নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
‘টমেটোর ফলন ভালো হওয়ায় খুশি হইচিলাম। ভাবচিলাম লাবের ট্যাকায় এইবার চাষের জমি কিছু বাড়ামু। কিন্তু দাম পইরা যাওয়ায় আমি হতাশ। চালান উটবো কি না অ্যাহন হেইডাই ভাবতাছি।’ কথাগুলো বলছিলেন মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আলোকদিয়া চরের চর খাদুলি গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন।
শুধু আনোয়ার হোসেন নন, দাম কমে যাওয়ায় সব টমেটো চাষীরাই বিপাকে পড়েছেন। ভালো দাম না পেয়ে অনেক কৃষক খেতের টমেটো গৃহপালিত পশুকে খাওয়াচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আলোকদিয়ার চরে এবার ৬০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। তবে স্থানীয়দের মতে আবাদের পরিমাণ আরও কম।
স্থানীয় টমেটো চাষিরা বলছে, শুধু মাটিতে এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ফলন ভালো পাওয়া যায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কেজি। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে লাভের মুখ দেখতে পারেন কৃষকেরা। মাস খানিক আগে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে টমেটো বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ টাকা কেজি দরে। যার প্রায় সবই চলে যায় শ্রমিক, ট্রলার ও ট্রাকভাড়াসহ খাজনার পেছনে। এ কারণে অনেক কৃষকের জমিতেই টমেটো পড়ে রয়েছে। অনেকে জমি পরিষ্কার করে নতুন করে চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চর খাদুলি গ্রামের বাদল মিয়া এবার ২ বিঘা জমিতে টমেটোর আবাদ করেছিলেন। প্রথম দিকে ভালো দাম পাওয়ায় খরচ বাদে তাঁর অন্তত ৩০ হাজার টাকা লাভও হয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দিন পনেরো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কইরা (কেজি প্রতি) দাম পাইচিলাম। অহন এক কেজি টমেটোর দাম পাওয়ায় যায় ৭ থেকে ৮ টাকা কইরা। আগের দামে আরও কিছুদিন বিক্রি করবার পারলে ভালো লাভ অইতো।’
আলোকদিয়ার কৃষক টুলু ফকির বলেন, ‘আমরা কষ্ট কইরা ফসল ফলাই আর বড়লোক অয় ফইরারা (আড়তদার বা ব্যবসায়ী)। আমাগো যে কপাল হেই কপালই থাকে।’
টুলু ফকিরের কথা শেষ না হতেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একই এলাকার হামিদ মোল্লা বলেন, ‘কৃষকেরা এক কেজি টমেটো বিক্রি করে যখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা পেতেন তখন বাজারে বিক্রি হতো ৭০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। এখন কৃষকেরা পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ টাকা করে আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। ফসলের দরের এই বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ না নেওয়া হলে, কৃষিপণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে, কৃষকেরা দিন দিন কৃষিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তত্ত্বাবধানে চরের কৃষকেরা টমেটো চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এবার আগাম টমেটো চাষ করে তাঁরা দাম ভালো পেয়েছেন। আগেই চালানসহ লাভ তুলে ফেলেছেন। এখন মৌসুমের শেষের দিকে এসে দাম কমে গেছে। এতে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই।’
‘টমেটোর ফলন ভালো হওয়ায় খুশি হইচিলাম। ভাবচিলাম লাবের ট্যাকায় এইবার চাষের জমি কিছু বাড়ামু। কিন্তু দাম পইরা যাওয়ায় আমি হতাশ। চালান উটবো কি না অ্যাহন হেইডাই ভাবতাছি।’ কথাগুলো বলছিলেন মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আলোকদিয়া চরের চর খাদুলি গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন।
শুধু আনোয়ার হোসেন নন, দাম কমে যাওয়ায় সব টমেটো চাষীরাই বিপাকে পড়েছেন। ভালো দাম না পেয়ে অনেক কৃষক খেতের টমেটো গৃহপালিত পশুকে খাওয়াচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আলোকদিয়ার চরে এবার ৬০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। তবে স্থানীয়দের মতে আবাদের পরিমাণ আরও কম।
স্থানীয় টমেটো চাষিরা বলছে, শুধু মাটিতে এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ফলন ভালো পাওয়া যায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কেজি। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে লাভের মুখ দেখতে পারেন কৃষকেরা। মাস খানিক আগে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে টমেটো বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ টাকা কেজি দরে। যার প্রায় সবই চলে যায় শ্রমিক, ট্রলার ও ট্রাকভাড়াসহ খাজনার পেছনে। এ কারণে অনেক কৃষকের জমিতেই টমেটো পড়ে রয়েছে। অনেকে জমি পরিষ্কার করে নতুন করে চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চর খাদুলি গ্রামের বাদল মিয়া এবার ২ বিঘা জমিতে টমেটোর আবাদ করেছিলেন। প্রথম দিকে ভালো দাম পাওয়ায় খরচ বাদে তাঁর অন্তত ৩০ হাজার টাকা লাভও হয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দিন পনেরো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কইরা (কেজি প্রতি) দাম পাইচিলাম। অহন এক কেজি টমেটোর দাম পাওয়ায় যায় ৭ থেকে ৮ টাকা কইরা। আগের দামে আরও কিছুদিন বিক্রি করবার পারলে ভালো লাভ অইতো।’
আলোকদিয়ার কৃষক টুলু ফকির বলেন, ‘আমরা কষ্ট কইরা ফসল ফলাই আর বড়লোক অয় ফইরারা (আড়তদার বা ব্যবসায়ী)। আমাগো যে কপাল হেই কপালই থাকে।’
টুলু ফকিরের কথা শেষ না হতেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একই এলাকার হামিদ মোল্লা বলেন, ‘কৃষকেরা এক কেজি টমেটো বিক্রি করে যখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা পেতেন তখন বাজারে বিক্রি হতো ৭০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। এখন কৃষকেরা পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ টাকা করে আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। ফসলের দরের এই বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ না নেওয়া হলে, কৃষিপণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে, কৃষকেরা দিন দিন কৃষিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তত্ত্বাবধানে চরের কৃষকেরা টমেটো চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এবার আগাম টমেটো চাষ করে তাঁরা দাম ভালো পেয়েছেন। আগেই চালানসহ লাভ তুলে ফেলেছেন। এখন মৌসুমের শেষের দিকে এসে দাম কমে গেছে। এতে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৪ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে