নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। সেই সঙ্গে নির্বাচনে ই-ভোট ও না ভোটসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসে দলটি এসব প্রস্তাবনা দিয়েছে।
লিখিত প্রস্তাবে দলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মুকিত বলেন, এ কথা অনস্বীকার্য যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে দেশে-বিদেশে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক এই বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হওয়া দুঃখজনক। আপনাদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর অনেক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই আপনারা আপনাদের সততা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে এমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন, যাতে করে বিতর্কমুক্ত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জনগণ আপনাদের প্রতি আস্থাশীল হতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রস্তাবনাগুলো হলো:
১. সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
২. নির্বাচনের কমপক্ষে ছয় মাস আগে ভোটারদের হালনাগাদ তালিকা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. নির্বাচনের তিন মাস আগে থেকে এবং নির্বাচনের পরবর্তী কমপক্ষে এক মাস পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারকে অনুরোধ জানাতে হবে।
৪. নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের জনবলের স্বল্পতার কথা বিবেচনা করে জাতীয় নির্বাচন প্রশাসনিক বিভাগ ওয়ারি, অর্থাৎ এক বিভাগে এক দিন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং নির্বাচন শেষে এক দিনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।
৫. যেসব কর্মকর্তার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল বা আছে এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার সকল পর্যায়ে দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখতে হবে।
৬. ভোটদানের গোপন কক্ষ ছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ও বুথে অনিয়ম রোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ভোটকেন্দ্রের বাইরে বড় মনিটরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭. প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে তাদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এই ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল না বা বর্তমানে নাই এমন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৮. আগামী নির্বাচন থেকেই স্বল্প পরিসরে হলেও ই-ভোটিং চালু করতে হবে।
৯. সব দল না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না।
১০. নির্বাচন কমিশনের খরচে ও উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিচিতি সভা (এক মঞ্চে সবাই) অনুষ্ঠানের বিধান করতে হবে।
১১. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ এবং নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা রোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১২. ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোটের বিধান চালু করতে হবে।
১৩. নির্বাচনের সময় সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যগণ সরকারি ব্যয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালায়। অন্যদিকে অনেক বিরোধী দলকে অনেক রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। তাই সরকারি ব্যয়ে অনুষ্ঠিত সভা-সমাবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো থেকে বিরত রাখতে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে। পক্ষান্তরে বিরোধী দলগুলো যাতে এখন থেকেই সভা-সমাবেশ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে।
সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। সেই সঙ্গে নির্বাচনে ই-ভোট ও না ভোটসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসে দলটি এসব প্রস্তাবনা দিয়েছে।
লিখিত প্রস্তাবে দলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মুকিত বলেন, এ কথা অনস্বীকার্য যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে দেশে-বিদেশে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক এই বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হওয়া দুঃখজনক। আপনাদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর অনেক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই আপনারা আপনাদের সততা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে এমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন, যাতে করে বিতর্কমুক্ত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জনগণ আপনাদের প্রতি আস্থাশীল হতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রস্তাবনাগুলো হলো:
১. সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
২. নির্বাচনের কমপক্ষে ছয় মাস আগে ভোটারদের হালনাগাদ তালিকা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. নির্বাচনের তিন মাস আগে থেকে এবং নির্বাচনের পরবর্তী কমপক্ষে এক মাস পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারকে অনুরোধ জানাতে হবে।
৪. নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের জনবলের স্বল্পতার কথা বিবেচনা করে জাতীয় নির্বাচন প্রশাসনিক বিভাগ ওয়ারি, অর্থাৎ এক বিভাগে এক দিন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং নির্বাচন শেষে এক দিনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।
৫. যেসব কর্মকর্তার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল বা আছে এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার সকল পর্যায়ে দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখতে হবে।
৬. ভোটদানের গোপন কক্ষ ছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ও বুথে অনিয়ম রোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ভোটকেন্দ্রের বাইরে বড় মনিটরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭. প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে তাদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এই ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল না বা বর্তমানে নাই এমন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৮. আগামী নির্বাচন থেকেই স্বল্প পরিসরে হলেও ই-ভোটিং চালু করতে হবে।
৯. সব দল না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না।
১০. নির্বাচন কমিশনের খরচে ও উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিচিতি সভা (এক মঞ্চে সবাই) অনুষ্ঠানের বিধান করতে হবে।
১১. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ এবং নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা রোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১২. ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোটের বিধান চালু করতে হবে।
১৩. নির্বাচনের সময় সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যগণ সরকারি ব্যয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালায়। অন্যদিকে অনেক বিরোধী দলকে অনেক রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। তাই সরকারি ব্যয়ে অনুষ্ঠিত সভা-সমাবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো থেকে বিরত রাখতে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে। পক্ষান্তরে বিরোধী দলগুলো যাতে এখন থেকেই সভা-সমাবেশ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে।
সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্রলারটি থেকে ১৮ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
২ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গায় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল আরেফিন কিরণকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানকারী দল। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে চুয়াডাঙ্গা সেনা ক্যাম্প। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ছাত্রদল নেতা কিরণকে।
৩ মিনিট আগেসিলেট নগরে ট্রাকের ধাক্কায় রিকশা আরোহী এক নারী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. আব্দুল কাদির (৩৯) মোগলাবাজার থানার করিমপুর গ্রামের মো. দরছ আলীর ছেলে। তিনি সিলেটের বাদামবাগিচা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে তাঁকে...
৬ মিনিট আগেমানিকগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদীভাঙনের রূপ আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে।
১১ মিনিট আগে