নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একজন পথচারীকে নির্যাতনের অভিযোগে ১৮ বছর আগে দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পেলেন তৎকালীন প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) কহিনুর মিয়াসহ তিনজন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ভারপ্রাপ্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ রায় দেন।
অন্য যে দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তখনকার উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মাজহারুল হক ও কনস্টেবল রুহুল আমীন।
রায় ঘোষণার সময় ডিসি কহিনুর পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দুজন আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজমল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০০৬ সালের ১২ মার্চ ধানমন্ডির রাপা প্লাজার সামনে শাহিন সুলতানা শান্তা পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। সেদিন তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি চলছিল। শান্তা তখন তাঁর ছেলেকে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শাহীন সুলতানা শান্তা তখন ওই রাস্তা দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন। তিনি ভয়ে তার ছেলেকে নিয়ে পাশের প্যানসিয়া ক্লিনিকের মধ্যে ঢোকার চেষ্টাকালে ডিসি কোহিনুর ও ডিসি মাজহারুলের নির্দেশে কনস্টেবল রুহুল আমিন ও অন্যান্য কনস্টেবল শান্তাকে তার ছেলেসহ টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলেন। তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় এবং এতে তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাঁর হাতে, গলায় ও কানে থাকা বিভিন্ন সোনার অলংকার পুলিশ নিয়ে নেয়।
এর দুই দিন পর ২০০৬ সালের ১৪ মার্চ শান্তা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই উপ-পুলিশ কমিশনার ও কনস্টেবল রুহুলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে সিআইডি কর্মকর্তা আলী হায়দার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
শান্তা ২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তকারী হিসেবে পুলিশ নিরপেক্ষ থাকতে পারে না দাবি করে ঘটনাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন নির্যাতিত শান্তা। আদালত ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
কিন্তু তখনকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিক আনোয়ার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ঘটনাটি সঠিক নয় মন্তব্য করে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে শান্তা এতে নারাজি আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয়। ওই নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে একই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন শান্তা। ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মামলার বাদীর রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ধানমন্ডি থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দেন। পরে ঘটনাস্থল মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মামলাটি মোহাম্মদপুর থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য হয়।
২০০৯ সালের অক্টোবরে মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি রুজু হলেও অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল। ২০২৩ সালের ১৪ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এরপর দীর্ঘদিন সাক্ষী হাজির না হলেও শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনজন সাক্ষী আদালতে এসে একই দিনে সাক্ষ্য দেন। দুই দিন পরে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। সাক্ষীরা মামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে আদালতকে জানান।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দ্রুত বিভিন্ন মামলা থেকে সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত বিভিন্ন আসামি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। বিএনপিসহ চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ডিসি কোহিনুর ও মাজহারুল হক অত্যন্ত প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০০২ সালের ২৩ জুলাই গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর হলের ফটক ভেঙে হামলা চালায় পুলিশ। তখন এ হামলার নেপথ্যে পুলিশ কর্মকর্তা কহিনুর মিয়ার নাম উঠে আসে। তখন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ মিছিলে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখতেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি পালিয়ে যান। তারপর তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
একজন পথচারীকে নির্যাতনের অভিযোগে ১৮ বছর আগে দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পেলেন তৎকালীন প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) কহিনুর মিয়াসহ তিনজন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ভারপ্রাপ্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ রায় দেন।
অন্য যে দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তখনকার উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মাজহারুল হক ও কনস্টেবল রুহুল আমীন।
রায় ঘোষণার সময় ডিসি কহিনুর পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দুজন আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজমল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০০৬ সালের ১২ মার্চ ধানমন্ডির রাপা প্লাজার সামনে শাহিন সুলতানা শান্তা পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। সেদিন তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি চলছিল। শান্তা তখন তাঁর ছেলেকে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শাহীন সুলতানা শান্তা তখন ওই রাস্তা দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন। তিনি ভয়ে তার ছেলেকে নিয়ে পাশের প্যানসিয়া ক্লিনিকের মধ্যে ঢোকার চেষ্টাকালে ডিসি কোহিনুর ও ডিসি মাজহারুলের নির্দেশে কনস্টেবল রুহুল আমিন ও অন্যান্য কনস্টেবল শান্তাকে তার ছেলেসহ টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলেন। তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় এবং এতে তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাঁর হাতে, গলায় ও কানে থাকা বিভিন্ন সোনার অলংকার পুলিশ নিয়ে নেয়।
এর দুই দিন পর ২০০৬ সালের ১৪ মার্চ শান্তা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই উপ-পুলিশ কমিশনার ও কনস্টেবল রুহুলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে সিআইডি কর্মকর্তা আলী হায়দার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
শান্তা ২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তকারী হিসেবে পুলিশ নিরপেক্ষ থাকতে পারে না দাবি করে ঘটনাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন নির্যাতিত শান্তা। আদালত ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
কিন্তু তখনকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিক আনোয়ার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ঘটনাটি সঠিক নয় মন্তব্য করে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে শান্তা এতে নারাজি আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয়। ওই নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে একই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন শান্তা। ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মামলার বাদীর রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ধানমন্ডি থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দেন। পরে ঘটনাস্থল মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মামলাটি মোহাম্মদপুর থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য হয়।
২০০৯ সালের অক্টোবরে মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি রুজু হলেও অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল। ২০২৩ সালের ১৪ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এরপর দীর্ঘদিন সাক্ষী হাজির না হলেও শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনজন সাক্ষী আদালতে এসে একই দিনে সাক্ষ্য দেন। দুই দিন পরে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। সাক্ষীরা মামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে আদালতকে জানান।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দ্রুত বিভিন্ন মামলা থেকে সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত বিভিন্ন আসামি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। বিএনপিসহ চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ডিসি কোহিনুর ও মাজহারুল হক অত্যন্ত প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০০২ সালের ২৩ জুলাই গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর হলের ফটক ভেঙে হামলা চালায় পুলিশ। তখন এ হামলার নেপথ্যে পুলিশ কর্মকর্তা কহিনুর মিয়ার নাম উঠে আসে। তখন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ মিছিলে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখতেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি পালিয়ে যান। তারপর তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
১৩ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩০ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে