Ajker Patrika

নর্থ সাউথের ট্রাস্টি কাশেমের জামিন বহাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নর্থ সাউথের ট্রাস্টি কাশেমের জামিন বহাল 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় নর্থ সাউথের ট্রাস্টি এম এ কাশেমের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এম এ কাশেমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। 

এর আগে গত ৪ আগস্ট ট্রাস্টি এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেন হাইকোর্ট। শর্ত দুটি হলো-তারা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না। পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। তাতে ১৩ নভেম্বর চেম্বার আদালত রেহানা রহমানের জামিন বহাল রাখেন। তবে কাশেমের জামিন স্থগিত করে তা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। 

গত ২২ মে ট্রাস্টিরা আগাম জামিন নিতে আসলে পুলিশের হাতে তুলে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। 

নর্থ সাউথের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে ৫ মে মামলা করে দুদক। চার সদস্য ছাড়াও মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালীকে আসামি করা হয়। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ / ১০৯ / ৪২০ / ১৬১ / ১৬৫ক ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত