Ajker Patrika

বন্দী হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি ও নির্যাতন বন্ধে প্রতিবাদ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বন্দী হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি ও নির্যাতন বন্ধে প্রতিবাদ 

বন্দী হাতির ওপর নির্যাতন ও বন বিভাগ কর্তৃক লাইসেন্সকৃত হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে বন ভবনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (প)।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয় সংগঠনটি। এ সময় প্রধান বন সংরক্ষক ও নাগরিকদের মাঝে প্রশ্ন-উত্তর পর্বের দাবি জানানো হয়।

এর আগে গত ১৭ মে ঢাকার উত্তরার কোট বাড়ি রেলগেট এলাকায় একটি হাতি শাবক ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, নিহত হাতির মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটা অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে ঘটা একটি হত্যাকাণ্ড। লাইসেন্স দেওয়া হাতি কোথায় আছে, কি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, হাত বদল হচ্ছে কি না—এসব মনিটর করার দায়িত্ব বন বিভাগের। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ক্যাপটিভ (বন্দী) হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির চিত্র ও অবৈধ ইজারার সিন্ডিকেটের ব্যাপারে বহুবার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরেও বন বিভাগের নেওয়া কোনো পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত চোখে পড়েনি।

সংগঠনটি বলেছে, ১৭ই মে মাসহ হাতি শাবকটি অদক্ষ মাহুত ও সবার অবহেলার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারা গিয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেল চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার জন্য হলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে মৃত হাতিকে রেল লাইন থেকে সরিয়ে রাখে। কিন্তু রেলওয়ে পুলিশের এস আই আলী আকবর এর ভাষ্যমতে ঘটনার আট ঘণ্টা পরেও রাত ১০টা পর্যন্ত বন বিভাগের কারও উপস্থিতি দেখা যায়নি।

‘প’ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধান বন সংরক্ষক জানান, তারা লাইসেন্সকৃত হাতির তালিকাটি এ বছরের জুনের ১৫ তারিখের মাঝে প্রকাশ করবেন। ভবিষ্যতে দলছুট বা মা হারা অথবা লাইসেন্স বাতিল করে জব্দ করা কোনো হাতি যদি পাওয়া যায়, তাকে রাখার জন্য সিলেটে একটি হাতির অরফানেজ করার প্রস্তাব প্ল্যানিং কমিশনে জমা দিয়েছে বন বিভাগ। অপরদিকে হরিণ ও হাতি লালন-পালন বিধিমালা ২০১৭ বাতিল করা, নতুন করে কোনো হাতিকে লাইসেন্স না দেওয়া এবং বন্দী হাতিদের জব্দ করে বাংলাদেশে একটি হাতির অভয়ারণ্য তৈরি করার বিষয়ে তেমন কোনো আশ্বাস দিতে পারেনি প্রধান বন সংরক্ষক।

বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ধারা ১১ এর উপধারা ২ অনুযায়ী বলা হয়েছে, ‘লালন-পালনযোগ্য বন্যপ্রাণীর জন্য নিবন্ধন সনদ ইস্যুর পূর্বে নিশ্চিত হইতে হইবে যে, আবেদনকারী আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং উক্ত বন্যপ্রাণী লালন-পালনের জন্য ক্ষেত্রমত, প্রয়োজনীয় স্থান, জলাধার, পরিবেশ, ফিডিং স্পট ও পরিচর্যাকারী লোকবল, লালন-পালন সম্পর্কে জ্ঞান ও সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রহিয়াছে।’

এই আইনের ধারা ২৪ এবং ধারা ২৫ এ বন্যপ্রাণী প্রতিপালনের জন্য প্রদেয় লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে, যা হাতির মালিকেরা ইতিমধ্যে ব্যত্যয় ঘটাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনআইডির তথ্য ফাঁস করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জিয়াউলের বিরুদ্ধে

সাতকানিয়ায় নিহত জামায়াত কর্মীর লাশের পাশে ব্রাজিলের তৈরি অত্যাধুনিক পিস্তল

এইচএসসি পাসেই রাবিতে প্রথম শ্রেণির চাকরি!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত