নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর শাজাহানপুরের কম দামে মাংস বিক্রেতা মো. খলিলুর রহমান ও তাঁর সন্তানদের হত্যার হুমকিদাতা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গ্রেপ্তারকৃতরা তাঁর নাম ব্যবহার করে এ হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংস্থার মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গতকাল শনিবার রাতে র্যাব-৩ ও র্যাব-৪-এর যৌথ অভিযানে ঢাকার আশুলিয়া থেকে খলিলকে হুমকিদাতা দুজনকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন—মো. নুরুল হক (৬৭) এবং তাঁর অন্যতম সহযোগী মোহাম্মদ ইমন (২২)। তাঁরা দুজনেই হুমকির কথা স্বীকার করেছেন। নুরুল হকের নির্দেশে ইমন এই হুমকি দেন।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নুরুল হক দীর্ঘদিন থেকে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকায় ডিশ ও ইন্টারনেট লাইনের ব্যবসা করেন। এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি মাংস ব্যবসায়ী খলিলের ফোন নম্বর দেন নুরুলকে। তিনি নুরুলকে বুদ্ধি শিখিয়ে দেন, নুরুল যেন তাঁর প্রতিপক্ষের নাম দিয়ে খলিলকে হত্যার হুমকি দেন। তাহলে তাঁকে আর ডিশ ব্যবসায় ঝামেলা করতে পারবে না।
এরপর নুরুল হক ১৮ জানুয়ারি ব্যবসায়ী খলিলকে ফোন করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং কম দামে মাংস বিক্রি করলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। গ্রেপ্তারকৃত নুরুল হক মাংস ব্যবসায়ী খলিলকে হত্যার হুমকি দেওয়ার সময় চাঁদা দাবির পাশাপাশি তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ সেলিমের নাম উল্লেখ করেন।
পরবর্তী সময় একই দিনে গ্রেপ্তারকৃত নুরুল অপর একটি ফোন দিয়ে ইমনকেও মাংস ব্যবসায়ী খলিলকে গালাগালি করতে বলেন। গ্রেপ্তারকৃত ইমন নুরুলের কথামতো খলিলকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন এবং তাঁকে দুই দিনের মধ্যে হত্যা করবেন বলে গুলি ও পিস্তল রেডি করে রেখেছেন বলে জানান।
এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত ইমন খলিলের মোবাইল ফোনে পিস্তল, গুলি, রামদা এবং মাথা কাটা লাশের ছবি পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখান। পরবর্তীকালে হুমকি প্রদানকৃত মোবাইল ও সিম কার্ডটি পানিতে ফেলে দেন।
গ্রেপ্তারকৃত নুরুলের নামে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে চারটির বেশি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত ইমন দীর্ঘদিন যাবৎ নুরুলের ডিশের ব্যবসার কাজে সহায়তা করতেন।
গত ১৯ নভেম্বর রাজধানীর শাজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান তাঁর ‘খলিল গোশত বিতানে’ ৫৯৫ টাকায় প্রতি কেজি মাংস বিক্রি শুরু করেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। খলিলের দেখাদেখি আরও কিছু মাংস ব্যবসায়ী প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন।
পরবর্তী সময় গত ২২ ডিসেম্বর ভোক্তা-অধিদপ্তর, মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিত বৈঠক করে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এমন সিদ্ধান্তে বাজারে ফিরে আসে স্বস্তি।
এ সময় যেসব মাংস ব্যবসায়ী ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রি করেন, মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা তাঁদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ ছাড়া কিছুদিন আগে রাজশাহীর বাঘার আড়ানি হাটে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করায় একজন মাংস ব্যবসায়ী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটে।
১৮ জানুয়ারি মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের মোবাইল ফোনে অপর একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং কম দামে মাংস বিক্রি করলে তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে দুই দিনের মধ্যে গুলি করে হত্যার হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। এ ছাড়া খলিল এবং তাঁর ছেলেকে হত্যা করার জন্য গুলি ও পিস্তল রেডি করা হয়েছে জানিয়ে তাঁর মোবাইল ফোনে পিস্তল, গুলি, রামদা এবং মাথা ছাড়া লাশের ছবি পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এই ঘটনায় ২০ জানুয়ারি শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
রাজধানীর শাজাহানপুরের কম দামে মাংস বিক্রেতা মো. খলিলুর রহমান ও তাঁর সন্তানদের হত্যার হুমকিদাতা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গ্রেপ্তারকৃতরা তাঁর নাম ব্যবহার করে এ হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংস্থার মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গতকাল শনিবার রাতে র্যাব-৩ ও র্যাব-৪-এর যৌথ অভিযানে ঢাকার আশুলিয়া থেকে খলিলকে হুমকিদাতা দুজনকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন—মো. নুরুল হক (৬৭) এবং তাঁর অন্যতম সহযোগী মোহাম্মদ ইমন (২২)। তাঁরা দুজনেই হুমকির কথা স্বীকার করেছেন। নুরুল হকের নির্দেশে ইমন এই হুমকি দেন।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নুরুল হক দীর্ঘদিন থেকে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকায় ডিশ ও ইন্টারনেট লাইনের ব্যবসা করেন। এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি মাংস ব্যবসায়ী খলিলের ফোন নম্বর দেন নুরুলকে। তিনি নুরুলকে বুদ্ধি শিখিয়ে দেন, নুরুল যেন তাঁর প্রতিপক্ষের নাম দিয়ে খলিলকে হত্যার হুমকি দেন। তাহলে তাঁকে আর ডিশ ব্যবসায় ঝামেলা করতে পারবে না।
এরপর নুরুল হক ১৮ জানুয়ারি ব্যবসায়ী খলিলকে ফোন করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং কম দামে মাংস বিক্রি করলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। গ্রেপ্তারকৃত নুরুল হক মাংস ব্যবসায়ী খলিলকে হত্যার হুমকি দেওয়ার সময় চাঁদা দাবির পাশাপাশি তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ সেলিমের নাম উল্লেখ করেন।
পরবর্তী সময় একই দিনে গ্রেপ্তারকৃত নুরুল অপর একটি ফোন দিয়ে ইমনকেও মাংস ব্যবসায়ী খলিলকে গালাগালি করতে বলেন। গ্রেপ্তারকৃত ইমন নুরুলের কথামতো খলিলকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন এবং তাঁকে দুই দিনের মধ্যে হত্যা করবেন বলে গুলি ও পিস্তল রেডি করে রেখেছেন বলে জানান।
এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত ইমন খলিলের মোবাইল ফোনে পিস্তল, গুলি, রামদা এবং মাথা কাটা লাশের ছবি পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখান। পরবর্তীকালে হুমকি প্রদানকৃত মোবাইল ও সিম কার্ডটি পানিতে ফেলে দেন।
গ্রেপ্তারকৃত নুরুলের নামে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে চারটির বেশি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত ইমন দীর্ঘদিন যাবৎ নুরুলের ডিশের ব্যবসার কাজে সহায়তা করতেন।
গত ১৯ নভেম্বর রাজধানীর শাজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান তাঁর ‘খলিল গোশত বিতানে’ ৫৯৫ টাকায় প্রতি কেজি মাংস বিক্রি শুরু করেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। খলিলের দেখাদেখি আরও কিছু মাংস ব্যবসায়ী প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন।
পরবর্তী সময় গত ২২ ডিসেম্বর ভোক্তা-অধিদপ্তর, মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিত বৈঠক করে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এমন সিদ্ধান্তে বাজারে ফিরে আসে স্বস্তি।
এ সময় যেসব মাংস ব্যবসায়ী ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রি করেন, মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা তাঁদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ ছাড়া কিছুদিন আগে রাজশাহীর বাঘার আড়ানি হাটে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করায় একজন মাংস ব্যবসায়ী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটে।
১৮ জানুয়ারি মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের মোবাইল ফোনে অপর একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং কম দামে মাংস বিক্রি করলে তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে দুই দিনের মধ্যে গুলি করে হত্যার হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। এ ছাড়া খলিল এবং তাঁর ছেলেকে হত্যা করার জন্য গুলি ও পিস্তল রেডি করা হয়েছে জানিয়ে তাঁর মোবাইল ফোনে পিস্তল, গুলি, রামদা এবং মাথা ছাড়া লাশের ছবি পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এই ঘটনায় ২০ জানুয়ারি শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। আজ রোববার বিকেলে শিকলবাহা ইউনিয়নের জামালপাড়া এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে মইজ্জ্যেরটেক এলাকায় গিয়ে শেষ হয়
১৩ মিনিট আগেসিলেট নগরীতে ট্রাকের ধাক্কায় রিকশা আরোহী রহিমা খানম জেসি (৩২) নামের এক নারী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার নগরীর শেখঘাট জিতু মিয়া পয়েন্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৫ মিনিট আগেডাকাতি মামলার আসামি শফি গাজীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী একজোট হয়ে তাঁর বাড়িসহ দুই দোকানে আগুন দিয়েছে। এ সময় তাঁর বাড়ি থেকে দা, ছুরি, চায়নিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে পুলিশে দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেনান্দাইল, ময়মনসিংহ, নছিমন, মেটা: নান্দাইলে বাসের ধাক্কায় গরুবাহী নছিমন পানিতে পড়ে ছয় গরু মারা গেছে। আজ রোববার বিকেলের দিকে নান্দাইল-তাড়াইল সড়কের গাংগাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে গরু ব্যবসায়ী আবুল বাশার ও নছিমনচালক মালেক আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে