Ajker Patrika

প্লাস্টিক বর্জ্যে সয়লাব মিঠামইন হাওর

মো.ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪: ১০
প্লাস্টিক বর্জ্যে সয়লাব মিঠামইন হাওর

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন হাওরাঞ্চল দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। সারা দেশ হতে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিড় করেন, ঘুরে বেড়ান নৌকায়। কিন্তু, ঘুরতে এসে অনেকেই প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে হাওরের পরিবেশ দূষিত করছেন। এতে হুমকির মুখে পড়ছে হাওরের জীববৈচিত্র্য। 

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, প্লাস্টিকের বর্জ্যে সয়লাব অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন হাওর। পর্যটকেরা এলোপাতাড়ি ছুড়ে ফেলছেন এসব বর্জ্য। হাওর দূষণ নিয়ে যেন চিন্তা নেই কারও। তবে এর জন্য বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা না থাকাকেই দায়ী করছেন পর্যটকেরা। 
 
কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী থেকে ঘুরতে আসা দর্পণ ঘোষ বলেন, এভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা ঠিক নয়। কিন্তু বর্জ্য ফেলার কোন ব্যবস্থা নেই। দ্রুত কোন উদ্যোগ না নেওয়া হলে হাওর এক সময় প্লাস্টিকের ভাগাড়ে পরিণত হবে। তাঁর সঙ্গে সহমত শায়েস্তাগঞ্জ থেকে আসা রুমেল কবিরও। তিনি বলেন, বর্জ্য সঙ্গে নিয়ে ঘোরা যায় না দেখেই পানিতে ফেলা হচ্ছে। কোন ব্যবস্থা থাকলে এমন হতো না। 

হাওর অঞ্চলের দূষণরোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ভূমিকা না থাকায় হতাশ পরিবেশ ও নদী রক্ষা আন্দোলনকারীরা। নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন ভিত্তিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বাবু বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর। আইন প্রয়োগ করে হলেও পর্যটকদের বর্জ্য ফেলার বিষয়ে সতর্ক করতে হবে। তবে বর্জ্য ফেলার স্থান নির্ধারণ না করা হলে এখানে পরিবেশ দূষণ ঠেকানো যাবে না। কিন্তু হাওর দূষণমুক্ত রাখতে অধিদপ্তরের কোন ভূমিকাই চোখে পড়ছে না। 

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আবু সাঈদ বলেন, পরিবেশ আইনে কোন পর্যটক বা ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা যায় না। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সচেতনতামূলক অভিযান চালাতে হবে। এ ছাড়া নাগরিক সচেতনতা ছাড়া পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তবে হাওর দূষণ রোধে দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত