আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোট ৫০টি থানা। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ২৩টি থানা এখনো অন্যের জমি কিংবা ভবন ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে ভাড়ার পেছনে ডিএমপির মাসে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ হিসাবে বছরে ভাড়া বাবদ মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।
ডিএমপির এস্টেট (ভূসম্পত্তি) বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জমি না থাকায় অনেক থানা স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারছে না। ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাঠামো অস্থায়ীভাবে পরিচালিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। তদারকি ও জনসাধারণের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসব থানায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব থানার অস্ত্রাগার, হাজতখানাও তৈরি হয় অপরিকল্পিতভাবে।
রাজধানীর আদাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। এই এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রয়েছে। মোহাম্মদপুর-শ্যামলী রিং রোডের পাশেই একটি ছয়তলা ভবনে আদাবর থানার কাজ চলছে। নিচে দুটি দোকান। দ্বিতীয় তলা থেকে থানা ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভবনের দক্ষিণ পাশের বাইরের অংশে দেয়াল ঘেঁষেই ওপরে ওঠার জন্য সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। সিঁড়িটি অত্যন্ত খাড়া। তা ভেঙেই সেবাপ্রার্থীদের থানায় উঠতে হয়, যা বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, আদাবর থানার সামনের সড়কে পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি লেগুনা ও একটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা। এতে সড়ক সরু হয়ে আছে। ফলে শিয়া মসজিদ দিয়ে শ্যামলীর দিকে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। থানার গাড়ি রাখার কোনো পার্কিং না থাকায় পুলিশ সদস্যরা সড়কেই গাড়ি রাখেন। সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতেই দেখা যায়, দোতলার বাঁ পাশে ডিউটি অফিসার বসেন, আর ডান পাশে ওসির কক্ষ। এরপরই বাঁ পাশে হাজতখানা, যা অত্যন্ত ঘিঞ্জি অবস্থা।
রামপুরা ও হাতিরঝিল থানারও একই অবস্থা দেখা গেছে। মগবাজারের মধুবাগের মাঠ এলাকায় হাতিরঝিল থানা ভবন। থানার চারপাশে আবাসিক ভবন। এই থানায় কেউ গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কেই যানজটে আটকে থাকতে হয়।
ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অর্ধশত থানার মধ্যে কেবল ২৭টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। অবশিষ্ট ২৩টি থানার মধ্যে ১০টির নিজস্ব জমি থাকলেও সেখানে এখনো স্থায়ী ভবন হয়নি। আর ১৩টি থানার জমি ও ভবন কোনোটিই নেই।
নিজস্ব জমি ও ভবনবিহীন ১৩ থানা
ডিএমপির ১৩টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন কিছুই নেই। সেগুলো হলো–তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, রূপনগর, মতিঝিল, শাহআলী, খিলক্ষেত, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, শাহবাগ, বংশাল, উত্তরা পশ্চিম, দারুস সালাম, বিমানবন্দর ও হাতিরঝিল থানা। এর মধ্যে শাহবাগ থানা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে। এটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমি। এখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের প্রকল্প চলছে। তাই থানাটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার।
জমি আছে কিন্তু ভবন নেই ১০ থানার
ডিএমপির ১০টি থানার জমি থাকলেও তাদের কোনো ভবন নেই। তাই তাদেরও ভাড়া করা ভবনেই থানার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। সেগুলো হলো–মুগদা, রামপুরা, ওয়ারী, কদমতলী, কাফরুল, ভাষানটেক, রমনা, কলাবাগান, বাড্ডা ও আদাবর থানা।
২১ পুলিশ ফাঁড়ির জমি ও ভবন আছে
ঢাকার ২২টি পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে ২১টিরই নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। যেটির জমি ও ভবন নেই, সেটির বিষয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে ডিএমপির। এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেবল থানা নয়, ৩১টি স্থাপনার ভাড়াও দিতে হয় ডিএমপিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. তৌহিদুল হক বলছেন, ঢাকার মতো জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে থানাগুলোকে অস্থায়ী বা ভাড়া করা ভবনে রাখলে তা শুধু প্রশাসনিক অসচ্ছলতা নয়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করে। এ কারণে সরকারের উচিত প্রতিটি থানার জন্য নিজস্ব জমি ও ভবন নিশ্চিত করা।
ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান বলেন, বেশ কিছু থানার নিজস্ব ভবন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। সেগুলো তৈরি হলে ধীরে ধীরে থানাগুলো নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হবে।
ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোট ৫০টি থানা। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ২৩টি থানা এখনো অন্যের জমি কিংবা ভবন ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে ভাড়ার পেছনে ডিএমপির মাসে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ হিসাবে বছরে ভাড়া বাবদ মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।
ডিএমপির এস্টেট (ভূসম্পত্তি) বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জমি না থাকায় অনেক থানা স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারছে না। ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাঠামো অস্থায়ীভাবে পরিচালিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। তদারকি ও জনসাধারণের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসব থানায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব থানার অস্ত্রাগার, হাজতখানাও তৈরি হয় অপরিকল্পিতভাবে।
রাজধানীর আদাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। এই এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রয়েছে। মোহাম্মদপুর-শ্যামলী রিং রোডের পাশেই একটি ছয়তলা ভবনে আদাবর থানার কাজ চলছে। নিচে দুটি দোকান। দ্বিতীয় তলা থেকে থানা ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভবনের দক্ষিণ পাশের বাইরের অংশে দেয়াল ঘেঁষেই ওপরে ওঠার জন্য সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। সিঁড়িটি অত্যন্ত খাড়া। তা ভেঙেই সেবাপ্রার্থীদের থানায় উঠতে হয়, যা বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, আদাবর থানার সামনের সড়কে পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি লেগুনা ও একটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা। এতে সড়ক সরু হয়ে আছে। ফলে শিয়া মসজিদ দিয়ে শ্যামলীর দিকে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। থানার গাড়ি রাখার কোনো পার্কিং না থাকায় পুলিশ সদস্যরা সড়কেই গাড়ি রাখেন। সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতেই দেখা যায়, দোতলার বাঁ পাশে ডিউটি অফিসার বসেন, আর ডান পাশে ওসির কক্ষ। এরপরই বাঁ পাশে হাজতখানা, যা অত্যন্ত ঘিঞ্জি অবস্থা।
রামপুরা ও হাতিরঝিল থানারও একই অবস্থা দেখা গেছে। মগবাজারের মধুবাগের মাঠ এলাকায় হাতিরঝিল থানা ভবন। থানার চারপাশে আবাসিক ভবন। এই থানায় কেউ গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কেই যানজটে আটকে থাকতে হয়।
ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অর্ধশত থানার মধ্যে কেবল ২৭টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। অবশিষ্ট ২৩টি থানার মধ্যে ১০টির নিজস্ব জমি থাকলেও সেখানে এখনো স্থায়ী ভবন হয়নি। আর ১৩টি থানার জমি ও ভবন কোনোটিই নেই।
নিজস্ব জমি ও ভবনবিহীন ১৩ থানা
ডিএমপির ১৩টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন কিছুই নেই। সেগুলো হলো–তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, রূপনগর, মতিঝিল, শাহআলী, খিলক্ষেত, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, শাহবাগ, বংশাল, উত্তরা পশ্চিম, দারুস সালাম, বিমানবন্দর ও হাতিরঝিল থানা। এর মধ্যে শাহবাগ থানা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে। এটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমি। এখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের প্রকল্প চলছে। তাই থানাটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার।
জমি আছে কিন্তু ভবন নেই ১০ থানার
ডিএমপির ১০টি থানার জমি থাকলেও তাদের কোনো ভবন নেই। তাই তাদেরও ভাড়া করা ভবনেই থানার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। সেগুলো হলো–মুগদা, রামপুরা, ওয়ারী, কদমতলী, কাফরুল, ভাষানটেক, রমনা, কলাবাগান, বাড্ডা ও আদাবর থানা।
২১ পুলিশ ফাঁড়ির জমি ও ভবন আছে
ঢাকার ২২টি পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে ২১টিরই নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। যেটির জমি ও ভবন নেই, সেটির বিষয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে ডিএমপির। এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেবল থানা নয়, ৩১টি স্থাপনার ভাড়াও দিতে হয় ডিএমপিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. তৌহিদুল হক বলছেন, ঢাকার মতো জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে থানাগুলোকে অস্থায়ী বা ভাড়া করা ভবনে রাখলে তা শুধু প্রশাসনিক অসচ্ছলতা নয়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করে। এ কারণে সরকারের উচিত প্রতিটি থানার জন্য নিজস্ব জমি ও ভবন নিশ্চিত করা।
ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান বলেন, বেশ কিছু থানার নিজস্ব ভবন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। সেগুলো তৈরি হলে ধীরে ধীরে থানাগুলো নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হবে।
বরিশালের সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস চেয়ে হিজলা ও মুলাদী উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলছে। মুলাদীর মানুষের দাবি, স্বাধীনতার আগে ১৯৫৯ সালের নির্বাচন থেকে হিজলা-মুলাদী একসঙ্গে ছিল। ২০০৮ সালের পর তাঁদের বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখন মুলাদী সমিতির পক্ষে হিজলাকে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত করতে নির্বাচন
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ পৌরসভার ২৫ বছরের পুরোনো পানি শোধনাগার বিকল হওয়ার পথে। যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে পানি সরবরাহ। শোধনাগারের বেহাল দশার কারণে চাহিদার ৪ ভাগের ১ ভাগ পানিও সরবরাহ করতে হিমশিম পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা।
৪ ঘণ্টা আগেপরিবারের কেউ অসুস্থ হলে খাটে করে কাঁধে তুলে দুই কিলোমিটার কাদাপথ পাড়ি দিতে হয়। পায়ে হেঁটে, হাঁটু পর্যন্ত কাদা মাড়িয়ে যেতে হয় হাসপাতালে কিংবা ক্লিনিকে। এমন দুর্ভোগের চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামীণ সড়কে। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাটি পাকা না হলেও অন্তত চলাচলের উপযোগী করে
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে একের পর এক রেলওয়ের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে রেলের ভূমি ব্যবস্থাপনার কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদনে সব মিলিয়ে ৪২৭ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়ার তথ্য উঠে আসে। দখল হওয়া এসব জমির মধ্যে ১৫ দশমিক ২১৮৩ একর সিএস, এসএ, আরএস, বিএস জরিপের সময় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে
৪ ঘণ্টা আগে