অবমাননার অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন। আগামী ১০ এপ্রিল জামিনের বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে...
১ মিনিট আগেরাজধানীর কাকরাইলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিএফইউজে এবং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নেতারা এক যুক্ত বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ...
১ ঘণ্টা আগেছয় বছর পর ময়মনসিংহ দক্ষিণ ও উত্তর জেলা এবং মহানগর ছাত্রদলসহ পাঁচটি ইউনিটের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ এবং কোতোয়ালি থানা কমিটিও রয়েছে। এ খবরে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমেহেরপুরের গাংনীতে বজ্রপাতে মোছা. রিতা খাতুন (৩৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছেন। এ ছাড়া ফাতেমা খাতুন (৩৫) নামে আরেক গৃহবধূ আহত হন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রায়পুর ও সাহারবাটি গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে