Ajker Patrika

কারারক্ষী পদে নিয়োগে অনিয়ম, পদক্ষেপ জানতে চাইলেন হাইকোর্ট 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২২, ১২: ২০
কারারক্ষী পদে নিয়োগে অনিয়ম, পদক্ষেপ জানতে চাইলেন হাইকোর্ট 

কারারক্ষী পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। 

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কালাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। 

এর আগে ‘আরেকজনের নাম-পরিচয়ে চাকরি, ১৮ বছর পর তদন্ত’—শিরোনামে আজকের পত্রিকায় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালে কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন জহিরুল ইসলাম এশু। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র পাননি তিনি। তবে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কার্যালয় থেকে ঠিকানা ও পরিচয় যাচাইয়ের জন্য কুলাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম খান খছরুর কাছে একটি চিঠি আসে। কাউন্সিলর চিঠিটির বিষয়ে এশুকে জানান। পরে এশু কারারক্ষী পদে তাঁর নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অন্য কেউ চাকরি করছেন মর্মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। 

এদিকে সাধারণ ডায়েরির পর এশু চাকরি ফিরে পেতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর আবেদনও করেন। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। আবেদনে চাকরি ফিরে পাওয়ার সঙ্গে ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়। রিটে বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্রসচিব, কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপমহাপরিদর্শক, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ও কারারক্ষী হিসেবে চাকরিরত জহিরুল ইসলামকে। 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আসে ২১০ জন কারারক্ষী জাল-জালিয়াতি বা একজনের স্থলে আরেকজন কাজ করছেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তাঁরা তদন্ত করেছেন। তদন্তে ২০০ জনের মধ্যে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আর তিনজন পাওয়া গেছে, যাঁরা প্রকৃত ব্যক্তির পরিবর্তে কর্মরত। আবার অনেকে রয়েছেন তাঁরা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত