নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আদালত অবমাননা আইন-২০১৩ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সাক্ষরের পর ৩৮ পৃষ্ঠার ওই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রায়ে বলেছেন—মনে হয় নির্দিষ্ট একটি গ্রুপকে আদালত অবমাননার দায় হতে সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে আইনটি প্রণয়ন করা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে যেকোনো নাগরিক আদালতের রায় অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত শাস্তি দিতে পারেন। অনুচ্ছেদ ১১২ অনুসারে রাষ্ট্রের সব কর্তৃপক্ষ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগীয় ব্যক্তিরা সুপ্রিম কোর্টের কাজে সাহায্য করবে। সংবিধানে উক্ত নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আদালত অবমাননা আইনের বেশ কিছু ধারায় সংবিধানের ওই নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এ ছাড়া সংবিধানে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং একই প্রতিকার পাওয়ার বিধান থাকলেও কিছু ধারা বিশেষ ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিয়েছে। এসব কারণে আদালত অবমাননা আইনের ওই ধারাগুলো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক।
রায়ে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালের আইনের ৪,৫, ৬,৭, ৯,১০, ১১ ও ১৩ (২) ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তা বাতিল। আর উল্লেখিত মূল ধারাগুলো না থাকলে আইনের অন্যান্য বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়। সে কারণে ‘আদালত অবমাননা আইন-২০১৩’ সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করা হলো। সেই সঙ্গে রায়ে ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননা আইন পূর্ণ বহাল করা হয় বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ পাস হয়। পরে একই বছরের ২৫ মার্চ নতুন আইনের ৪,৫, ৬,৭, ৯,১০, ১১ ও ১৩ (২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুই আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করলে ওই সময় রুল জারি করা হয়। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আদালত অবমাননা আইন-২০১৩ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সাক্ষরের পর ৩৮ পৃষ্ঠার ওই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রায়ে বলেছেন—মনে হয় নির্দিষ্ট একটি গ্রুপকে আদালত অবমাননার দায় হতে সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে আইনটি প্রণয়ন করা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে যেকোনো নাগরিক আদালতের রায় অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত শাস্তি দিতে পারেন। অনুচ্ছেদ ১১২ অনুসারে রাষ্ট্রের সব কর্তৃপক্ষ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগীয় ব্যক্তিরা সুপ্রিম কোর্টের কাজে সাহায্য করবে। সংবিধানে উক্ত নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আদালত অবমাননা আইনের বেশ কিছু ধারায় সংবিধানের ওই নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এ ছাড়া সংবিধানে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং একই প্রতিকার পাওয়ার বিধান থাকলেও কিছু ধারা বিশেষ ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিয়েছে। এসব কারণে আদালত অবমাননা আইনের ওই ধারাগুলো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক।
রায়ে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালের আইনের ৪,৫, ৬,৭, ৯,১০, ১১ ও ১৩ (২) ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তা বাতিল। আর উল্লেখিত মূল ধারাগুলো না থাকলে আইনের অন্যান্য বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়। সে কারণে ‘আদালত অবমাননা আইন-২০১৩’ সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করা হলো। সেই সঙ্গে রায়ে ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননা আইন পূর্ণ বহাল করা হয় বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ পাস হয়। পরে একই বছরের ২৫ মার্চ নতুন আইনের ৪,৫, ৬,৭, ৯,১০, ১১ ও ১৩ (২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুই আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করলে ওই সময় রুল জারি করা হয়। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন আদালত।
শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে সুস্থ হবে, তা না হলে অসুস্থই থেকে যাবে, এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে এক প্রতিবন্ধী নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কবিরাজ মিন্টু মিয়া। ওই নারী মামলা করলে আত্মগোপনে যান কবিরাজ। অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মিন্টু মিয়া।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এবার ৫ লাখ টাকার চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আন্দোলন দমাতে তিনি এই টাকা দাবি করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিওতে নিজামকে আন্দোলন বন্ধে টাকা চাইতে
১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে ঢাবির অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন হলভিত্তিক রাজনীতি বজায় রাখার পক্ষে মত দেয়। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ছাড়া বাকি সব সংগঠন এ প্রস্তাব সমর্থন করে। এই আলোচনায় অংশ নেয় ১৬টি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন, যদিও আমন্ত্রিত ছিল ২৩টি।
১ ঘণ্টা আগে‘বাবা, তোর নানার সাথে দেখা হইছে। রাতে এখানে থাকব। কাল দেখা হইবে, ভালো থাকিস।’ বাবা প্রদীপ লালের সঙ্গে হওয়া শেষ কথা বলতে বারবার থমকে যাচ্ছিলেন দুলাল কুমার (২৪)। তাঁর চোখের কোণে জমে থাকা জল যেন আটকে ছিল বুকের ভেতরের হাহাকারে।
১ ঘণ্টা আগে