Ajker Patrika

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাস্তায় বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৩: ৫৮
Thumbnail image

বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল না বাড়লেও ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বেড়েছে। দূরপাল্লার বাস ও আন্তজেলা বাস চলাচল রয়েছে সীমিত। 

আজ বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, গাবতলী, মহাখালী, বাংলামোটর, রায়েরবাগ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

এসব স্থানে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

গত শনিবার রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালীন দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপির অভিযোগ, পুলিশের হামলায় তাদের সমাবেশ পণ্ড হয়। এর প্রতিবাদে পরদিন রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় দলটি। হরতাল শেষে টানা তিন দিন (মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার) সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি দেয় তারা। গতকাল সোমবার জামায়াতও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। 

এদিকে অবরোধের মধ্যে মিরপুরে পোশাককর্মীদের আন্দোলনে ওই অংশে বাস চলাচল একদমই বন্ধ আছে। তবে ঘোষণা দিয়ে বাস চলাচল করার কথা বললেও রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীর সংকটে কোনো বাস ছাড়েনি এই টার্মিনাল থেকে। 

বিলম্ব হলেও কঠোর নিরাপত্তায় ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। ছবি: আজকের পত্রিকাপরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালিকপক্ষের ইচ্ছে থাকলেও পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় বাস ছাড়তে পারছেন না তাঁরা। একই চিত্র গাবতলীতেও। তবে সায়েদাবাদ থেকে কিছু দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করছে। 

আরও দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস, মিনিবাস, লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পণ্যবাহী ট্রাক, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার চলাচল করছে। 

বুধবার গাড়ির চাপ বাড়ার কারণে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় যানজটও দেখা গেছে। চৌরাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক কনস্টেবল মফিজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ গাড়ি অনেক বেশি। সিগন্যাল দেওয়া লাগছে, না হয় জ্যাম বেধে যাচ্ছে।’ 

সকাল ৮টায় সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। সাত কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান থাকায় ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের সামনে পরীক্ষার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। 

সায়েন্স ল্যাব মোড়ে বিকাশ পরিবহনের চালক মফিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল ভয়ে গাড়ি নামাইনি। তবে তেমন কিছু না হওয়ায় আজকে গাড়ি নামাইছি।’ 

আজিমপুর-গাজীপুর রুটে সড়কে চলাচলকারী আরেক ভিআইপি গাড়ির চালক বারেক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল মাত্র এক ট্রিপ মারছি। আজ রাস্তায় পুলিশ দেখলাম। ঝামেলা হইব না মনে হয়, আজকে বেশি ট্রিপ মারব।’ 

এদিকে বাড্ডা, রামপুরা ও বিমানবন্দর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, এ সময়ে রাস্তায় গাড়ির যে বাড়তি চাপ থাকে, তা নেই। তবে রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি গতকালের (মঙ্গলবার) তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। 

অন্যদিকে কমলাপুর রেল স্টেশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিলম্ব করেছে ট্রেন। গতকালের মতোই রেল স্টেশনে নিরাপত্তা দিচ্ছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ, বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। 

রেলের অনবোর্ড শিডিউল থেকে জানা গেছে, রংপুর এক্সপ্রেস ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটির সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টা। 

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ যাত্রীর চাপ বেড়েছে। সকাল থেকে প্রায় সব ট্রেনই যথাসময়ে ছেড়েছে।’ 

এদিকে অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ঢাকার সদরঘাট থেকে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও প্রথম দিনের তুলনায় যাত্রী কমেছে। 

বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক মো. মাহতাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, বুধবার সকালে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়েছে ছয়টি। যাত্রী কম থাকায় পাঁচটি লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত