নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে সদরঘাটে। বাসের টিকিট না পেয়ে অনেকেই নৌপথে বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন লঞ্চের যাত্রীরা। অতিরিক্ত গরমের কারণেও অনেকেই পরিবারসহ লঞ্চে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লঞ্চ ছাড়তে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার যাত্রীর চাপ অনেক কম। লঞ্চ যথাসময়ে ছাড়তে ঘাটে সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছে তারা।
এমভি মানিকে করে ভোলা যাচ্ছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী মাকসুদ হোসেন। নিউমার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে তাঁর কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পরিবারের সবাই তাঁকে নিয়ে চিন্তিত। গতকাল রাতেই যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কিছু কেনাকাটা বাকি থাকায় যেতে পারেননি।
মাকসুদ বলেন, ‘আজকে সকালেই ঘাটে আসছি। দুপুর একটায় লঞ্চ ছাড়ার কথা। এখন বলছে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ছাড়বে। লঞ্চের কোথাও বসার জায়গা নাই। তাই একেবারে সামনে বসে আছি।’
এমভি ফারহান-৩–এ করে হাতিয়া যাচ্ছেন ওয়ারীর বাসিন্দা রিমন সরকার। তিনি জানান, পুরো লঞ্চ লোকে লোকারণ্য। তবুও লঞ্চ ছাড়ছে না। তিনি বলেন, ‘লঞ্চ ছাড়ার কথা জানিয়েছে সাড়ে পাঁচটায়। কখন ছাড়বে জানি না। পুরো লঞ্চ মানুষে ভরে গেছে। ভেতরে কোথাও বসার জায়গা নেই। আরও আগেই ছাড়া উচিত ছিল।’
পরিবার নিয়ে এমভি পূবালী-১–এ করে বরগুনায় ইদ কাটাতে যাচ্ছেন সিরাজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের কথা চিন্তা করে বাসে না গিয়ে লঞ্চে যাচ্ছি। বাসে বাচ্চারা গরমে হাঁসফাঁস করে। লঞ্চে একটু ঠান্ডা পরিবেশ। তবে ভাবছিলাম মানুষ একটু কম হবে লঞ্চে, কিন্তু তেমনটা না।’
লঞ্চ ছাড়তে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে এমভি যুবরাজ-৭–এর কেবিন ইনচার্জ মো. শিহাব আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ শেষ দিনে গিয়ে খালি লঞ্চ নিয়ে ফিরতে হবে। তাই যাত্রী একটু বেশি নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এ ছাড়া পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে লঞ্চ ব্যবসায়ীরা। তাই ইদের মৌসুমে কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। শিহাব বলেন, ‘একটা লঞ্চ নিয়ে একবার যেতে আসতে পাঁচ–ছয় লাখ টাকা খরচ হয়। আজকেই শেষ দিন তাই একটু দেরিতে লঞ্চ ছাড়ছে। অনেকেই এখনো আসছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যেই বেশির ভাগ লঞ্চ ছেড়ে যাবে।’
সার্বিক বিষয়ে বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লঞ্চ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে আছে। লঞ্চের যাত্রীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। তাই ইদের সময়টাতে তারা একটু লাভ করার চিন্তা করে।’
ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) মো. কবীর হোসেন বলেন, সকাল থেকে ৪২টির মতো লঞ্চ ঘাট ছেড়ে গেছে। রাতের মধ্যে আরও ৫০টি লঞ্চ ঘাট ছেড়ে যাবে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যার পর লঞ্চ ছাড়তে আরও দেরি হতে পারে।
উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে সদরঘাটে। বাসের টিকিট না পেয়ে অনেকেই নৌপথে বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন লঞ্চের যাত্রীরা। অতিরিক্ত গরমের কারণেও অনেকেই পরিবারসহ লঞ্চে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লঞ্চ ছাড়তে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার যাত্রীর চাপ অনেক কম। লঞ্চ যথাসময়ে ছাড়তে ঘাটে সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছে তারা।
এমভি মানিকে করে ভোলা যাচ্ছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী মাকসুদ হোসেন। নিউমার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে তাঁর কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পরিবারের সবাই তাঁকে নিয়ে চিন্তিত। গতকাল রাতেই যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কিছু কেনাকাটা বাকি থাকায় যেতে পারেননি।
