নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ চলছিল ভাই বোনদের দুটি পক্ষের মধ্যে। এর মধ্যে একটি পক্ষকে ডেকে নিয়ে বাড়ি খালি করে দিতে নির্দেশ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানপুত্র অয়ন ওসমানের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার বিকেলে চাষাঢ়া রূপায়ন টাওয়ারে অয়ন ওসমানের অফিসে ডেকে নিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বাদী পক্ষের। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই ভাই।
আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর এই অভিযোগ দেন ফতুল্লার হাজীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর মোল্লা (৫৮) এবং আবু সায়েম মোল্লা (৪০)। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, আদালতে বিচারাধীন পারিবারিক মামলা নিয়ে আমার দুই বোন ও এক ভাই অয়ন ওসমানের দ্বারস্থ হন। এ সময় অয়ন ওসমান তাদের পক্ষ নিয়ে আমাদের বাড়িঘর খালি করে তাদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে লোকজন নিয়ে গিয়ে বাসা খালি করার ব্যবস্থা করতে বলেন।
লিখিত অভিযোগে দুই ভাই আরও উল্লেখ করেন, ‘গত ১৬ জুন রাত ৮টায় একই এলাকার সাগর (৪০) ফোন দিয়ে জানায় ১৮ তারিখ বিকেল সাড়ে ৪টায় অয়ন ওসমান তাদের ডেকেছেন। একই ফোনে কায়েমপুর এলাকার নাহিদ পুনরায় জানায় নির্ধারিত তারিখে যেন অয়ন ওসমানের সঙ্গে তারা দেখা করেন। কেন দেখা করতে হবে এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন, আমরা কিছু জানি না। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় দেখা করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন সবুর ও সায়েম মোল্লা।
১৮ জুন তারিখ বিকেল পৌনে ৫টায় মসজিদে প্রবেশ করার সময় সবুর মোল্লাকে সাগর ও নাহিদ জোড়পূর্বক অয়ন ওসমানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই বসা ছিলো আমার ভাই আবু সাঈদ মোল্লা (৪৮), বোন মাবিয়া সিদ্দিকা (৫২), আয়েশা সিদ্দিকা (৫৫), ভাগ্নে মাসুদ (৩৫)। কিছুক্ষণ পরেই অয়ন ওসমান ও তার সহযোগী রিয়াদ সেখানে উপস্থিত হয়।
এরপর অয়ন আমার উদ্দেশে বলেন, আগামীকাল (১৯ জুন) সকালের মধ্যে আবু সাঈদ ও মাবিয়ার কাছে বাড়িঘর সবকিছু বুঝাইয়া দিয়া চলে যাবেন। আমি কারন জানতে চাইলে সে ধমক দিয়ে বলে আমার কারন জানার দরকার নাই। সে তার অফিসে থাকা নাহিদকে বলে সকালে তুমি আমার লোকজন নিয়ে যাবে এবং সাইদ মোল্লাকে বাড়িঘর বুঝিয়ে দিয়ে আসবে। আমরা তার কথায় ভয়ে কিছুই বলতে পারিনি এবং নীরবে চলে আসি। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী সায়েম মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল আমার বড় ভাইকে হুমকি ধমকি দিয়েছিলো অয়ন ওসমান সাহেব। আজকে দুপুর ৩টার সময়েও নাহিদ তার লোকজন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু যখন শুনেছে আমরা এসপি অফিসে আসছি তখন সে চলে গেছে। আমরা বিকেল ৪টায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই।
তিনি আমাদের কথা শুনে বলেন, যেভাবে সমাধান করা যায় সেভাবেই তিনি ব্যবস্থা নিবেন। প্রয়োজনে হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
কেন এই বিরোধ জানতে চাইলে বলেন, ২০২০ সালে আমাদের বাবা মারা যান। গত বছর আমরা বাড়ি ভাগ করতে বসি। আমার দুই বোন ও এক ভাই জাল দলিল নিয়ে এসে দাবি করেন তাদের নামে নাকি সব লিখে দিয়ে গেছে বাবা। এটা নিয়ে আদালতে ৪টা মামলা আছে এবং সবগুলো বিচারাধীন। সেই বিষয় নিয়ে এখন তারা অয়ন ওসমানের ভয় দেখিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের ব্যক্তিগত ও সরকারি নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুদেবার্তা প্রেরন করলে তিনি বার্তাটি দেখে নীরব থাকেন।
