সিরাজদিখান ও টঙ্গিবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ডুবে যাওয়া পিকনিকের ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো তিন শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক, চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ও দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আজ রোববার বেলা ১১টায় উপজেলার রসকাঠির কাছে পদ্মার শাখা নদী থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিএ উপপরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, ‘এয়ার লিফটিং ব্যাগ’ এবং ‘চেন কপ্পা’ পদ্ধতিতে প্রায় ৭৫ ফুট দীর্ঘ প্রায় সাত টন ওজনের ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ দিকে দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আটক করা হয়েছে বালু বহনকারী বাল্কহেডটি। এ ঘটনায় বিকেলে বাল্কহেডের মালিক, চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় মামলা হয়েছে। ট্রলার ডুবিতে নিহত এ্যাপির ভাই রুবেল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজ শিশুরা হলো—সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কয়রাখোলা গ্রামের আরিফ হোসেনের ছেলে তুরান (৭) ও নাভা (৪) এবং একই গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে মাহির (৫)।
গতকাল শনিবার উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বারের ঘাট থেকে সকাল ৭টায় পদ্মা সেতু দেখার জন্য মাঝিসহ ৪৬ জন পিকনিকের উদ্দেশে বের হয়। সারা দিন আনন্দভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রলারটি লৌহজং উপজেলার রসকাঠি এলাকার গৌড়গঞ্জ তালতলা খাল (পদ্মার শাখা নদী) এলে বিপরীত দিক থেকে আসা খালি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জন প্রাণে বেঁচে যায়। আর বাকি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয় ও বাকি তিনজন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
আরও জানা যায়, গতকাল রাতে এক নারী ও আজ রোববার ৪ জনের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী খিদিরপুর গ্রামের মোক্তার হোসেন (৪৮) বলেন, ‘আমরা মাওয়া পদ্মা সেতু দেখে বাড়ির দিকে আসতেছিলাম। যখন লৌহজং উপজেলার রসকাঠি এলাকায় আসি, তখন বিপরীত দিক থেকে একটি খালি বাল্কহেড রাতের অন্ধকারে আমাদের ট্রলারের ওপরে উঠে যায়। সাথে সাথে আমাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে মাঝিসহ ৪৬ জন লোক ছিল। তার মধ্যে ৭ জন মারা যায় তিনজনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
স্থানীয়রা বলছে, যে স্থানে ট্রলারটি ডুবেছে তার এক পাশে লৌহজংয়ের রসকাঠি গ্রাম আর অপর প্রান্তে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার শিলিমপুর গ্রাম। দুর্ঘটনার পর দুই পাড়ের মানুষ ছুটে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের লোকজন যোগ হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল আউয়াল আজকের পত্রিকাকে জানান, এই পর্যন্ত ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩ শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃতদের দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ দেওয়া হবে।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ডুবে যাওয়া পিকনিকের ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো তিন শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক, চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ও দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আজ রোববার বেলা ১১টায় উপজেলার রসকাঠির কাছে পদ্মার শাখা নদী থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিএ উপপরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, ‘এয়ার লিফটিং ব্যাগ’ এবং ‘চেন কপ্পা’ পদ্ধতিতে প্রায় ৭৫ ফুট দীর্ঘ প্রায় সাত টন ওজনের ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ দিকে দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আটক করা হয়েছে বালু বহনকারী বাল্কহেডটি। এ ঘটনায় বিকেলে বাল্কহেডের মালিক, চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় মামলা হয়েছে। ট্রলার ডুবিতে নিহত এ্যাপির ভাই রুবেল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজ শিশুরা হলো—সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কয়রাখোলা গ্রামের আরিফ হোসেনের ছেলে তুরান (৭) ও নাভা (৪) এবং একই গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে মাহির (৫)।
গতকাল শনিবার উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বারের ঘাট থেকে সকাল ৭টায় পদ্মা সেতু দেখার জন্য মাঝিসহ ৪৬ জন পিকনিকের উদ্দেশে বের হয়। সারা দিন আনন্দভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রলারটি লৌহজং উপজেলার রসকাঠি এলাকার গৌড়গঞ্জ তালতলা খাল (পদ্মার শাখা নদী) এলে বিপরীত দিক থেকে আসা খালি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জন প্রাণে বেঁচে যায়। আর বাকি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয় ও বাকি তিনজন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
আরও জানা যায়, গতকাল রাতে এক নারী ও আজ রোববার ৪ জনের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী খিদিরপুর গ্রামের মোক্তার হোসেন (৪৮) বলেন, ‘আমরা মাওয়া পদ্মা সেতু দেখে বাড়ির দিকে আসতেছিলাম। যখন লৌহজং উপজেলার রসকাঠি এলাকায় আসি, তখন বিপরীত দিক থেকে একটি খালি বাল্কহেড রাতের অন্ধকারে আমাদের ট্রলারের ওপরে উঠে যায়। সাথে সাথে আমাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে মাঝিসহ ৪৬ জন লোক ছিল। তার মধ্যে ৭ জন মারা যায় তিনজনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
স্থানীয়রা বলছে, যে স্থানে ট্রলারটি ডুবেছে তার এক পাশে লৌহজংয়ের রসকাঠি গ্রাম আর অপর প্রান্তে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার শিলিমপুর গ্রাম। দুর্ঘটনার পর দুই পাড়ের মানুষ ছুটে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের লোকজন যোগ হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল আউয়াল আজকের পত্রিকাকে জানান, এই পর্যন্ত ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩ শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃতদের দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ দেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
৪২ মিনিট আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
৪৪ মিনিট আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
৪৪ মিনিট আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে