গোপালগঞ্জ পৌরসভা
জাবেরুল ইসলাম বাঁধন, গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ পৌরসভার ২৫ বছরের পুরোনো পানি শোধনাগার বিকল হওয়ার পথে। যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে পানি সরবরাহ। শোধনাগারের বেহাল দশার কারণে চাহিদার ৪ ভাগের ১ ভাগ পানিও সরবরাহ করতে হিমশিম পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা।
এদিকে পৌরসভার আয়তন বাড়লেও নতুন করে ১ মিটার পাইপলাইন স্থাপন করাও সম্ভব হয়নি। তবে পানির সংকট সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বিপুল চাহিদা থাকলেও সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের বেহাল দশার কারণে তা পূরণ করতে পারছে না পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ৩টি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ৬টি ওভারহেড ট্যাংক থাকলেও দিন দিন কমছে সক্ষমতা।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভাটিতে বর্তমানে পানির গ্রাহক রয়েছে ১০ হাজার ১৪৯ জন। ৩০.৭০ বর্গকিলোমিটারের এ পৌরসভায় প্রতিদিন পানির চাহিদা রয়েছে ৬০ মিলিয়ন লিটার। কিন্তু সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে মাত্র ১৫ মিলিয়ন লিটার। ১৩.৮২ বর্গকিলোমিটারের পৌরসভাটিকে ২০২১ সালে আরও বর্ধিত করে করা হয় ১৬.৮৮ বর্গকিলোমিটার। পরিধি বাড়লেও ৪ বছরে নতুন একটি পাইপলাইন নেটওয়ার্কও স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ৯টি হাইলিফট পাম্পের মধ্যে ১টি নষ্ট দীর্ঘদিন ধরে। বাকি পাম্পগুলোরও করুণ দশা। প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। এতে পুরোনো গ্রাহকদেরই পানি সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রাহক-কর্তৃপক্ষ উভয়েই।
জানতে চাইলে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রহমান মিয়া বলেন, ‘আমরা ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে পানি পাচ্ছি না। নিয়মিত পৌরসভার পানির বিল পরিশোধ করে যাচ্ছি। এখন একটু বন্যার পানি আসছে এ জন্য গোসল ও ধোয়ামোছার জন্য পাইপের মাধ্যমে বিল থেকে পানি উঠিয়ে আনতেছি।’
আব্দুর রহমান মিয়া আরও বলেন, ‘খাওয়া ও রান্নার জন্য বোতলের পানি কেনা লাগছে। বিলের পানিতে দুর্গন্ধ থাকার পরও বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে। পানির অপর নাম জীবন, আমরা এই পানির অভাবে মরতে পড়েছি।’
পৌরসভার অন্য বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, ‘আমরা কেমন পৌরসভায় বসবাস করি, তা-ই বুঝি না। এত বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে পানির সংযোগ পেলাম না।’ মিলন মোল্লা বলেন, ‘পানির এত সংকট, পৌরসভার ভেতরের বাড়িঘর ছেড়ে মনে হয় নদীর পাশে গিয়ে আমাদের বসবাস করতে হবে। পানি ছাড়া জীবন কি চলে?’
জানতে চাইলে পৌর পানি সরবরাহ শাখার ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী সরূপ বোস বলেন, ‘পৌরসভা ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এখানে পানির চাহিদা রয়েছে প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন লিটার। তার বিপরীতে সরবরাহ করতে পারি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ মিলিয়ন লিটার। শোধনাগারের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা ২৪ ঘণ্টা পানি সরবরাহ করি। চাহিদার তুলনায় পানি শোধনের সক্ষমতা না থাকায় মূলত এই সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন ওয়ার্ডে নতুন কোনো পাইপলাইন বসানো হয়নি, কারণ পুরোনো লাইনগুলোতে পানি দেওয়ার যে শোধনাগার রয়েছে, তার মেয়াদ দীর্ঘ কয়েক বছর হয়ে যাওয়ায় সেটির সক্ষমতা কমে গেছে। নতুন শোধনাগার তৈরি না হলে নতুন ওয়ার্ডে পাইপলাইন সংযোগ স্থাপন করে কোনো ফলাফল পাওয়া যাবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক বিশ্বজিৎ কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানির যে সংকট রয়েছে, তা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে ডিপিপি আকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশাবাদী, দ্রুতই প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। অনুমোদনের পর কাজ শেষ করতে পারলে পানির সংকট নিরসন হবে।’
গোপালগঞ্জ পৌরসভার ২৫ বছরের পুরোনো পানি শোধনাগার বিকল হওয়ার পথে। যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে পানি সরবরাহ। শোধনাগারের বেহাল দশার কারণে চাহিদার ৪ ভাগের ১ ভাগ পানিও সরবরাহ করতে হিমশিম পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা।
এদিকে পৌরসভার আয়তন বাড়লেও নতুন করে ১ মিটার পাইপলাইন স্থাপন করাও সম্ভব হয়নি। তবে পানির সংকট সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বিপুল চাহিদা থাকলেও সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের বেহাল দশার কারণে তা পূরণ করতে পারছে না পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ৩টি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ৬টি ওভারহেড ট্যাংক থাকলেও দিন দিন কমছে সক্ষমতা।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভাটিতে বর্তমানে পানির গ্রাহক রয়েছে ১০ হাজার ১৪৯ জন। ৩০.৭০ বর্গকিলোমিটারের এ পৌরসভায় প্রতিদিন পানির চাহিদা রয়েছে ৬০ মিলিয়ন লিটার। কিন্তু সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে মাত্র ১৫ মিলিয়ন লিটার। ১৩.৮২ বর্গকিলোমিটারের পৌরসভাটিকে ২০২১ সালে আরও বর্ধিত করে করা হয় ১৬.৮৮ বর্গকিলোমিটার। পরিধি বাড়লেও ৪ বছরে নতুন একটি পাইপলাইন নেটওয়ার্কও স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ৯টি হাইলিফট পাম্পের মধ্যে ১টি নষ্ট দীর্ঘদিন ধরে। বাকি পাম্পগুলোরও করুণ দশা। প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। এতে পুরোনো গ্রাহকদেরই পানি সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রাহক-কর্তৃপক্ষ উভয়েই।
জানতে চাইলে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রহমান মিয়া বলেন, ‘আমরা ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে পানি পাচ্ছি না। নিয়মিত পৌরসভার পানির বিল পরিশোধ করে যাচ্ছি। এখন একটু বন্যার পানি আসছে এ জন্য গোসল ও ধোয়ামোছার জন্য পাইপের মাধ্যমে বিল থেকে পানি উঠিয়ে আনতেছি।’
আব্দুর রহমান মিয়া আরও বলেন, ‘খাওয়া ও রান্নার জন্য বোতলের পানি কেনা লাগছে। বিলের পানিতে দুর্গন্ধ থাকার পরও বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে। পানির অপর নাম জীবন, আমরা এই পানির অভাবে মরতে পড়েছি।’
পৌরসভার অন্য বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, ‘আমরা কেমন পৌরসভায় বসবাস করি, তা-ই বুঝি না। এত বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে পানির সংযোগ পেলাম না।’ মিলন মোল্লা বলেন, ‘পানির এত সংকট, পৌরসভার ভেতরের বাড়িঘর ছেড়ে মনে হয় নদীর পাশে গিয়ে আমাদের বসবাস করতে হবে। পানি ছাড়া জীবন কি চলে?’
জানতে চাইলে পৌর পানি সরবরাহ শাখার ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী সরূপ বোস বলেন, ‘পৌরসভা ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এখানে পানির চাহিদা রয়েছে প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন লিটার। তার বিপরীতে সরবরাহ করতে পারি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ মিলিয়ন লিটার। শোধনাগারের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা ২৪ ঘণ্টা পানি সরবরাহ করি। চাহিদার তুলনায় পানি শোধনের সক্ষমতা না থাকায় মূলত এই সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন ওয়ার্ডে নতুন কোনো পাইপলাইন বসানো হয়নি, কারণ পুরোনো লাইনগুলোতে পানি দেওয়ার যে শোধনাগার রয়েছে, তার মেয়াদ দীর্ঘ কয়েক বছর হয়ে যাওয়ায় সেটির সক্ষমতা কমে গেছে। নতুন শোধনাগার তৈরি না হলে নতুন ওয়ার্ডে পাইপলাইন সংযোগ স্থাপন করে কোনো ফলাফল পাওয়া যাবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক বিশ্বজিৎ কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানির যে সংকট রয়েছে, তা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে ডিপিপি আকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশাবাদী, দ্রুতই প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। অনুমোদনের পর কাজ শেষ করতে পারলে পানির সংকট নিরসন হবে।’
ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
৪ ঘণ্টা আগেবরিশালের সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস চেয়ে হিজলা ও মুলাদী উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলছে। মুলাদীর মানুষের দাবি, স্বাধীনতার আগে ১৯৫৯ সালের নির্বাচন থেকে হিজলা-মুলাদী একসঙ্গে ছিল। ২০০৮ সালের পর তাঁদের বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখন মুলাদী সমিতির পক্ষে হিজলাকে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত করতে নির্বাচন
৪ ঘণ্টা আগেপরিবারের কেউ অসুস্থ হলে খাটে করে কাঁধে তুলে দুই কিলোমিটার কাদাপথ পাড়ি দিতে হয়। পায়ে হেঁটে, হাঁটু পর্যন্ত কাদা মাড়িয়ে যেতে হয় হাসপাতালে কিংবা ক্লিনিকে। এমন দুর্ভোগের চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামীণ সড়কে। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাটি পাকা না হলেও অন্তত চলাচলের উপযোগী করে
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে একের পর এক রেলওয়ের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে রেলের ভূমি ব্যবস্থাপনার কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদনে সব মিলিয়ে ৪২৭ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়ার তথ্য উঠে আসে। দখল হওয়া এসব জমির মধ্যে ১৫ দশমিক ২১৮৩ একর সিএস, এসএ, আরএস, বিএস জরিপের সময় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে
৪ ঘণ্টা আগে