মাকসুদ বলেন, ‘আজকে সকালেই ঘাটে আসছি। দুপুর একটায় লঞ্চ ছাড়ার কথা। এখন বলছে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ছাড়বে। লঞ্চের কোথাও বসার জায়গা নাই। তাই একেবারে সামনে বসে আছি।’
এমভি ফারহান-৩–এ করে হাতিয়া যাচ্ছেন ওয়ারীর বাসিন্দা রিমন সরকার। তিনি জানান, পুরো লঞ্চ লোকে লোকারণ্য। তবুও লঞ্চ ছাড়ছে না। তিনি বলেন, ‘লঞ্চ ছাড়ার কথা জানিয়েছে সাড়ে পাঁচটায়। কখন ছাড়বে জানি না। পুরো লঞ্চ মানুষে ভরে গেছে। ভেতরে কোথাও বসার জায়গা নেই। আরও আগেই ছাড়া উচিত ছিল।’
পরিবার নিয়ে এমভি পূবালী-১–এ করে বরগুনায় ইদ কাটাতে যাচ্ছেন সিরাজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের কথা চিন্তা করে বাসে না গিয়ে লঞ্চে যাচ্ছি। বাসে বাচ্চারা গরমে হাঁসফাঁস করে। লঞ্চে একটু ঠান্ডা পরিবেশ। তবে ভাবছিলাম মানুষ একটু কম হবে লঞ্চে, কিন্তু তেমনটা না।’
লঞ্চ ছাড়তে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে এমভি যুবরাজ-৭–এর কেবিন ইনচার্জ মো. শিহাব আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ শেষ দিনে গিয়ে খালি লঞ্চ নিয়ে ফিরতে হবে। তাই যাত্রী একটু বেশি নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এ ছাড়া পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে লঞ্চ ব্যবসায়ীরা। তাই ইদের মৌসুমে কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। শিহাব বলেন, ‘একটা লঞ্চ নিয়ে একবার যেতে আসতে পাঁচ–ছয় লাখ টাকা খরচ হয়। আজকেই শেষ দিন তাই একটু দেরিতে লঞ্চ ছাড়ছে। অনেকেই এখনো আসছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যেই বেশির ভাগ লঞ্চ ছেড়ে যাবে।’
সার্বিক বিষয়ে বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লঞ্চ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে আছে। লঞ্চের যাত্রীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। তাই ইদের সময়টাতে তারা একটু লাভ করার চিন্তা করে।’
ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) মো. কবীর হোসেন বলেন, সকাল থেকে ৪২টির মতো লঞ্চ ঘাট ছেড়ে গেছে। রাতের মধ্যে আরও ৫০টি লঞ্চ ঘাট ছেড়ে যাবে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যার পর লঞ্চ ছাড়তে আরও দেরি হতে পারে।
রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনটির কাঠামোই দৃশ্যত সোমবারের বিপর্যয়কে এতটা প্রাণঘাতী করে তুলেছে। সরেজমিন ঘুরে এবং ভুক্তভোগী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকায় দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত আরসিসি সড়ক উদ্বোধনের মাত্র দুই মাসের মাথায় ধসে পড়েছে। খালের পাড়ঘেঁষা গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ায় সড়কের একটি বড় অংশ এখন কার্যত শূন্যে ঝুলছে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পুরো রাস্তা ধসে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
২ ঘণ্টা আগেস্বপ্নের দেশ ইতালি। সেখানে গিয়ে নিজেরসহ পরিবারের সব স্বপ্ন পূরণ করবেন। এই আশায় লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের দেশটিতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ আছেন মাদারীপুরের রাজৈরের ১৪ যুবক। পাঁচ মাস ধরে তাঁদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা।
২ ঘণ্টা আগেবাবার কপালে চুমু দিয়ে স্কুলে গিয়েছিল সারিয়া আক্তার। আর মাকে সালাম করে বিদায় নিয়েছিল জুনায়েত হাসান। হাসিমুখে স্কুলে যাওয়া এই দুই শিশু দিনশেষে ঘরে ফেরে লাশ হয়ে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই-বোন। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘সেকশন ক্লাউডের’ শিক্ষার্থী ছিল তারা। বাংলা মাধ্যমের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত এই দুই ভ
২ ঘণ্টা আগে