Ajker Patrika

জবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সোমবার, লড়ছে বিভক্ত নীল দল

জবি প্রতিনিধি
জবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সোমবার, লড়ছে বিভক্ত নীল দল

দীর্ঘ ২২ মাস পর সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন-২০২২। নির্বাচনে লড়বে বিভক্ত নীল দলের দুটি প্যানেল। নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশন সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারেরা। এ উপলক্ষে শিক্ষকেরা রোববার শেষ দিনের মত প্রচারণা চালানো হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষকদের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জবিশিসের এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন ৬৮৪ জন শিক্ষক। পূর্ব নির্ধারিত সময় ও তারিখ অনুযায়ী আগামী ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ৬টি পদে মোট ৩০ জন পদ প্রত্যাশী শিক্ষক লড়াই করছেন। এদের মধ্যে থেকে ১৫ জন নির্বাচিত হবেন। সদস্যপদে ১০ জন ও বাকি ৫ পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন।  নির্বাচনে সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ নির্বাহী প্রতিটি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে দুজন পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়াও প্রতিটি সদস্য পদের বিপরীতে দুজন করে মোট ২০ জন শিক্ষক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। 

এ দিকে শিক্ষক সংগঠনের এই নির্বাচনে নীল দলের (আবুল হোসেন-কামাল হোসেন) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান নির্বাচন করছেন। নীল দলের (জাকারিয়া-মোস্তফা) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন নির্বাচন করছেন। 

বরাবরের মতো নীল দলের এ বিভক্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল দুইটি সরাসরি সাবেক উপাচার্য পক্ষ ও বিপক্ষ হিসেবে পরিচিত ছিল। উপাচার্যের পরিবর্তনে রদবদল হতে পারে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকেরা। এ দিকে সাদা দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার মধ্যেও রয়েছে নীল দলের বিভক্ত যে কোনো এক অংশের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সদস্য সংখ্যা ১০৯ জন হলেও বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক ছুঁই ছুঁই বলে জানিয়েছেন সাদা দলের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক। অভিযোগ আছে এই সাদা দলের শিক্ষকেরা ভাগ হয়ে নীল দলের দুই অংশের মধ্যে মিলে গেছে। এদের ভোটেই নির্বাচনের নেতৃত্ব পালটে যাবে বলছেন সাবেক শিক্ষক সমিতির নেতারা। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ নীল দলের উভয় অংশ। একাংশ বলছে তারা আশ্রায়ণে বিশ্বাসী নয়। অপর অংশ বলছে এমন কোনো অভিযোগ আসলে তারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের দুই ভাগ নিয়ে একাংশ বলছে সাদা দল নির্বাচনে আসলে তারা এক হওয়ার বিষয়টি ভাববে। অন্যদিকে অপর অংশ বলছে নির্বাচনের পর তারা বিষয়টি নিয়ে ভাববে। 

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সহকর্মীদের স্বার্থ ও মর্যাদা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আমরা সচেষ্ট থাকব। তাদের সমর্থন নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতাগুলোকে অতিক্রম করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আমরা আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। 

নীল দলের অপর অংশ (আবুল হোসেন-কামাল হোসেন) প্যানেল থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, আমরা এই প্রশাসনকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। অতীতের যে ভুলভ্রান্তিগুলো হয়েছে, সেগুলো পূরণ করে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার সহযোগিতায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সবাই যদি আমাদের সহযোগিতা করেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কালচার আনার চেষ্টা করব। 

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি, সেগুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রসমাজ এবং সবারই কল্যাণ হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যদি আরও ভালোর দিকে যায়, তাহলে ছাত্র হিসেবেও সেটা সবার জন্যই গর্বের হবে। আমি চাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের যে নির্বাচনী অঙ্গীকার সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে বিশ্বমানের উন্নীত করা প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে ও সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব। 

নির্বাচনের বিষয়ে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইস উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেই না। তবে আমাদের একটা ভোট ব্যাংক আছে। দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা থাকবে। 

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এ অধ্যাপক আরও বলেন, সাদা দলের নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিস্থিতির কারণে সাদা দল নির্বাচন থেকে বিরত আছে। 

নির্বাচন ও ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ব্যালট বাক্স আনা হয়েছে, ভোট গ্রহণের জন্য বুথও স্থাপন করা হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, যেহেতু সবাই এখানে শিক্ষক। সেহেতু নিরাপত্তার জন্য আমরা আলাদা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিনা। বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট ভোটগ্রহণ চলাকালে শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করবে। 

সবশেষ ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর জানুয়ারিতে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। 


ভোট প্রদানের নিয়মাবলি: 

* OMR ব্যালটে ভোট প্রদান করতে হবে। 

* আপনার পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের বৃত্তটি কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দ্বারা ভরাট করতে হবে। 

* যেকোনো পদের জন্য পদ সংখ্যার বেশি ভোট প্রদান করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। 

* আপনার ব্যবহৃত OMR ব্যালটটি মোচড়ানো বা ভাঁজ করা যাবে না। 

* বাক্সে ফেলার সময় ব্যালটটি উল্টিয়ে ধরুন। 

* অনুগ্রহপূর্বক আপনার মোবাইল বন্ধ রাখুন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।

একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের দেড় মাসের মাথায় সড়কে ঝরল প্রবাসীর প্রাণ

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দেবিদ্বারে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজমুল হাসান (২৮) নামের এক প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলার বেগমাবাদ এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে।

নিহত যুবকের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ বেলা সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন নাজমুল। বেগমাবাদ এলাকায় এলে একটি পিকআপ ভ্যান তাঁর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে চলন্ত একটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

নিহত যুবকের ফুফাতো ভাই ফারুক হোসেন জানান, নাজমুল হাসান কুয়েতে কাজ করেন। প্রায় তিন মাস আগে ছুটিতে দেশে ফেরেন। দেড় মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। ১৫ দিন পর তাঁর বিদেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। আজ ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট বাজার থেকে একটি টি-শার্ট কিনে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নাজমুল।

নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বুক চাপড়ে বলেন, ‘ছেলেকে বিয়ে করিয়ে খুব আনন্দে ছিলাম। আনন্দটা বেশি দিন টিকল না।’

এ বিষয়ে মীরপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই আনিসুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর সড়কে যানজট হয়। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা ও গুলি, নিহত ১

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আইটি গেটসংলগ্ন বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় এমদাদুল হক (৫৫) নামের এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫)। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসে ছিলেন।

এ সময় দুর্বৃত্তরা হঠাৎ অফিসে থাকা মামুন শেখকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

প্রথম গুলি মিস হয়ে পাশে থাকা এমদাদুল হকের শরীরে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এরপর সন্ত্রাসীরা আরও গুলি চালালে মামুন শেখ গুলিবিদ্ধ হন। তখন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা গুরুতর আহত মামুনকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে যাচ্ছি। একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়ী গেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় মুগডালে ক্ষতিকর রং, ৪ দোকানিকে লাখ টাকা জরিমানা

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় ৪ দোকানিকে জরিমানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ায় ৪ দোকানিকে জরিমানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুগডালে ক্ষতিকর রঙের উপস্থিতি পাওয়ায় বগুড়ায় চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার শহরের ডালপট্টিতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে এই জরিমানা করা হয়।

অভিযানে শহরের ডালপট্টি এলাকার একাধিক দোকানে মুগডালে ক্ষতিকারক রং আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। অভিযানে চারটি দোকানের মুগডালে ক্ষতিকারক রঙের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

যদিও দোকানিরা বলছেন, তাঁরা প্রত্যেকে এই ডালগুলো রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে কিনেছেন। এগুলোর মধ্যে রংমিশ্রিত থাকে তা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোই ভালো বলতে পারবে। তাঁরা পাইকারি এনে সেভাবেই আবার বিক্রি করেন।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ রোববার আকস্মিক অভিযানে সব ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি দুই দোকানকে ৩০ হাজার করে এবং আরও দুই দোকানকে ২০ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পাশাপাশি আজ সন্ধ্যার মধ্যে যাঁদের কাছে রংমিশ্রিত ডাল রয়েছে, সেসব বস্তা নিজ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতারা ডালের বস্তাগুলো একত্র করে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।’

জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. রাসেল বলেন, মুগডালে যে রঙের উপস্থিতি তাঁরা অভিযানে পেয়েছেন, তা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোজ্যপণ্যে ভেজাল কিংবা ক্ষতিকারক এমন রং ব্যবহারের প্রচেষ্টা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অভিযানে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছাসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত