আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। আর শব্দ দূষণে ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস না ওড়ানোর সুপারিশ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়। নববর্ষ উদ্যাপনের সময় আতশবাজি পোড়ানোর কারণে বায়ু ও শব্দদূষণের ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি ও ফানুস মুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪—এই সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সে ক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে ছিল না। তবে ২০২১–২২ সালে করোনাকালে কম আতশবাজি, পটকা, ফানুস পোড়ানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদ্যাপনের আগে ৩ ঘণ্টার গড় বায়ুমান থেকে, নববর্ষ উদ্যাপনের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর মানের অবনতি হতে শুরু করে। রাত ১২টা বাজার কিছু পূর্ব থেকে আতশবাজি, ফানুস পোড়ানোর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণও বাড়তে থাকে। বস্তুকণার এর দূষণের মাত্রা রাত ১টায় প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ২৪৯ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শব্দদূষণ প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনের ফলে যে শুধু বায়ুদূষণ হচ্ছে এমনটি নয়, এর ফলে মারাত্মক শব্দদূষণও সৃষ্টি হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে শুরু করে ১টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দ শোনা যায়। ক্যাপসের গবেষণা দল সাত বছর যাবৎ ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনে শব্দদূষণের তীব্রতাও পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১টার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে শব্দের মান ৪৮ থেকে শুরু করে ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিন্তু এই শব্দের মাত্রা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে সর্বনিম্ন ৮৫ ডেসিবেল থেকে শুরু করে গড়ে সর্বোচ্চ ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত বা এই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দদূষণ হার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে ছিল।
ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাও (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করে। হিসাব করে দেখা যায়, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। আর শব্দ দূষণে ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস না ওড়ানোর সুপারিশ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়। নববর্ষ উদ্যাপনের সময় আতশবাজি পোড়ানোর কারণে বায়ু ও শব্দদূষণের ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি ও ফানুস মুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪—এই সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সে ক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে ছিল না। তবে ২০২১–২২ সালে করোনাকালে কম আতশবাজি, পটকা, ফানুস পোড়ানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদ্যাপনের আগে ৩ ঘণ্টার গড় বায়ুমান থেকে, নববর্ষ উদ্যাপনের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর মানের অবনতি হতে শুরু করে। রাত ১২টা বাজার কিছু পূর্ব থেকে আতশবাজি, ফানুস পোড়ানোর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণও বাড়তে থাকে। বস্তুকণার এর দূষণের মাত্রা রাত ১টায় প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ২৪৯ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শব্দদূষণ প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনের ফলে যে শুধু বায়ুদূষণ হচ্ছে এমনটি নয়, এর ফলে মারাত্মক শব্দদূষণও সৃষ্টি হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে শুরু করে ১টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দ শোনা যায়। ক্যাপসের গবেষণা দল সাত বছর যাবৎ ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনে শব্দদূষণের তীব্রতাও পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১টার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে শব্দের মান ৪৮ থেকে শুরু করে ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিন্তু এই শব্দের মাত্রা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে সর্বনিম্ন ৮৫ ডেসিবেল থেকে শুরু করে গড়ে সর্বোচ্চ ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত বা এই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দদূষণ হার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে ছিল।
ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাও (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করে। হিসাব করে দেখা যায়, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। আর শব্দ দূষণে ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস না ওড়ানোর সুপারিশ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়। নববর্ষ উদ্যাপনের সময় আতশবাজি পোড়ানোর কারণে বায়ু ও শব্দদূষণের ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি ও ফানুস মুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪—এই সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সে ক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে ছিল না। তবে ২০২১–২২ সালে করোনাকালে কম আতশবাজি, পটকা, ফানুস পোড়ানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদ্যাপনের আগে ৩ ঘণ্টার গড় বায়ুমান থেকে, নববর্ষ উদ্যাপনের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর মানের অবনতি হতে শুরু করে। রাত ১২টা বাজার কিছু পূর্ব থেকে আতশবাজি, ফানুস পোড়ানোর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণও বাড়তে থাকে। বস্তুকণার এর দূষণের মাত্রা রাত ১টায় প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ২৪৯ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শব্দদূষণ প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনের ফলে যে শুধু বায়ুদূষণ হচ্ছে এমনটি নয়, এর ফলে মারাত্মক শব্দদূষণও সৃষ্টি হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে শুরু করে ১টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দ শোনা যায়। ক্যাপসের গবেষণা দল সাত বছর যাবৎ ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনে শব্দদূষণের তীব্রতাও পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১টার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে শব্দের মান ৪৮ থেকে শুরু করে ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিন্তু এই শব্দের মাত্রা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে সর্বনিম্ন ৮৫ ডেসিবেল থেকে শুরু করে গড়ে সর্বোচ্চ ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত বা এই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দদূষণ হার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে ছিল।
ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাও (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করে। হিসাব করে দেখা যায়, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। আর শব্দ দূষণে ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস না ওড়ানোর সুপারিশ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়। নববর্ষ উদ্যাপনের সময় আতশবাজি পোড়ানোর কারণে বায়ু ও শব্দদূষণের ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি ও ফানুস মুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪—এই সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সে ক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে ছিল না। তবে ২০২১–২২ সালে করোনাকালে কম আতশবাজি, পটকা, ফানুস পোড়ানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদ্যাপনের আগে ৩ ঘণ্টার গড় বায়ুমান থেকে, নববর্ষ উদ্যাপনের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর মানের অবনতি হতে শুরু করে। রাত ১২টা বাজার কিছু পূর্ব থেকে আতশবাজি, ফানুস পোড়ানোর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণও বাড়তে থাকে। বস্তুকণার এর দূষণের মাত্রা রাত ১টায় প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ২৪৯ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শব্দদূষণ প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনের ফলে যে শুধু বায়ুদূষণ হচ্ছে এমনটি নয়, এর ফলে মারাত্মক শব্দদূষণও সৃষ্টি হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে শুরু করে ১টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দ শোনা যায়। ক্যাপসের গবেষণা দল সাত বছর যাবৎ ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনে শব্দদূষণের তীব্রতাও পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১টার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে শব্দের মান ৪৮ থেকে শুরু করে ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিন্তু এই শব্দের মাত্রা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে সর্বনিম্ন ৮৫ ডেসিবেল থেকে শুরু করে গড়ে সর্বোচ্চ ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত বা এই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দদূষণ হার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে ছিল।
ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাও (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করে। হিসাব করে দেখা যায়, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।

ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
২৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ কেভি মুক্তিরচক ফিডারের কুশিঘাট, সোনাপুর, নয়াবস্তি, মীরেরচক, শাহপরান হাউজিং, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, আমদরপুর ও আশপাশ এলাকায় আগামী বুধবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ কেভি মুক্তিরচক ফিডারের কুশিঘাট, সোনাপুর, নয়াবস্তি, মীরেরচক, শাহপরান হাউজিং, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, আমদরপুর ও আশপাশ এলাকায় আগামী বুধবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
২৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই। কিন্তু কোনো মামলা করব না।’ তবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার বলেছেন, এ ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে।
ঘটনার পর এখন পর্যন্ত শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
আজ বিকেলে শিশু সাজিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে সাজিদের তিন মাস বয়সী ছোট ভাই সাদমানের জন্য আকিকা দেওয়া হয়েছে। আকিকার মাংস কেটে বিলি করা হচ্ছে।
কথা হয় সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, জমির মালিক কছির উদ্দিন এখনো তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। সমবেদনাও জানাননি। এত বড় একটি ঘটনার পর তাঁর অন্তত সমবেদনা জানানো উচিত ছিল।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই।’
মামলা করতে চাচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিবুল বলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহই নিয়েছে। আমরা মামলা করব না।’
মামলা না করতে কোনো চাপ আছে কি না—এমন প্রশ্নে রাকিবুল বলেন, ‘আমার ওপর কোনো চাপ নাই। কারণ, গোটা দেশ আমাদের পক্ষে আছে। ইনশা আল্লাহ পুলিশ-প্রশাসন সবাই আমাদের পক্ষে আছে। কোনো চাপ নাই ভাই।’
এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র চাইলে মামলা করতে পারে, তবে সেটিও এখনো হয়নি। জানতে চাইলে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন চাইলে বাদী হয়ে মামলা করতে পারে। আমরা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করব না।’
কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার আজ রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটা মামলা করতে গেলেও কিছু প্রসিডিউর আছে। সেগুলো দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে। সেটা হয়েছে বা হবে।’
সন্ধ্যায় কছির উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি এখনো বাড়ি ফেরেননি। গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কছিরের ভাইয়ের স্ত্রী তৌহিদা খাতুন। বলেন, মিডিয়া মিথ্যা লিখে বিষয়টি এত বড় করেছে। তাঁরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান না। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর ভাশুর কছির উদ্দিন বাড়িতে নেই। মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে জানান, মোবাইল নম্বর নেই। থাকলেও দেবেন না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বাড়ির পাশে আট ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। ৩২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে মাটির প্রায় ৫০ ফুট গভীর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গভীর নলকূপ বসাতে এই গর্ত করে এক বছর ধরে ফেলে রেখেছিলেন কছির উদ্দিন। ঘটনার পর থেকে কছির উদ্দিন পলাতক। এ নিয়ে অবশ্য সাজিদের পরিবার কোনো মামলা করেনি। অবৈধভাবে বোরহোল করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসনও।

রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই। কিন্তু কোনো মামলা করব না।’ তবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার বলেছেন, এ ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে।
ঘটনার পর এখন পর্যন্ত শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
আজ বিকেলে শিশু সাজিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে সাজিদের তিন মাস বয়সী ছোট ভাই সাদমানের জন্য আকিকা দেওয়া হয়েছে। আকিকার মাংস কেটে বিলি করা হচ্ছে।
কথা হয় সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, জমির মালিক কছির উদ্দিন এখনো তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। সমবেদনাও জানাননি। এত বড় একটি ঘটনার পর তাঁর অন্তত সমবেদনা জানানো উচিত ছিল।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই।’
মামলা করতে চাচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিবুল বলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহই নিয়েছে। আমরা মামলা করব না।’
মামলা না করতে কোনো চাপ আছে কি না—এমন প্রশ্নে রাকিবুল বলেন, ‘আমার ওপর কোনো চাপ নাই। কারণ, গোটা দেশ আমাদের পক্ষে আছে। ইনশা আল্লাহ পুলিশ-প্রশাসন সবাই আমাদের পক্ষে আছে। কোনো চাপ নাই ভাই।’
এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র চাইলে মামলা করতে পারে, তবে সেটিও এখনো হয়নি। জানতে চাইলে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন চাইলে বাদী হয়ে মামলা করতে পারে। আমরা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করব না।’
কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার আজ রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটা মামলা করতে গেলেও কিছু প্রসিডিউর আছে। সেগুলো দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে। সেটা হয়েছে বা হবে।’
সন্ধ্যায় কছির উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি এখনো বাড়ি ফেরেননি। গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কছিরের ভাইয়ের স্ত্রী তৌহিদা খাতুন। বলেন, মিডিয়া মিথ্যা লিখে বিষয়টি এত বড় করেছে। তাঁরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান না। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর ভাশুর কছির উদ্দিন বাড়িতে নেই। মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে জানান, মোবাইল নম্বর নেই। থাকলেও দেবেন না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বাড়ির পাশে আট ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। ৩২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে মাটির প্রায় ৫০ ফুট গভীর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গভীর নলকূপ বসাতে এই গর্ত করে এক বছর ধরে ফেলে রেখেছিলেন কছির উদ্দিন। ঘটনার পর থেকে কছির উদ্দিন পলাতক। এ নিয়ে অবশ্য সাজিদের পরিবার কোনো মামলা করেনি। অবৈধভাবে বোরহোল করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসনও।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ নিয়ে ইটভাটাটি উচ্ছেদে অভিযানে গেলে শ্রমিকেরা তাতে বাধা দেন। শ্রমিকেরা এক্সকাভেটরের (ভেকু মেশিন) সামনে শুয়ে পড়েন। তাঁরা জানান, ভাটা ভাঙতে হলে তাঁদের লাশের ওপর দিয়ে গিয়ে ভাঙতে হবে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান ও কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম।
ইটভাটার শ্রমিক চান্দু মিয়া বলেন, ‘এখানে আমরা ২০০ জনের মতো শ্রমিক আছি। এখন ভাটা উচ্ছেদ করলে আমরা সবাই বেকার হয়ে যাব। আমাদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম বলেন, ‘ইটভাটা ভাঙার বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন। আজ দুপুরে মকছেদ আলী ব্রিকসে যাওয়ার পর শ্রমিকেরা মাটিতে শুয়ে পড়ে ভাটা না ভাঙার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন, ফলে পরিবেশ অনুকূলে ছিল না। এ সময় পরিবেশ অধিপ্তরের কর্মকর্তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পরামর্শে ফিরে আসি।’
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান বলেন, ‘কালীগঞ্জ পৌরসভার মকছেদ আলী ব্রিকসে অভিযান চালাতে গিয়ে ইটভাটার শ্রমিকদের বাধার সম্মুখীন হই। ভাটার শ্রমিকেরা এক্সকাভেটর ঘিরে মাটিতে শুয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসি। তবে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য ওই ভাটার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ নিয়ে ইটভাটাটি উচ্ছেদে অভিযানে গেলে শ্রমিকেরা তাতে বাধা দেন। শ্রমিকেরা এক্সকাভেটরের (ভেকু মেশিন) সামনে শুয়ে পড়েন। তাঁরা জানান, ভাটা ভাঙতে হলে তাঁদের লাশের ওপর দিয়ে গিয়ে ভাঙতে হবে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান ও কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম।
ইটভাটার শ্রমিক চান্দু মিয়া বলেন, ‘এখানে আমরা ২০০ জনের মতো শ্রমিক আছি। এখন ভাটা উচ্ছেদ করলে আমরা সবাই বেকার হয়ে যাব। আমাদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম বলেন, ‘ইটভাটা ভাঙার বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন। আজ দুপুরে মকছেদ আলী ব্রিকসে যাওয়ার পর শ্রমিকেরা মাটিতে শুয়ে পড়ে ভাটা না ভাঙার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন, ফলে পরিবেশ অনুকূলে ছিল না। এ সময় পরিবেশ অধিপ্তরের কর্মকর্তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পরামর্শে ফিরে আসি।’
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান বলেন, ‘কালীগঞ্জ পৌরসভার মকছেদ আলী ব্রিকসে অভিযান চালাতে গিয়ে ইটভাটার শ্রমিকদের বাধার সম্মুখীন হই। ভাটার শ্রমিকেরা এক্সকাভেটর ঘিরে মাটিতে শুয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসি। তবে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য ওই ভাটার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
২৯ মিনিট আগে
চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলার চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. রুবেল, মো. নাছিম, বেল্লাল, মো নাসির, ভুট্টো, বাবুল, রাফসান, মোশারেফ হোসেন, সালেহ উদ্দিন ও জমশেদ। তাঁদের ভোলা ও চরফ্যাশনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার জন্য উভয় দলের নেতারা একে অপরকে দায়ী করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, আজ সকালে উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের গণসংযোগ চলাকালে দুপক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এমাদুল হোসেন ও চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা হাসপাতালে যান। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরাও হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাঁরা দুপক্ষের কর্মীদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ভোলা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল বলেন, উপজেলার জিন্নাগর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আজ সকালে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা গ্রুপভিত্তিক ক্যাম্পেইন করছিলেন।
এ সময় বিএনপির ৮-১০ জন লোক এসে ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি জামালের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে আহত করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে জামায়াতে ইসলামীর অন্তত চারজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর দিকে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল জানান, চকবাজার এলাকায় বিএনপির গণসংযোগ চলাকালে যুবলীগ নেতা জামালসহ জামায়াতের কিছু লোক ঢুকে পড়েন। এতে তাঁদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে ফয়সালায় বসার কথা থাকলেও ছাত্রশিবির ৩০টি মোটরসাইকেলে গিয়ে সেখানে বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে বিএনপির ১০-১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ওসি জাহাঙ্গীর বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

ভোলার চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. রুবেল, মো. নাছিম, বেল্লাল, মো নাসির, ভুট্টো, বাবুল, রাফসান, মোশারেফ হোসেন, সালেহ উদ্দিন ও জমশেদ। তাঁদের ভোলা ও চরফ্যাশনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার জন্য উভয় দলের নেতারা একে অপরকে দায়ী করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, আজ সকালে উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের গণসংযোগ চলাকালে দুপক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এমাদুল হোসেন ও চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা হাসপাতালে যান। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরাও হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাঁরা দুপক্ষের কর্মীদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ভোলা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল বলেন, উপজেলার জিন্নাগর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আজ সকালে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা গ্রুপভিত্তিক ক্যাম্পেইন করছিলেন।
এ সময় বিএনপির ৮-১০ জন লোক এসে ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি জামালের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে আহত করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে জামায়াতে ইসলামীর অন্তত চারজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর দিকে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল জানান, চকবাজার এলাকায় বিএনপির গণসংযোগ চলাকালে যুবলীগ নেতা জামালসহ জামায়াতের কিছু লোক ঢুকে পড়েন। এতে তাঁদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে ফয়সালায় বসার কথা থাকলেও ছাত্রশিবির ৩০টি মোটরসাইকেলে গিয়ে সেখানে বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে বিএনপির ১০-১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ওসি জাহাঙ্গীর বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
২৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে