Ajker Patrika

সাটুরিয়ার পল্লীহাটে রয়েছে হাজারো পশু, নেই ক্রেতা

প্রতিনিধি, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
সাটুরিয়ার পল্লীহাটে রয়েছে হাজারো পশু, নেই ক্রেতা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার কামতা পল্লি পশুহাটে কোরবানির পশু থাকলেও এবার ক্রেতাদের আনাগোনা খুবই কম। ক্রেতা কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়বেন ব্যাপারীরা। এর মধ্যে পশুহাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব।

আজ বুধবার সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই হাট চলছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পড়ার জন্য হাট কমিটি মাইকে বারবার ঘোষণা করলেও ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। কিছু কিছু মানুষের থুতনিতে ও হাতে মাস্ক দেখা গেছে। অনেকজনকে এক জায়গায় জটলা বেঁধে গল্প করছেন। অপরদিকে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ হাটে এসেছে কোরবানির পশু। হাটে ক্রেতা কম থাকায় ব্যাপারীরা কোরবানির পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

সাভার থেকে আসা গরুর ব্যাপারী কোরবান বলেন, এ হাটে গরু বিক্রি করতে না পারলে অন্য হাটে নিতে হবে। ফলে যাতায়াতে অনেক টাকা ব্যয় হয়ে যাবে। যদি তাও বিক্রি না হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত কম দামেই বিক্রি করতে হবে।

ধামরাইয়ের গরু ব্যাপারী সওকত আলী বলেন, ক্রেতারা গরুর আসল দামের চেয়ে অর্ধেক দামও বলে না। এতে এত দিন গরু পালন করতে যে ব্যয় হয়েছে তাঁর টাকায় ওঠে না, লাভ তো দূরের কথা।

কামতা পল্লীহাট কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মাস আগে থেকে এই পল্লীহাট বসানো হয়েছে। এ হাটে সকালের দিকে ক্রেতা না থাকলেও বিকেলের দিকে ক্রেতার সংখ্যা বেশি হয়। তাই বিকেলে পশু বেচাকেনার চাপ বেড়ে যায়।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনির হোসেন বলেন, করোনাকালে কৃষক ও গরুর ব্যাপারীরা কোরবানি পশুর ন্যায্য দাম না পেলে লোকসানের মুখে পড়বেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত