Ajker Patrika

অন্যরা নির্বাচনে আসে নাই, এটা তাদেরও নির্বাচনী কৌশল: ইসি আলমগীর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮: ৫০
অন্যরা নির্বাচনে আসে নাই, এটা তাদেরও নির্বাচনী কৌশল: ইসি আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা দেশের প্রত্যেকটা নির্বাচনে কৌশল ছিল। আমাদের দেশেও কৌশল রয়েছে, রাজনৈতিক কৌশল এবং সেটা বৈধ কৌশল। এগুলো কোনোটাই অবৈধ কৌশল না। অতএব এটাকে পাতানো নির্বাচন বলার কোনো সুযোগ নাই। অন্যরা নির্বাচনে আসে নাই, এটা তাদেরও নির্বাচনী কৌশল। সে বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নাই।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ইসি আলমগীর আরও বলেন, ‘মনোনয়ন দাখিলের যে সময় ছিল, এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি এসে আমাদের অনুরোধ করত, সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করতে পারতাম। এখন সে সুযোগ নেই। এখন যে পর্যায়ে গেছে, সংবিধান অনুযায়ী আমাদের টাইম লিমিট আছে। সে হিসেবে আর কোনো সুযোগ নাই।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনে উৎসবের উত্তেজনা রয়েছে। এটা খারাপ কোনো কিছুর দিকে উত্তেজনা নাই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব সময়ই আবেদন রাখা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যারা থাকবে, সবাইকে একই কথা বলা হয়েছে। সেটা ভালোভাবে বলার জন্য প্রতিটি জেলায় গিয়ে আমরা বলে এসেছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যা যা করার দরকার তারা কী কী ব্যবস্থা ইতিমধ্যে নিয়েছে তা শুনব এবং আমাদের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেব। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার সুযোগ নেই। যার হাতে অস্ত্র থাকবে, তাকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া যাবে না। বিচার ও অস্ত্র এক হাতে থাকতে পারে না।’

ইসি আলমগীর আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার জন্য কাউকে হুমকি দেওয়া, আহত করা, কাউকে ভয় দেখানো বা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলে জ্বালাও-পোড়াও করা, নির্বাচন অফিসে আগুন দেওয়া—এগুলো যাতে না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আবেদন করা আছে। কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে সাধারণ জনসভা বা সমাবেশ করা সেগুলোর ক্ষেত্রে যে নিয়ম আছে, সে নিয়মে আমাদের কোনো বাধা নেই। আসলে কেন জানি বিষয়টাকে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।’

নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য দলগুলো প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনি একজনকে বলতে পারেন নির্বাচনে যাবেন, আরেকজনকে বলতে পারেন নির্বাচনে যাবেন না। তবে সেটা শান্তিপূর্ণভাবে আহ্বান করতে হবে। কাউকে আক্রমণ করে, কাউকে ভয় দেখিয়ে সে আহ্বান জানানো যাবে না।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নূরে আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা খানম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত