নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। এর আগে ইশরাক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিলেন আদালত। নোটিশ ইস্যুর পর আজ বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াসীন খান।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, নির্বাচন কমিশন কেন ছিল না? জবাবে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াসীন বলেন, কমিশনের কাছে কোনো কাগজ ছিল না। এই মামলার কোনো কাগজ কমিশনে পাঠানো হয়নি।
প্রত্যুত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা তো পার্টি ছিলেন। আর এখানে নোটিশ করে এনেছি। এটা এলার্মিং।
মোহাম্মদ ইয়াসীন খান বলেন, কমিশন বলেছে, তারা কোনো পক্ষ অবলম্বন করবে না। এজন্য সেখানে (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে) যায়নি। আর হাইকোর্ট কোনো রুল ইস্যু না করায় সেখানে যায়নি।
রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের নোটিশই ছিল আপিল করার জন্য। তারা নোটিশের পর তাড়াহুড়ো করে রাতের বেলা গেজেট করেছে। পরে আমরা রিট করেছি।’
প্রধান বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপিলের কী করলেন? এটা মৌলিক প্রশ্ন। জুলাই-আগস্টের ম্যাসেজ আপনারা নিরপেক্ষভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনারা কী করেছেন? জবাবে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী বলেন, চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথের পর কোনো কথা ওঠেনি। তাই এখানে কিছু করার ছিল বলে মনে করেনি। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়ার পরও তারা দেয়নি। তাই আদালত অবমাননা হতে পারে মনে করে কমিশন গেজেট করেছে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, ‘সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ পড়েন। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। তাহলে মতামতের জন্য কেন পাঠিয়েছেন? হোয়াই? সংবিধান ক্ষমতা দিয়েছে। এরপরও ডানে-বায়ে তাকাবেন কেন? আপনারা ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বাধীন। এরপরও এর ওর ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছেন। এভাবে বললে গ্রহণযোগ্য হবে না।’
জবাবে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘কমিশন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমাদের কোনো কিছু বলেনি। উচিত ছিল গুরুত্ব দিয়ে অ্যাপেয়ার করা।’
এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, ‘আপনারা স্বাধীন। কি ম্যাসেজ দিচ্ছেন আপনি? সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে আপনাদের দিকে।’
শুনানি শেষে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন আপিল দায়ের করবে। আর যদি তারা আপিল করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা আবার আইনগত ব্যবস্থা নিব। এখন গেজেটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। শপথ পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই আর। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে সংসদ নির্বাচনে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জয়ী হয়েছিলেন। তখন নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে শুধাংশ শেখর হালদার হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন ফাইল করেছিলেন। সেখানে তিনি জয়লাভ করেন। পরে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল ফাইল করেন। তা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তখন আপিল বিভাগ মামলাটি অকার্যকর বলে খারিজ করে দেন। সুতরাং এটা ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ নেই যে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মামলা ছিল বলে শপথ নেবেন।’
আদেশের পর ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, তারা গেজেট স্থগিত চেয়েছিল, তা স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে এবং তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। নির্বাচন কমিশন আপিল করার যুক্তি না থাকায় আপিল করবে না বলে আগেই জানিয়েছে। আজকে আদেশ হলো, আবেদনকারীকে লিভ দেননি, কোনো স্থগিতাদেশ দেননি। নিষ্পত্তি করে বলেছেন ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এখন নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে। সিদ্ধান্তের আলোকে সরকার শপথ পড়াতে বাধ্য।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। এর আগে ইশরাক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিলেন আদালত। নোটিশ ইস্যুর পর আজ বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াসীন খান।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, নির্বাচন কমিশন কেন ছিল না? জবাবে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াসীন বলেন, কমিশনের কাছে কোনো কাগজ ছিল না। এই মামলার কোনো কাগজ কমিশনে পাঠানো হয়নি।
প্রত্যুত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা তো পার্টি ছিলেন। আর এখানে নোটিশ করে এনেছি। এটা এলার্মিং।
মোহাম্মদ ইয়াসীন খান বলেন, কমিশন বলেছে, তারা কোনো পক্ষ অবলম্বন করবে না। এজন্য সেখানে (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে) যায়নি। আর হাইকোর্ট কোনো রুল ইস্যু না করায় সেখানে যায়নি।
রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের নোটিশই ছিল আপিল করার জন্য। তারা নোটিশের পর তাড়াহুড়ো করে রাতের বেলা গেজেট করেছে। পরে আমরা রিট করেছি।’
প্রধান বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপিলের কী করলেন? এটা মৌলিক প্রশ্ন। জুলাই-আগস্টের ম্যাসেজ আপনারা নিরপেক্ষভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনারা কী করেছেন? জবাবে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী বলেন, চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথের পর কোনো কথা ওঠেনি। তাই এখানে কিছু করার ছিল বলে মনে করেনি। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়ার পরও তারা দেয়নি। তাই আদালত অবমাননা হতে পারে মনে করে কমিশন গেজেট করেছে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, ‘সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ পড়েন। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। তাহলে মতামতের জন্য কেন পাঠিয়েছেন? হোয়াই? সংবিধান ক্ষমতা দিয়েছে। এরপরও ডানে-বায়ে তাকাবেন কেন? আপনারা ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বাধীন। এরপরও এর ওর ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছেন। এভাবে বললে গ্রহণযোগ্য হবে না।’
জবাবে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘কমিশন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমাদের কোনো কিছু বলেনি। উচিত ছিল গুরুত্ব দিয়ে অ্যাপেয়ার করা।’
এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, ‘আপনারা স্বাধীন। কি ম্যাসেজ দিচ্ছেন আপনি? সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে আপনাদের দিকে।’
শুনানি শেষে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন আপিল দায়ের করবে। আর যদি তারা আপিল করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা আবার আইনগত ব্যবস্থা নিব। এখন গেজেটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। শপথ পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই আর। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে সংসদ নির্বাচনে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জয়ী হয়েছিলেন। তখন নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে শুধাংশ শেখর হালদার হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন ফাইল করেছিলেন। সেখানে তিনি জয়লাভ করেন। পরে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল ফাইল করেন। তা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তখন আপিল বিভাগ মামলাটি অকার্যকর বলে খারিজ করে দেন। সুতরাং এটা ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ নেই যে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মামলা ছিল বলে শপথ নেবেন।’
আদেশের পর ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, তারা গেজেট স্থগিত চেয়েছিল, তা স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে এবং তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। নির্বাচন কমিশন আপিল করার যুক্তি না থাকায় আপিল করবে না বলে আগেই জানিয়েছে। আজকে আদেশ হলো, আবেদনকারীকে লিভ দেননি, কোনো স্থগিতাদেশ দেননি। নিষ্পত্তি করে বলেছেন ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এখন নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে। সিদ্ধান্তের আলোকে সরকার শপথ পড়াতে বাধ্য।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ মিনিট আগেগাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত একটি অ্যাম্বুলেন্সে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে কোনো রোগী না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
১ ঘণ্টা আগে‘নতুন একটি রাজনৈতিক দল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছে, আমরা নাকি সংস্কার, অংশীদারত্বের রাজনীতি, গণ-অভ্যুত্থানে কোনো ভূমিকা রাখিনি। তোমরা নতুন ছাত্রদের দল, জামায়াতের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে তোমাদের আরও বহুদূর যেতে হবে। জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না।’
১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
১ ঘণ্টা আগে