গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর থানা হেফাজত থেকে হৃদয় শেখ নামে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার থানা-পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাসহ দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে এই ঘটে।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে যান আসামি। অন্যদিকে মামলার বাদীর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে আসামি পালানোর নাটক সাজানো হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাদীর সহযোগিতায় বাড়ি থেকে হৃদয় নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলাদা কক্ষ থাকলেও বুধবার সকাল ৮টার দিকে আসামিকে ছুটিতে থাকা ওসি তদন্তের রুমে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে যান আসামি। বিষয়টি প্রথমে গোপন থাকলেও ওই দিন রাতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ঘটনাটি জানাজানি হলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
হত্যার শিকার হওয়া আকাশের পরিবারের দাবি, টাকার বিনিময়ে আসামি হৃদয়কে পালাতে সহায়তা করেছে পুলিশ। ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে গোপন রাখা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি থান-পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
বাদী শাহ আলম বলেন, ‘৭ জানুয়ারি বিকেলে পুলিশকে ফোন দিয়ে মামলার আসামির অবস্থান জানাই। পরে পুলিশ গিয়ে আসামি হৃদয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন সকালে থানা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফোন করে জানান আসামি থানা থেকে পালিয়েছে এবং এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে।’
তিনি বলেন, ‘ছেলে হত্যার এক বছর পার হলেও আমি বিচার পাচ্ছি না। আসামি ধরে দিয়েছি, কিন্তু তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় ওসি টাকা খেয়েছে। যদি টাকা না খায়, তাহলে থানা থেকে কীভাবে আসামি পালায়। থানায় আমাদের কোনো দাম নাই। কারণ, আমরা গরিব। এ জন্য যারা বড়লোক তাদের দাম আছে। তারা টাকা দিয়ে এক রাতে ছাড়াই নিয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনা ও আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
জানতে চাইলে মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘থানায় যে ঘটনা ঘটেছে, এটা একটা দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। এটা সাধারণ কোনো ব্যাপার না, এটা অস্বাভাবিক একটা ঘটনা। এই অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে সে সময়ে যে পুলিশ সদস্য ছিল, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।’
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার দামদরদী গ্রামের বাড়ি থেকে ভ্যান চালানোর উদ্দেশে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ভ্যানচালক আকাশ (১৬)। পরে ৭ মার্চ মুকসুদপুরের একটি ডোবা থেকে আকাশের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হৃদয় শেখসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আকাশের বাবা শাহা আলম মাতুব্বর।
গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর থানা হেফাজত থেকে হৃদয় শেখ নামে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার থানা-পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাসহ দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে এই ঘটে।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে যান আসামি। অন্যদিকে মামলার বাদীর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে আসামি পালানোর নাটক সাজানো হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাদীর সহযোগিতায় বাড়ি থেকে হৃদয় নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলাদা কক্ষ থাকলেও বুধবার সকাল ৮টার দিকে আসামিকে ছুটিতে থাকা ওসি তদন্তের রুমে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে যান আসামি। বিষয়টি প্রথমে গোপন থাকলেও ওই দিন রাতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ঘটনাটি জানাজানি হলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
হত্যার শিকার হওয়া আকাশের পরিবারের দাবি, টাকার বিনিময়ে আসামি হৃদয়কে পালাতে সহায়তা করেছে পুলিশ। ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে গোপন রাখা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি থান-পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
বাদী শাহ আলম বলেন, ‘৭ জানুয়ারি বিকেলে পুলিশকে ফোন দিয়ে মামলার আসামির অবস্থান জানাই। পরে পুলিশ গিয়ে আসামি হৃদয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন সকালে থানা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফোন করে জানান আসামি থানা থেকে পালিয়েছে এবং এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে।’
তিনি বলেন, ‘ছেলে হত্যার এক বছর পার হলেও আমি বিচার পাচ্ছি না। আসামি ধরে দিয়েছি, কিন্তু তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় ওসি টাকা খেয়েছে। যদি টাকা না খায়, তাহলে থানা থেকে কীভাবে আসামি পালায়। থানায় আমাদের কোনো দাম নাই। কারণ, আমরা গরিব। এ জন্য যারা বড়লোক তাদের দাম আছে। তারা টাকা দিয়ে এক রাতে ছাড়াই নিয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনা ও আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
জানতে চাইলে মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘থানায় যে ঘটনা ঘটেছে, এটা একটা দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। এটা সাধারণ কোনো ব্যাপার না, এটা অস্বাভাবিক একটা ঘটনা। এই অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে সে সময়ে যে পুলিশ সদস্য ছিল, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।’
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার দামদরদী গ্রামের বাড়ি থেকে ভ্যান চালানোর উদ্দেশে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ভ্যানচালক আকাশ (১৬)। পরে ৭ মার্চ মুকসুদপুরের একটি ডোবা থেকে আকাশের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হৃদয় শেখসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আকাশের বাবা শাহা আলম মাতুব্বর।
সুন্দরগঞ্জে প্রতিবেশীর হামলায় আহত মো. ইলিয়াস হোসেন (৪২) নামের এক বিএনপি নেতা মারা গেছেন। আজ শনিবার বিকেলের দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
৮ মিনিট আগেঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিন দেখতে কলাবাগান শিশু পার্ক সংলগ্ন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
১৩ মিনিট আগে১৩ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার মেঘনা ফেরিঘাটে অটোরিকশা নদীতে পড়ে নিখোঁজ দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদী থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সকালে কক্সবাজার সদর থানা এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে নগরের চান্দগাঁও থানা-পুলিশ। তিনি চান্দগাঁও থানার রাহাত্তারপুলে হামিদ আলী মিস্ত্রী বাড়ির মো. রফিকের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে