Ajker Patrika

এনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে ইভিএমের সমস্যা হবে না, দাবি বিশিষ্টজনদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪: ২৯
Thumbnail image

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে স্থানান্তর হলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে সমস্যা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। আজ রোববার সকালে নির্বাচন ভবনে শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. কায়কোবাদসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন।

এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাকা-না থাকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘ডেটাবেইস যেখানেই থাকুক, সবগুলো একেবারে আইডেন্টিক্যাল হতে হবে। এটাতে দ্বিমত নাই। যদি আইডেন্টিক্যাল না থাকে, এটা হাস্যকর হয়ে যাবে। এখন এটা কমিশনে আছে, নাকি অন্য কোথাও আছে, এটা তো ম্যাটার করে না। কাজেই ভোটার তালিকার যে ডেটা নেওয়া হয়, সেটা থেকেই এনআইডি হয়।’

আলোচনার বিষয় সম্পর্কে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘বেসিক্যালি এখন ইভিএম হবে কি হবে না, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়েছে যে এই ডেটাগুলো অন্য কোথাও থাকলে ইভিএম ব্যবহারে কোনো ঝামেলা হবে কি না। টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে তো ঝামেলা হওয়ার কথা না। কারণ একই জিনিস। এখানে থাকুক আর অন্য কোথাও থাকুক।’

ডেটাবেইসকে সুন্দর উল্লেখ করে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমরা সবাই স্বীকার করে নিচ্ছি যে অত্যন্ত সুন্দর একটা ডেটাবেইস আছে আমাদের। ১৮ বছরের নিচে যারা আছে, এখন তাদের তথ্য নিতে চাইছি। এখন কমিশন, না অন্য কেউ নেবে, এটা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হায়দার আলী বলেন, ‘টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে ইতিবাচক-নেতিবাচক আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত কমিশন বা সরকার নেবে। ডেটাবেইস একটা জায়গায় থাকবে। কোনো কোনো দেশে কমিশনের কাছে আছে। কোনো কোনো দেশে সরকারের কাছে আছে। আমরা কোনোটার ওপরেই জোর দিইনি, কার কাছে থাকা উচিত।’

ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘যেখানেই থাকুক, এটা ইউনিক থাকুক। ইউনিক থাকলে এটা নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। টেকনিক্যাল ফিচারগুলো যদি সঠিক থাকে, ঠিকভাবে ম্যানেজ হয়, যার কাছেই থাকুক, কোনো সমস্যা নেই।’

অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, ‘অনেক সময় একটি কাজ যখন সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে, তখন সেটা আমরা অন্য জায়গায় নিয়ে যাই। নানা ধরনের সমস্যায় ভুগি। কো-অর্ডিনেশনে আমরা মোটেই ভালো না। যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজটা হয়, এটাই আমরা চাই। কমিশনের এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে। ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানেই যাক না কেন, তাদের তো এই অভিজ্ঞতা নাই। কাজেই এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত এবং ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়া উচিত।’

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষাবিদেরা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি ১৮ বছরের নিচে এনআইডি দেয়, এতে ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার হয়ে যাবে। আর নির্বাচন কমিশন চাইলে সেটা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করে নিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এনআইডি কার কাছে থাকবে, সেটা কমিশন এবং সরকার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’

মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার ইসির কাছ থেকে এনআইডি সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে নানা মহল থেকেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে এতে ইভিএমে ভোটগ্রহণে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, বিড়ম্বনা আরও বাড়তে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত