নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত মহাসড়কগুলোতে চলছে না গণপরিবহন। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। যারা বের হচ্ছে তাদের ভরসা রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। এমন ফাঁকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যান্ডেল টানিয়ে চেয়ার বসিয়ে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর ঘিরে বিএনপির রাজপথ দখলের ঘোষণায় অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়।
আজ শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ও বায়তুল মোকাররম এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকায় সকাল ৮টা থেকেই অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান নেতা-কর্মীরা। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে রয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি রাস্তায় টহল দিচ্ছেন র্যাব ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা।
সমাবেশ ঘিরে গণপরিবহনের পাশাপাশি অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। গুটি কয়েক দোকান খোলা থাকলেও সেখানে অনেকটাই অলস সময় কাটাচ্ছেন দোকানিরা।
সেগুনবাগিচা বাজারের একটি সেলুনের দোকানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই দলের ঠেলাঠেলিতে আমগোর মতো সাধারণ মানুষের জীবন শ্যাষ। সপ্তাহে শুক্র-শনি একটু ব্যবসা হয়। সামনে যে আরও কী অবস্থা হয়, কে জানে!’
পল্টন এলাকার বাসিন্দা শিশির সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের অবস্থা, মানুষের অবস্থা ভালো না। অবস্থা ভালো করার দায়িত্ব না নিয়ে মানুষের কষ্ট আরও বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। অস্থিতিশীল অবস্থা কেউ চায় না।’
পল্টন ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দিতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ ও তাঁর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের। বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও নাইটিঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। এ সময় লাঠি ও রড হাতে নেতা-কর্মীদের মহড়া দিতে দেখা গেছে। ‘হই হই রই রই, বিএনপি গেল কই’, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, পাকিস্তানে চলে যা’ স্লোগান দেন তাঁরা।
পল্টন থানা ছাত্রলীগের নেতা সুমন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলেছে, ১০ ডিসেম্বরের পরে দেশ খালেদা জিয়ার কথায় চলবে, নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে। কিন্তু নয়াপল্টনসহ সারা দেশ এখন শেখ হাসিনার দখলে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত না করে ঘরে ফিরব না।’
এদিকে দুটি বড় রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নয়াপল্টন মোড় এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ঘিরে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে নাশকতা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। আশঙ্কা আছে বলেই রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ মনে হলে খুলে দেওয়া হবে। সমাবেশ করে বিএনপির সবাই চলে না যাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দেবে।’
বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত মহাসড়কগুলোতে চলছে না গণপরিবহন। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। যারা বের হচ্ছে তাদের ভরসা রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। এমন ফাঁকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যান্ডেল টানিয়ে চেয়ার বসিয়ে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর ঘিরে বিএনপির রাজপথ দখলের ঘোষণায় অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়।
আজ শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ও বায়তুল মোকাররম এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকায় সকাল ৮টা থেকেই অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান নেতা-কর্মীরা। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে রয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি রাস্তায় টহল দিচ্ছেন র্যাব ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা।
সমাবেশ ঘিরে গণপরিবহনের পাশাপাশি অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। গুটি কয়েক দোকান খোলা থাকলেও সেখানে অনেকটাই অলস সময় কাটাচ্ছেন দোকানিরা।
সেগুনবাগিচা বাজারের একটি সেলুনের দোকানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই দলের ঠেলাঠেলিতে আমগোর মতো সাধারণ মানুষের জীবন শ্যাষ। সপ্তাহে শুক্র-শনি একটু ব্যবসা হয়। সামনে যে আরও কী অবস্থা হয়, কে জানে!’
পল্টন এলাকার বাসিন্দা শিশির সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের অবস্থা, মানুষের অবস্থা ভালো না। অবস্থা ভালো করার দায়িত্ব না নিয়ে মানুষের কষ্ট আরও বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। অস্থিতিশীল অবস্থা কেউ চায় না।’
পল্টন ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দিতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ ও তাঁর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের। বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও নাইটিঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। এ সময় লাঠি ও রড হাতে নেতা-কর্মীদের মহড়া দিতে দেখা গেছে। ‘হই হই রই রই, বিএনপি গেল কই’, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, পাকিস্তানে চলে যা’ স্লোগান দেন তাঁরা।
পল্টন থানা ছাত্রলীগের নেতা সুমন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলেছে, ১০ ডিসেম্বরের পরে দেশ খালেদা জিয়ার কথায় চলবে, নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে। কিন্তু নয়াপল্টনসহ সারা দেশ এখন শেখ হাসিনার দখলে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত না করে ঘরে ফিরব না।’
এদিকে দুটি বড় রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নয়াপল্টন মোড় এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ঘিরে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে নাশকতা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। আশঙ্কা আছে বলেই রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ মনে হলে খুলে দেওয়া হবে। সমাবেশ করে বিএনপির সবাই চলে না যাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দেবে।’
বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বরগুনার বেতাগীতে বিষখালী নদীতে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে লঞ্চঘাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও মো. বশির গাজী।
২ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে কোস্ট গার্ডের ধাওয়া খেয়ে ইয়াবা বহনকারী ট্রলার থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর সময় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপে এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেচাকরির জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়া গিয়ে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন নাটোরের সিংড়ার যুবক হুমায়ুন কবির। হুমায়ুনের দুলাভাই রহমত আলীকেও বাধ্য করা হয়েছে ওই যুদ্ধে অংশ নিতে। স্বজনদের কাছে প্রাণে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।
১৩ মিনিট আগেবরগুনার বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির নেতা-কর্মীরা এটি ভেঙে ফেলেন বলে জানা গেছে।
৩৮ মিনিট আগে