নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বনানীর প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ও ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের অভিযোগ, অবৈধভাবে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে অধিদপ্তর।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির তালা দেওয়া হয়। তবে কী কারণে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এ বিষয়ে অভিযানে থাকা কোনো কর্মকর্তা কথা বলেননি।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক খন্দকার আশফাক অভিযোগ করেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কিছু ব্যক্তির ইন্ধনে অবৈধভাবে বন্ধ থাকা ক্লিনিকে পরিদর্শনের নামে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
খন্দকার আশফাক বলেন, অতিউৎসাহী হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার কার্যক্রম বন্ধ করতে একের পর এক নোটিশ দিয়ে আসছিল। তার মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম বন্ধ করে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। অথচ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করে।
প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া নোটিশে লেখা রয়েছে, ‘অনিবার্য কারণবশত প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লি. সাময়িক বন্ধ থাকবে।’ তবে কোন কর্তৃপক্ষ নোটিশটি ঝুলিয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি নোটিশে।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসা প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার দখলে নিতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। তারাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগসাজশ করে অভিযানের নামে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করেছে।
খন্দকার আসফাক আরও বলেন, গত ১৮ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি পরিদর্শন দল প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে একই মাসের ২২ তারিখ পেছনের তারিখ দেখিয়ে একটি চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন অমান্য; অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মাধ্যমে জনগণের হয়রানি; মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অভিযোগ আনা আনা হয়।
পরবর্তীতে আমরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও লাইসেন্স স্থগিত করার আদেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ আপিল করলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়। পরে নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করলেও তারা রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে। এরপর আমরা এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেছি। রিটটি এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপরও তারা আজ আবার এসে বন্ধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারও তালা লাগিয়ে দিয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বনানীর ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি গত ১৬ বছর ধরে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। এ বছরের ১৮ জানুয়ারি ৬ কোটি টাকা দলিলমূল্যে কিনে নেয় ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অথচ এই সম্পত্তির দাম ৪৫ কোটি টাকার বেশি। নামমাত্র মূল্যে এই সম্পত্তি কিনে নিলেও বাড়ি ছাড়ার কোনো নোটিশ দেয়নি। বরং তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ব্যবহার করে এই প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
অভিযানে থাকা বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে আসবেন জানিয়ে আমাদের সহায়তা চান। পরে থানা-পুলিশ সেখানে গিয়েছে।
অভিযানে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট ইরতেজা হাসান গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।
রাজধানীর বনানীর প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ও ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের অভিযোগ, অবৈধভাবে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে অধিদপ্তর।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির তালা দেওয়া হয়। তবে কী কারণে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এ বিষয়ে অভিযানে থাকা কোনো কর্মকর্তা কথা বলেননি।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক খন্দকার আশফাক অভিযোগ করেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কিছু ব্যক্তির ইন্ধনে অবৈধভাবে বন্ধ থাকা ক্লিনিকে পরিদর্শনের নামে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
খন্দকার আশফাক বলেন, অতিউৎসাহী হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার কার্যক্রম বন্ধ করতে একের পর এক নোটিশ দিয়ে আসছিল। তার মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম বন্ধ করে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। অথচ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করে।
প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া নোটিশে লেখা রয়েছে, ‘অনিবার্য কারণবশত প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লি. সাময়িক বন্ধ থাকবে।’ তবে কোন কর্তৃপক্ষ নোটিশটি ঝুলিয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি নোটিশে।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসা প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার দখলে নিতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। তারাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগসাজশ করে অভিযানের নামে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করেছে।
খন্দকার আসফাক আরও বলেন, গত ১৮ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি পরিদর্শন দল প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে একই মাসের ২২ তারিখ পেছনের তারিখ দেখিয়ে একটি চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন অমান্য; অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মাধ্যমে জনগণের হয়রানি; মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অভিযোগ আনা আনা হয়।
পরবর্তীতে আমরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও লাইসেন্স স্থগিত করার আদেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ আপিল করলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়। পরে নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করলেও তারা রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে। এরপর আমরা এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেছি। রিটটি এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপরও তারা আজ আবার এসে বন্ধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারও তালা লাগিয়ে দিয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বনানীর ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি গত ১৬ বছর ধরে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। এ বছরের ১৮ জানুয়ারি ৬ কোটি টাকা দলিলমূল্যে কিনে নেয় ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অথচ এই সম্পত্তির দাম ৪৫ কোটি টাকার বেশি। নামমাত্র মূল্যে এই সম্পত্তি কিনে নিলেও বাড়ি ছাড়ার কোনো নোটিশ দেয়নি। বরং তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ব্যবহার করে এই প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
অভিযানে থাকা বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে আসবেন জানিয়ে আমাদের সহায়তা চান। পরে থানা-পুলিশ সেখানে গিয়েছে।
অভিযানে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট ইরতেজা হাসান গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে রেলের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরির সময় এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম।
১৫ মিনিট আগেনওগাঁর পোরশায় নিজ বাড়ি থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের শীতলী ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে হাই বাবু (৪৭) এবং তাঁর স্ত্রী মোমেনা বেগম (৩৫)।
২৯ মিনিট আগেউত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আহত, নিহত, নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও অন্যদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরি করবে ছয় সদস্যের এই কমিটি।
৪২ মিনিট আগেআফসানার দেবর হাসিবুল হাসান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে আমরা আমাদের ভাবি ও তার সন্তান ওহীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওহিকে পাওয়া যায় স্কুলের একটি কক্ষে। আল্লাহর রহমতে ওহি অক্ষত ও ভালো আছে। কিন্তু তার মা আফসানা প্রিয়াকে কোথাও পাওয়া যায়নি।’
১ ঘণ্টা আগে