অভিযোগের বিষয়ে অয়ন ওসমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়ে থাকলে উনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। কে করাচ্ছে সেটাও জানার বিষয়। ক্রিটিক্যাল মোমেন্টে অভিযোগ উঠবে এগুলাই স্বাভাবিক। যারা অভিযোগ দিয়েছে উনাদের জিজ্ঞাসা করে বিষয়টা জেনে নেই। আমি যদি এখানে বিন্দু পরিমান মিথ্যা খুঁজে পাই তাহলে যেই কয়টা মামলা করা সম্ভব তা করার ব্যবস্থা করা হবে। আমি এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেব না। আমার নাম বেঁচে যদি কেউ কিছু করে থাকে তাহলে মামলা হবে। আমিই মামলা দেব। আমার নামে অভিযোগ এসেছে অথচ এই বিষয়ে আমার কোন ধারনাই নেই।’
নারায়ণগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ চলছিল ভাই বোনদের দুটি পক্ষের মধ্যে। এর মধ্যে একটি পক্ষকে ডেকে নিয়ে বাড়ি খালি করে দিতে নির্দেশ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানপুত্র অয়ন ওসমানের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার বিকেলে চাষাঢ়া রূপায়ন টাওয়ারে অয়ন ওসমানের অফিসে ডেকে নিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বাদী পক্ষের। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই ভাই।
আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর এই অভিযোগ দেন ফতুল্লার হাজীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর মোল্লা (৫৮) এবং আবু সায়েম মোল্লা (৪০)। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, আদালতে বিচারাধীন পারিবারিক মামলা নিয়ে আমার দুই বোন ও এক ভাই অয়ন ওসমানের দ্বারস্থ হন। এ সময় অয়ন ওসমান তাদের পক্ষ নিয়ে আমাদের বাড়িঘর খালি করে তাদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে লোকজন নিয়ে গিয়ে বাসা খালি করার ব্যবস্থা করতে বলেন।
লিখিত অভিযোগে দুই ভাই আরও উল্লেখ করেন, ‘গত ১৬ জুন রাত ৮টায় একই এলাকার সাগর (৪০) ফোন দিয়ে জানায় ১৮ তারিখ বিকেল সাড়ে ৪টায় অয়ন ওসমান তাদের ডেকেছেন। একই ফোনে কায়েমপুর এলাকার নাহিদ পুনরায় জানায় নির্ধারিত তারিখে যেন অয়ন ওসমানের সঙ্গে তারা দেখা করেন। কেন দেখা করতে হবে এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন, আমরা কিছু জানি না। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় দেখা করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন সবুর ও সায়েম মোল্লা।
১৮ জুন তারিখ বিকেল পৌনে ৫টায় মসজিদে প্রবেশ করার সময় সবুর মোল্লাকে সাগর ও নাহিদ জোড়পূর্বক অয়ন ওসমানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই বসা ছিলো আমার ভাই আবু সাঈদ মোল্লা (৪৮), বোন মাবিয়া সিদ্দিকা (৫২), আয়েশা সিদ্দিকা (৫৫), ভাগ্নে মাসুদ (৩৫)। কিছুক্ষণ পরেই অয়ন ওসমান ও তার সহযোগী রিয়াদ সেখানে উপস্থিত হয়।
এরপর অয়ন আমার উদ্দেশে বলেন, আগামীকাল (১৯ জুন) সকালের মধ্যে আবু সাঈদ ও মাবিয়ার কাছে বাড়িঘর সবকিছু বুঝাইয়া দিয়া চলে যাবেন। আমি কারন জানতে চাইলে সে ধমক দিয়ে বলে আমার কারন জানার দরকার নাই। সে তার অফিসে থাকা নাহিদকে বলে সকালে তুমি আমার লোকজন নিয়ে যাবে এবং সাইদ মোল্লাকে বাড়িঘর বুঝিয়ে দিয়ে আসবে। আমরা তার কথায় ভয়ে কিছুই বলতে পারিনি এবং নীরবে চলে আসি। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী সায়েম মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল আমার বড় ভাইকে হুমকি ধমকি দিয়েছিলো অয়ন ওসমান সাহেব। আজকে দুপুর ৩টার সময়েও নাহিদ তার লোকজন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু যখন শুনেছে আমরা এসপি অফিসে আসছি তখন সে চলে গেছে। আমরা বিকেল ৪টায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই।
তিনি আমাদের কথা শুনে বলেন, যেভাবে সমাধান করা যায় সেভাবেই তিনি ব্যবস্থা নিবেন। প্রয়োজনে হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
কেন এই বিরোধ জানতে চাইলে বলেন, ২০২০ সালে আমাদের বাবা মারা যান। গত বছর আমরা বাড়ি ভাগ করতে বসি। আমার দুই বোন ও এক ভাই জাল দলিল নিয়ে এসে দাবি করেন তাদের নামে নাকি সব লিখে দিয়ে গেছে বাবা। এটা নিয়ে আদালতে ৪টা মামলা আছে এবং সবগুলো বিচারাধীন। সেই বিষয় নিয়ে এখন তারা অয়ন ওসমানের ভয় দেখিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের ব্যক্তিগত ও সরকারি নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুদেবার্তা প্রেরন করলে তিনি বার্তাটি দেখে নীরব থাকেন।
অভিযোগের বিষয়ে অয়ন ওসমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়ে থাকলে উনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। কে করাচ্ছে সেটাও জানার বিষয়। ক্রিটিক্যাল মোমেন্টে অভিযোগ উঠবে এগুলাই স্বাভাবিক। যারা অভিযোগ দিয়েছে উনাদের জিজ্ঞাসা করে বিষয়টা জেনে নেই। আমি যদি এখানে বিন্দু পরিমান মিথ্যা খুঁজে পাই তাহলে যেই কয়টা মামলা করা সম্ভব তা করার ব্যবস্থা করা হবে। আমি এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেব না। আমার নাম বেঁচে যদি কেউ কিছু করে থাকে তাহলে মামলা হবে। আমিই মামলা দেব। আমার নামে অভিযোগ এসেছে অথচ এই বিষয়ে আমার কোন ধারনাই নেই।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উন্নয়নকাজে চরম ধীরগতি ও সেবায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদারেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিল পরিশোধে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যত থমকে আছে। কোথাও কোথাও কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শহরে ট্রাফিক জ্যাম বেড়েছে। নাগরিক সেবায়ও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩০০ ফুট সড়কে বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি রোলস রয়েস স্পেকটার দুর্ঘটনার নেপথ্যে কুকুর। হঠাৎ দৌড়ে সড়কে চলে আসা একটি কুকুরকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উঠে পড়ে সড়ক বিভাজকে। এতে গাড়ির চার আরোহীই আহত হয়েছেন। গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআড়াই শ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছেন আট মাস আগে। যাতায়াতের কষ্টে গ্রামের চার হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। রাস্তায় বৃষ্টির পানি আর কাদায় একাকার হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। দুর্ভোগ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ওই গ্রামে কোনো অনুষ্ঠানে
২ ঘণ্টা আগেঅবৈধ দখলে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে গাজীপুরের ‘ফুসফুস’ খ্যাত বেলাই বিল। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ‘নর্থ সাউথ’ ও ‘তেপান্তর’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে শুরু হওয়া এই দখলের কাজ এখন দিনের আলোতেও চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
২ ঘণ্টা আগে