Ajker Patrika

গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্বজনদের শাহবাগে অবস্থান

ঢাবি সংবাদদাতা
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৩০
গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের ক্যাটাগরি বৈষম্য সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে বিএসএমএমইউ এর সামনে অবস্থান নিয়েছেন আহত ও শহীদ পরিবারের স্বজনেরা। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের ক্যাটাগরি বৈষম্য সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে বিএসএমএমইউ এর সামনে অবস্থান নিয়েছেন আহত ও শহীদ পরিবারের স্বজনেরা। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণসহ বেশ কিছু দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার পর শাহবাগ থেকে বাংলামোটর অভিমুখী সড়ক অবরোধ করে তারা। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর বলেন, বেলা ২টার পর থেকে আহত ব্যক্তিরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বেশ কিছু দাবি নিয়ে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনে সড়কে অবস্থান করছে। মোড়ের অন্য লেনগুলো দিয়ে যান চলাচল করছে।

ওসি খালেদ মনসুর বলেন, ‘আমরা তাদের সড়ক ছাড়ার অনুরোধ করছি এবং বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত সড়ক ছাড়েনি।’

আন্দোলনকারীরা আহতদের চিকিৎসার চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে বলছেন, সরকার এ, বি এবং সি—এই তিনটি ক্যাটাগরি করে আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছে। সি ক‍্যাটাগরিতে ‘এ’ এবং ‘বি’ এর মতো সুবিধা রাখা হয়নি।

আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে—আহতদের দুইটি ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করতে হবে। ছাত্র আন্দোলনে যারা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা, এককালীন ভাতা এবং পরিবারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সরকারি বা আধা সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএসএমএমইউ এর সামনে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও স্বজনেরা অবস্থান নিয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএসএমএমইউ এর সামনে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও স্বজনেরা অবস্থান নিয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আহতদের মধ্যে যারা কিছুটা সুস্থ হয়ে গেছে এবং কর্মক্ষম আছে, তাদের মাসিক ১৫ হাজার টাকা এবং এককালীন ভাতার ব্যবস্থা এবং সরকারি বা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

তাদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা। যেখানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকতে হবে।

এ ছাড়া আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ এবং সমস্যা সমাধানের জন্য টোল ফ্রি হটলাইন চালুর দাবিও জানায় আন্দোলনকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত