নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক নিয়ে আপিল বিভাগে রায়ের দিন আগামী ১ জুন ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে দুপুর ১২টায় শুনানি শুরু হয়। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার শুনানির পর আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা (জামায়াতের নিবন্ধন) আবেদন যাচাই–বাছাই করছিলাম। সে অবস্থায় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এখন আমরা আপিল বিভাগের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ যে রায় দেবেন, সেটাই বাস্তবায়ন করব।’
প্রতীকের বিষয়ে ইসির আইনজীবী বলেন, ‘২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল দাঁড়িপাল্লা সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক। সেটা যাতে অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়া না হয়। সিদ্ধান্তটি নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো হলে তখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এখন জামায়াত বিষয়টা সামনে এনেছে। আপিল বিভাগ বলছে, ফুলকোর্টের সিদ্ধান্তে হাত দিতে পারব না।’
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সামনে আবেদন বিচারাধীন থাকাবস্থায় হাইকোর্ট মেজরিটির ভিত্তিতে নিবন্ধন বাতিল করেছে। ইসির কাছে বিবেচনাধীন কোনো বিষয় আদালত এইভাবে বাতিল করতে পারে না। এটি প্রিম্যাচিউর। এটা গণতান্ত্রিক উপায়ে বাতিল করা হয়নি। এটি করা হয়েছিল তড়িঘড়ি করে। যাঁরা রিট করেছিলেন, তাঁদের আইনগত অধিকার ছিল না। তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন। জামায়াতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করা হয়েছিল, যাতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
প্রতীকের বিষয়ে শিশির মনির বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ছিল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। বাংলাদেশের সব সংসদ নির্বাচনে এই প্রতীক নিয়ে জামায়াতে ইসলামী অংশ নিয়েছিল। সব সময় সংসদে আসনসংখ্যা নিশ্চিত করে সরকারেও অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৬ সালে ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে সার্টিফিকেট দেন।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২৮৬ দিন বিলম্ব মার্জনা করে আপিল এবং ২৯৪ দিন বিলম্ব মার্জনা করে লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। পরে ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আপিল পুনরুজ্জীবিত করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক নিয়ে আপিল বিভাগে রায়ের দিন আগামী ১ জুন ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে দুপুর ১২টায় শুনানি শুরু হয়। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার শুনানির পর আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা (জামায়াতের নিবন্ধন) আবেদন যাচাই–বাছাই করছিলাম। সে অবস্থায় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এখন আমরা আপিল বিভাগের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ যে রায় দেবেন, সেটাই বাস্তবায়ন করব।’
প্রতীকের বিষয়ে ইসির আইনজীবী বলেন, ‘২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল দাঁড়িপাল্লা সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক। সেটা যাতে অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়া না হয়। সিদ্ধান্তটি নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো হলে তখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এখন জামায়াত বিষয়টা সামনে এনেছে। আপিল বিভাগ বলছে, ফুলকোর্টের সিদ্ধান্তে হাত দিতে পারব না।’
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সামনে আবেদন বিচারাধীন থাকাবস্থায় হাইকোর্ট মেজরিটির ভিত্তিতে নিবন্ধন বাতিল করেছে। ইসির কাছে বিবেচনাধীন কোনো বিষয় আদালত এইভাবে বাতিল করতে পারে না। এটি প্রিম্যাচিউর। এটা গণতান্ত্রিক উপায়ে বাতিল করা হয়নি। এটি করা হয়েছিল তড়িঘড়ি করে। যাঁরা রিট করেছিলেন, তাঁদের আইনগত অধিকার ছিল না। তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন। জামায়াতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করা হয়েছিল, যাতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
প্রতীকের বিষয়ে শিশির মনির বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ছিল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। বাংলাদেশের সব সংসদ নির্বাচনে এই প্রতীক নিয়ে জামায়াতে ইসলামী অংশ নিয়েছিল। সব সময় সংসদে আসনসংখ্যা নিশ্চিত করে সরকারেও অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৬ সালে ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে সার্টিফিকেট দেন।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২৮৬ দিন বিলম্ব মার্জনা করে আপিল এবং ২৯৪ দিন বিলম্ব মার্জনা করে লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। পরে ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আপিল পুনরুজ্জীবিত করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়।
রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংসদ সদস্য (এমপি) পদপ্রার্থী হিসেবে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির পথসভায় এ ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১২ মিনিট আগেরাঙামাটি শহরের একটি বাসা থেকে মহিমা ইসলাম ঊর্মি (৩০) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি রাঙামাটির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরীর স্ত্রী। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের আলম ডক ইয়ার্ডের ভাড়া বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২৮ মিনিট আগেরাজধানীর ওয়ারীতে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগেছে। আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সীমানাপ্রাচীরের ওপরই বহুতল স্কুল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) বিরুদ্ধে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিবেশী তিনটি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্তরা এ বিষয়ে পৌর প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে