নীলফামারীর সৈয়দপুর
রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একের পর এক রেলওয়ের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে রেলের ভূমি ব্যবস্থাপনার কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদনে সব মিলিয়ে ৪২৭ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়ার তথ্য উঠে আসে। দখল হওয়া এসব জমির মধ্যে ১৫ দশমিক ২১৮৩ একর সিএস, এসএ, আরএস, বিএস জরিপের সময় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত এবং নামজারি করা হয়েছে। প্রতিবেদন জমা পড়ার তিন বছর পার হলেও এসব জমি সংশোধনের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। এভাবে জমি দখল হয়ে যাওয়ায় শুধু লাইসেন্স ফি বাবদই বার্ষিক ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে রেলের।
সৈয়দপুর রেল সূত্র বলেছে, উপজেলা শহরে রেলওয়ের ৮০০ একর ভূসম্পত্তির মধ্যে ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমিতে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা গড়ে ওঠে। অবশিষ্ট জমির মধ্যে আছে রেলের বিভিন্ন স্থাপনা ও কর্মচারীদের জন্য বসতবাড়ি। অব্যবহৃত জমির মধ্যে ৫৫ একর কৃষি, ২১ দশমিক ৩৮ একর জলাশয়, ১ একর বাণিজ্যিক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৫ দশমিক ৭৫ একর জমি পৌরসভার কাছে আছে। আর স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত রেলের বাদবাকি ৪৩৭ একর জমি বেহাত বা দখল হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনার কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ফিল্ড কানুনগো ৭ নম্বর কাছারি সৈয়দপুর কার্যালয়ের অধীনে বিমানবন্দর-সংলগ্ন নিচু কলোনি নির্মাণের জন্য ১৯ দশমিক ২৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়, যা ৩২টি সিএস দাগে রেলওয়ের রেকর্ডভুক্ত। কিন্তু ২০১২-২০২২ সালে সেই জমির মধ্যে ১৫ দশমিক ২১৮৩ একর ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। এসব জমির নিবন্ধন আর পুনর্নবায়ন করা হচ্ছে না। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে রেল বিভাগ।
কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০০৬-এর নির্দেশনা প্রতিপালন না করা, অধিগ্রহণ করা সব ভূমির স্বত্ব রেকর্ড সংরক্ষণ না করা, জমির সীমানা চিহ্নিত না করা ও কৃষি, মৎস্য, বাণিজ্যিক প্রভৃতি জমির রেকর্ড সংরক্ষণ না করা এবং সব ধরনের জমির হিসাব রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ না করায় রেলের প্রকৃত জমির হিসাব সংরক্ষণে অনিয়ম হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রেলওয়ের জমি দখল ও ব্যক্তির নামে রেকর্ড এবং নামজারির সঙ্গে খোদ স্থানীয় ভূমি অফিস ও রেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৮৫ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে ২৫ দশমিক ৭৫ একর জমি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে। চুক্তি অনুযায়ী, জমির মালিকানা রেলের কাছেই থাকার কথা ছিল। কিন্তু পৌরসভাকে দেওয়া ওই ২৫ দশমিক ৭৫ একরের ওপর ভিত্তি করেই রেলওয়ের জমি দিন দিন বেদখল হচ্ছে।
রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু জমি নয়, রেলের ১ হাজার ৪০০ বসতবাড়ির মধ্যে অর্ধেকের বেশি বেদখল হয়ে গেছে। রেলওয়ে কোয়ার্টার ভেঙে অনেক দখলদার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এগুলোতে নেসকো বিদ্যুৎ-সংযোগও দিয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গাফিলতি ও যোগসাজশে রেলওয়ের জমি অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি হয়েছে।’
এ বিষয়ে ৭ নম্বর কাছারি সৈয়দপুর কার্যালয়ের কানুনগো শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ কর্মস্থলে নতুন। ব্যাপারটি জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে। আর আইনি কার্যক্রম নেওয়া না হলে দ্রুততম সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে কথা হলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে। তাই রেলের জমি ব্যক্তির নামে নামজারির বিষয়টি কিংবা রেল কর্তৃপক্ষ নামজারি সংশোধনের জন্য কোনো মামলা করেছে কি না, তা জানা নেই। সরকারি জমি ব্যক্তির নামে নামজারি হওয়ার সুযোগ নেই। যদি এ রকম হয়ে থাকে, তবে তা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একের পর এক রেলওয়ের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে রেলের ভূমি ব্যবস্থাপনার কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদনে সব মিলিয়ে ৪২৭ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়ার তথ্য উঠে আসে। দখল হওয়া এসব জমির মধ্যে ১৫ দশমিক ২১৮৩ একর সিএস, এসএ, আরএস, বিএস জরিপের সময় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত এবং নামজারি করা হয়েছে। প্রতিবেদন জমা পড়ার তিন বছর পার হলেও এসব জমি সংশোধনের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। এভাবে জমি দখল হয়ে যাওয়ায় শুধু লাইসেন্স ফি বাবদই বার্ষিক ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে রেলের।
সৈয়দপুর রেল সূত্র বলেছে, উপজেলা শহরে রেলওয়ের ৮০০ একর ভূসম্পত্তির মধ্যে ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমিতে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা গড়ে ওঠে। অবশিষ্ট জমির মধ্যে আছে রেলের বিভিন্ন স্থাপনা ও কর্মচারীদের জন্য বসতবাড়ি। অব্যবহৃত জমির মধ্যে ৫৫ একর কৃষি, ২১ দশমিক ৩৮ একর জলাশয়, ১ একর বাণিজ্যিক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৫ দশমিক ৭৫ একর জমি পৌরসভার কাছে আছে। আর স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত রেলের বাদবাকি ৪৩৭ একর জমি বেহাত বা দখল হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনার কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ফিল্ড কানুনগো ৭ নম্বর কাছারি সৈয়দপুর কার্যালয়ের অধীনে বিমানবন্দর-সংলগ্ন নিচু কলোনি নির্মাণের জন্য ১৯ দশমিক ২৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়, যা ৩২টি সিএস দাগে রেলওয়ের রেকর্ডভুক্ত। কিন্তু ২০১২-২০২২ সালে সেই জমির মধ্যে ১৫ দশমিক ২১৮৩ একর ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। এসব জমির নিবন্ধন আর পুনর্নবায়ন করা হচ্ছে না। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে রেল বিভাগ।
কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০০৬-এর নির্দেশনা প্রতিপালন না করা, অধিগ্রহণ করা সব ভূমির স্বত্ব রেকর্ড সংরক্ষণ না করা, জমির সীমানা চিহ্নিত না করা ও কৃষি, মৎস্য, বাণিজ্যিক প্রভৃতি জমির রেকর্ড সংরক্ষণ না করা এবং সব ধরনের জমির হিসাব রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ না করায় রেলের প্রকৃত জমির হিসাব সংরক্ষণে অনিয়ম হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রেলওয়ের জমি দখল ও ব্যক্তির নামে রেকর্ড এবং নামজারির সঙ্গে খোদ স্থানীয় ভূমি অফিস ও রেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৮৫ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে ২৫ দশমিক ৭৫ একর জমি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে। চুক্তি অনুযায়ী, জমির মালিকানা রেলের কাছেই থাকার কথা ছিল। কিন্তু পৌরসভাকে দেওয়া ওই ২৫ দশমিক ৭৫ একরের ওপর ভিত্তি করেই রেলওয়ের জমি দিন দিন বেদখল হচ্ছে।
রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু জমি নয়, রেলের ১ হাজার ৪০০ বসতবাড়ির মধ্যে অর্ধেকের বেশি বেদখল হয়ে গেছে। রেলওয়ে কোয়ার্টার ভেঙে অনেক দখলদার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এগুলোতে নেসকো বিদ্যুৎ-সংযোগও দিয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গাফিলতি ও যোগসাজশে রেলওয়ের জমি অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি হয়েছে।’
এ বিষয়ে ৭ নম্বর কাছারি সৈয়দপুর কার্যালয়ের কানুনগো শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ কর্মস্থলে নতুন। ব্যাপারটি জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে। আর আইনি কার্যক্রম নেওয়া না হলে দ্রুততম সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে কথা হলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে। তাই রেলের জমি ব্যক্তির নামে নামজারির বিষয়টি কিংবা রেল কর্তৃপক্ষ নামজারি সংশোধনের জন্য কোনো মামলা করেছে কি না, তা জানা নেই। সরকারি জমি ব্যক্তির নামে নামজারি হওয়ার সুযোগ নেই। যদি এ রকম হয়ে থাকে, তবে তা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
৩ ঘণ্টা আগেবরিশালের সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস চেয়ে হিজলা ও মুলাদী উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলছে। মুলাদীর মানুষের দাবি, স্বাধীনতার আগে ১৯৫৯ সালের নির্বাচন থেকে হিজলা-মুলাদী একসঙ্গে ছিল। ২০০৮ সালের পর তাঁদের বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখন মুলাদী সমিতির পক্ষে হিজলাকে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত করতে নির্বাচন
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ পৌরসভার ২৫ বছরের পুরোনো পানি শোধনাগার বিকল হওয়ার পথে। যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে পানি সরবরাহ। শোধনাগারের বেহাল দশার কারণে চাহিদার ৪ ভাগের ১ ভাগ পানিও সরবরাহ করতে হিমশিম পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা।
৪ ঘণ্টা আগেপরিবারের কেউ অসুস্থ হলে খাটে করে কাঁধে তুলে দুই কিলোমিটার কাদাপথ পাড়ি দিতে হয়। পায়ে হেঁটে, হাঁটু পর্যন্ত কাদা মাড়িয়ে যেতে হয় হাসপাতালে কিংবা ক্লিনিকে। এমন দুর্ভোগের চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামীণ সড়কে। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাটি পাকা না হলেও অন্তত চলাচলের উপযোগী করে
৪ ঘণ্টা আগে