মাহবুব আলম রাসেল, দৌলতপুর
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় এবার কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে আশানুরূপ দাম পাচ্ছে না কৃষকেরা। উৎপাদন খরচ, খেত থেকে মরিচ তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে যে টাকা খরচ হয় সে টাকাও উঠছে না তাঁদের। ফলে ন্যায্য দাম না পেয়ে কাঁচা মরিচ চাষিদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা।
দৌলতপুরে কাঁচা মরিচের বড় বাজার হচ্ছে উলাইল বাজার ও বহড়া বাজার। এই দুই বাজারে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মরিচ চাষিরা মরিচ বিক্রি করতে নিয়ে আসে। দুই বাজারে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ শত মন মরিচের আমদানি হয়। এলাকার ব্যবসায়ীরা ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে মরিচ ক্রয় করেন।
উলাইল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। অথচ একই মরিচ রাজধানীতে এসে দাম বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এবার যদি মরিচের দাম আর না বাড়ে তাহলে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে উপজেলার চাষিদের। এ অঞ্চলের কাঁচা মরিচ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও লকডাউনের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় মরিচ রপ্তানিতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচের রপ্তানি বাজার। নামে মাত্র অল্প কিছু মরিচ পাঠানো হচ্ছে বিদেশে। এসবের প্রভাব পড়ছে স্থানীয় হাট বাজারে।
বহড়া বাড়ি গ্রামের মরিচ চাষি রাশেদ শিকদার বলেন, আমি এ বছর ৩ বিঘা মরিচের আবাদ করেছি। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মন মরিচ বাজারে নিয়ে যাই। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করি ১০ থেকে ১১ টাকা। এক কেজি মরিচ তুলতে দিতে হয় ৫ টাকা। বাজারে নিতে গাড়ি ভাড়া, উৎপাদন খরচ বাদ দিলে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ফলন ভালো করতে হলে উৎপাদন খরচ ও অনেক বেশি হয়। প্রতি সপ্তাহেই ভিটামিন ও কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। গত সপ্তাহে মরিচের দাম ছিল ৫ টাকা কেজি। এ সপ্তাহে একটু বেড়ে ১০ থেকে ১১ টাকা হয়েছে। ২০ টাকার নিচে মরিচ বিক্রি করলেই আমাদের লোকসান হয়।
মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. রাজা মিয়া জানান, আমি স্থানীয় বাজার থেকে মরিচ কিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও খুলনা অঞ্চলে পাইকারি বিক্রি করি। লকডাউনের কারণে ট্রাক ভাড়া অত্যধিক হওয়ায় লাভের পরিমাণ অনেক কম। বাজারে মরিচের দাম বেশি থাকলে লাভ বেশি হতো।
টাঙ্গাইল সদর থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমি সরাসরি টাঙ্গাইল থেকে হ্যালোবাইক নিয়ে উলাইল বাজারে আসি মরিচ কিনতে। আমাদের এলাকায় এখানকার বিন্দু মরিচের ব্যাপক চাহিদা। আজকে ১৫ মন মরিচ কিনেছি। আমার এলাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করবো। অন্য বছরের তুলনায় এবার মরিচের দাম অনেক কম।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) হালিম বিশ্বাস বলেন, এ বছর দৌলতপুর উপজেলায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদও অনেক বেশি হয়েছে। গত বছর রবি ও খরিপ মৌসুমে মরিচের আবাদ হয়েছিল ৭০ হেক্টর জমিতে। আর এ বছর দুই মৌসুম মিলে আবাদ হয়েছে ৯৫ হেক্টর। দাম কম থাকায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর কাঁচা মরিচের আবাদে কৃষকেরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিচালক মো. আশরাফউজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলাতে ৫ হাজার ৭০৯ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ মাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর। গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি মরিচের আবাদ হয়েছে এ বছর। বর্তমানে দাম অনেক কম থাকায়, কৃষকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিদেশে রপ্তানি না করতে পেরে মরিচের বাজার নিম্নমুখী। তবে বর্ষা মৌসুমে মরিচের বাজার একটু চাঙা হবে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় এবার কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে আশানুরূপ দাম পাচ্ছে না কৃষকেরা। উৎপাদন খরচ, খেত থেকে মরিচ তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে যে টাকা খরচ হয় সে টাকাও উঠছে না তাঁদের। ফলে ন্যায্য দাম না পেয়ে কাঁচা মরিচ চাষিদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা।
দৌলতপুরে কাঁচা মরিচের বড় বাজার হচ্ছে উলাইল বাজার ও বহড়া বাজার। এই দুই বাজারে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মরিচ চাষিরা মরিচ বিক্রি করতে নিয়ে আসে। দুই বাজারে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ শত মন মরিচের আমদানি হয়। এলাকার ব্যবসায়ীরা ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে মরিচ ক্রয় করেন।
উলাইল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। অথচ একই মরিচ রাজধানীতে এসে দাম বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এবার যদি মরিচের দাম আর না বাড়ে তাহলে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে উপজেলার চাষিদের। এ অঞ্চলের কাঁচা মরিচ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও লকডাউনের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় মরিচ রপ্তানিতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচের রপ্তানি বাজার। নামে মাত্র অল্প কিছু মরিচ পাঠানো হচ্ছে বিদেশে। এসবের প্রভাব পড়ছে স্থানীয় হাট বাজারে।
বহড়া বাড়ি গ্রামের মরিচ চাষি রাশেদ শিকদার বলেন, আমি এ বছর ৩ বিঘা মরিচের আবাদ করেছি। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মন মরিচ বাজারে নিয়ে যাই। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করি ১০ থেকে ১১ টাকা। এক কেজি মরিচ তুলতে দিতে হয় ৫ টাকা। বাজারে নিতে গাড়ি ভাড়া, উৎপাদন খরচ বাদ দিলে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ফলন ভালো করতে হলে উৎপাদন খরচ ও অনেক বেশি হয়। প্রতি সপ্তাহেই ভিটামিন ও কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। গত সপ্তাহে মরিচের দাম ছিল ৫ টাকা কেজি। এ সপ্তাহে একটু বেড়ে ১০ থেকে ১১ টাকা হয়েছে। ২০ টাকার নিচে মরিচ বিক্রি করলেই আমাদের লোকসান হয়।
মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. রাজা মিয়া জানান, আমি স্থানীয় বাজার থেকে মরিচ কিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও খুলনা অঞ্চলে পাইকারি বিক্রি করি। লকডাউনের কারণে ট্রাক ভাড়া অত্যধিক হওয়ায় লাভের পরিমাণ অনেক কম। বাজারে মরিচের দাম বেশি থাকলে লাভ বেশি হতো।
টাঙ্গাইল সদর থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমি সরাসরি টাঙ্গাইল থেকে হ্যালোবাইক নিয়ে উলাইল বাজারে আসি মরিচ কিনতে। আমাদের এলাকায় এখানকার বিন্দু মরিচের ব্যাপক চাহিদা। আজকে ১৫ মন মরিচ কিনেছি। আমার এলাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করবো। অন্য বছরের তুলনায় এবার মরিচের দাম অনেক কম।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) হালিম বিশ্বাস বলেন, এ বছর দৌলতপুর উপজেলায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদও অনেক বেশি হয়েছে। গত বছর রবি ও খরিপ মৌসুমে মরিচের আবাদ হয়েছিল ৭০ হেক্টর জমিতে। আর এ বছর দুই মৌসুম মিলে আবাদ হয়েছে ৯৫ হেক্টর। দাম কম থাকায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর কাঁচা মরিচের আবাদে কৃষকেরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিচালক মো. আশরাফউজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলাতে ৫ হাজার ৭০৯ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ মাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর। গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি মরিচের আবাদ হয়েছে এ বছর। বর্তমানে দাম অনেক কম থাকায়, কৃষকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিদেশে রপ্তানি না করতে পেরে মরিচের বাজার নিম্নমুখী। তবে বর্ষা মৌসুমে মরিচের বাজার একটু চাঙা হবে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরার দেবহাটায় ট্রলিচাপায় মারিয়া আফরিন মিম (৭) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার দেবীশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেহবিগঞ্জে দলীয় লিফলেট বিতরণের সময় মোহাম্মদ শামীম আহমেদ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের করে পুলিশে দিয়েছে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা। গতকাল শনিবার রাতে শহরের উত্তর শ্যামলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেঘন কুয়াশায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহতরা রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের দুই পাশের সড়কে ব্যারিকেড দেন। আহত বেশ কয়েকজন সড়কের ওপর শুয়ে পড়েন।
২ ঘণ্টা আগে