Ajker Patrika

বিভিন্ন দেশে অস্ত্রোপচারের সময় এমন ঘটনা ঘটেছে: তদন্ত কমিটি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ১৪
বিভিন্ন দেশে অস্ত্রোপচারের সময় এমন ঘটনা ঘটেছে: তদন্ত কমিটি

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনিরা খাতুন (১৮) নামে এক তরুণীর অস্ত্রোপচারের পর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই করা হয়েছিল। প্রায় দুই বছর পর কাঁচিটি বের করার ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। গতকাল সোমবার হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমানের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। 

হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, প্রতিবেদনে এ ঘটনার জন্য কে দায়ী, তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। এ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করা হয়নি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০২০ সালের ৩ মার্চ সার্জারি ইউনিট-২-এর দায়িত্বে নিয়োজিত সহযোগী অধ্যাপক মোল্লা সরফউদ্দিনের অধীনে এই অস্ত্রোপচার হয়। এতে আরও তিন থেকে চারজন চিকিৎসক অংশ নেন। তবে কার গাফিলতিতে এ ঘটনা ঘটেছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন জার্নালের উদ্ধৃতি দিয়ে সেখানে বলা হয়, এজাতীয় ঘটনা অপ্রতুল নয়। এমন নয় যে এটিই প্রথম ঘটেছে। এর আগেও বিভিন্ন দেশে অস্ত্রোপচারের সময় এমন ঘটনা ঘটেছে। 

পরিচালক বলেন, বিদেশি কয়েকটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে এজাতীয় ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচারের সময় অধিক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

পেটে কাঁচি রেখে সেলাই করার ঘটনায় গত রোববার (১২ ডিসেম্বর) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসান। অপর দুই সদস্য হলেন গাইনি বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা ও সার্জারি বিভাগের মো. কামরুজ্জামান। 

পরিচালক সাইফুর রহমান ওই প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, অস্ত্রোপচারের সময় নির্দিষ্টভাবে একজন নার্সকে যন্ত্রপাতির দায়িত্বে নিয়োজিত করা। পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও আয়াদের আরও অধিক দায়িত্বশীল হওয়ায় পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্রোপচারের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। 

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, 'মনিরা খাতুন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে আর কত দিন ভর্তি থাকতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।' 

প্রসঙ্গত, মনিরা খাতুন (১৮) গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝুটিগ্রামের বাসিন্দা খাইরুল মিয়ার মেয়ে। ২০২০ সালের মার্চে তিনি মেজিনট্রিক ফিস্ট (রক্তের দলা) জনিত সমস্যা নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এরপর ৩ মার্চ সার্জারি বিভাগ ইউনিট টু-তে এ সমস্যার জন্য তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই সময় চিকিৎসকদের অজ্ঞাতসারে অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যবহৃত ছয় ইঞ্চি লম্বা অর্টারি ফরসেপ পেটের ভেতরে রেখে সেলাই করা হয়। বিষয়টি জানার পর ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর শনিবার ওই হাসপাতালেই পুনরায় অস্ত্রোপচার করে তরুণীর পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত