কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
সঞ্চয়ের ছয় গুণ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছয় শতাধিক গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে পল্লি বাজার লিমিটেড নামের একটি এনজিও।
গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর এলাকায় বাজারসংলগ্ন বরুণ রোডে মাত্র ২৫ দিন আগে এনজিওটি কার্যক্রম চালু করেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এনজিওটি গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
রিকশা মেরামতের গ্যারেজের মালিক আবুল হোসেন জানান, তিনি ঋণের জন্য ওই এনজিওতে সদস্য হয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এনজিও অফিসে গিয়ে দেখেন অফিসকক্ষ তালাবদ্ধ। পাশের দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, এনজিওর লোকজন এখান থেকে পালিয়েছেন। আবুল হোসেন জানান, ঈদের জন্য তিনি ৩০ হাজার টাকা জমা করে রেখেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, এই টাকা দিয়ে তিনি ঈদের কেনাকাটা করবেন। পরে জানতে পারেন, এক এনজিও আছে, যেটি সঞ্চয়ের ছয় গুণ টাকা ঋণ দেয়। এই প্রলোভনে তিনি দুই নামে ৩০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেন। গতকাল দুপুরে এনজিও থেকে তাঁর ঋণ পাওয়ার কথা ছিল। এসে দেখেন এনজিওকর্মীরা উধাও। ঋণের আশায় জমানো টাকা হারিয়ে এখন তিনি মাথায় হাত দিয়েছেন।
ঋণের জন্য এনজিওর সদস্য হয়েছেন কারীমা আক্তার। রাশিদুল ও ইব্রাহিম নামের দুই এনজিওকর্মীর কাছে প্রথমে ৫০০ টাকা দিয়ে নাম লেখান তিনি। পরে কয়েক দফায় তিনি ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা করেন। তিনি জানান, তাঁকে দেড় লাখ টাকা ঋণ দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন এনজিওকর্মীরা। তিনি ঋণের টাকা নিতে গতকাল দুপুরে এসে দেখেন অফিস তালাবদ্ধ। ঋণ পাওয়ার আশায় ধারদেনা করে তিনি এই সঞ্চয় জমা করেছেন। এনজিও লোকজন সেই সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে উধাও হওয়ায় তিনি এখন দিশাহারা।
যে বাসায় এনজিও ভাড়া নিয়েছে, সেই বাসার মালিক মো. চাঁন মিয়া বলেন, ‘এনজিও ম্যানেজার আমার কাছ থেকে সাত হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় ভাড়া নেন। ১ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়ার কথা ছিল। তাঁরা আমাকে কোনো টাকা না দিয়ে বাসায় তালা মেরে পালিয়েছেন। ভেতরে কিছু চেয়ার-টেবিল দেখেছিলাম, সেগুলো এখন ভেতরে রয়েছে কি না, জানা নেই।’ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘এই ধরনের কোনো এনজিওর অনুমোদন আমাদের অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে, তাদের নিবন্ধনটি ভুয়া থাকতে পারে। কোনো এনজিও কোনো এলাকায় চালু হলে তাদের সম্বন্ধে যাচাই করে তারপর লেনদেন করা উচিত। কোথাও এ ধরনের এনজিও চালু হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অথবা উপজেলা প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা উচিত। জানালে শুরু থেকেই আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারি।’
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ধরনের কোনো এনজিওর অনুমোদন তাঁদের অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় দুই বছর এই উপজেলায় কর্মরত রয়েছি। আমি দেখিনি কোনো এনজিও নিয়ে কোনো সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে। নিয়মে আছে, উপজেলার সব এনজিও নিয়ে মাসিক সভার আয়োজন করা।’
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সঞ্চয়ের ছয় গুণ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছয় শতাধিক গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে পল্লি বাজার লিমিটেড নামের একটি এনজিও।
গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর এলাকায় বাজারসংলগ্ন বরুণ রোডে মাত্র ২৫ দিন আগে এনজিওটি কার্যক্রম চালু করেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এনজিওটি গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
রিকশা মেরামতের গ্যারেজের মালিক আবুল হোসেন জানান, তিনি ঋণের জন্য ওই এনজিওতে সদস্য হয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এনজিও অফিসে গিয়ে দেখেন অফিসকক্ষ তালাবদ্ধ। পাশের দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, এনজিওর লোকজন এখান থেকে পালিয়েছেন। আবুল হোসেন জানান, ঈদের জন্য তিনি ৩০ হাজার টাকা জমা করে রেখেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, এই টাকা দিয়ে তিনি ঈদের কেনাকাটা করবেন। পরে জানতে পারেন, এক এনজিও আছে, যেটি সঞ্চয়ের ছয় গুণ টাকা ঋণ দেয়। এই প্রলোভনে তিনি দুই নামে ৩০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেন। গতকাল দুপুরে এনজিও থেকে তাঁর ঋণ পাওয়ার কথা ছিল। এসে দেখেন এনজিওকর্মীরা উধাও। ঋণের আশায় জমানো টাকা হারিয়ে এখন তিনি মাথায় হাত দিয়েছেন।
ঋণের জন্য এনজিওর সদস্য হয়েছেন কারীমা আক্তার। রাশিদুল ও ইব্রাহিম নামের দুই এনজিওকর্মীর কাছে প্রথমে ৫০০ টাকা দিয়ে নাম লেখান তিনি। পরে কয়েক দফায় তিনি ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা করেন। তিনি জানান, তাঁকে দেড় লাখ টাকা ঋণ দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন এনজিওকর্মীরা। তিনি ঋণের টাকা নিতে গতকাল দুপুরে এসে দেখেন অফিস তালাবদ্ধ। ঋণ পাওয়ার আশায় ধারদেনা করে তিনি এই সঞ্চয় জমা করেছেন। এনজিও লোকজন সেই সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে উধাও হওয়ায় তিনি এখন দিশাহারা।
যে বাসায় এনজিও ভাড়া নিয়েছে, সেই বাসার মালিক মো. চাঁন মিয়া বলেন, ‘এনজিও ম্যানেজার আমার কাছ থেকে সাত হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় ভাড়া নেন। ১ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়ার কথা ছিল। তাঁরা আমাকে কোনো টাকা না দিয়ে বাসায় তালা মেরে পালিয়েছেন। ভেতরে কিছু চেয়ার-টেবিল দেখেছিলাম, সেগুলো এখন ভেতরে রয়েছে কি না, জানা নেই।’ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘এই ধরনের কোনো এনজিওর অনুমোদন আমাদের অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে, তাদের নিবন্ধনটি ভুয়া থাকতে পারে। কোনো এনজিও কোনো এলাকায় চালু হলে তাদের সম্বন্ধে যাচাই করে তারপর লেনদেন করা উচিত। কোথাও এ ধরনের এনজিও চালু হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অথবা উপজেলা প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা উচিত। জানালে শুরু থেকেই আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারি।’
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ধরনের কোনো এনজিওর অনুমোদন তাঁদের অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় দুই বছর এই উপজেলায় কর্মরত রয়েছি। আমি দেখিনি কোনো এনজিও নিয়ে কোনো সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে। নিয়মে আছে, উপজেলার সব এনজিও নিয়ে মাসিক সভার আয়োজন করা।’
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কোরবানির ঈদ দরজায় কড়া নাড়ছে। তবে গাইবান্ধায় পশুর হাটগুলো এখনো জমে ওঠেনি। হাটে দেশি গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। তাঁরা বলছেন, এবারের ঈদের হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।
২ ঘণ্টা আগেদেশে আম উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল হিসেবে খ্যাত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর। এখানে অনেক নামী জাতের আম চাষ হচ্ছে, যা কয়েকবার বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এই ফল রপ্তানিযোগ্য করতে স্থানীয় চাষিরা উৎপাদনে ব্যবহার করছেন ব্যাগ ও গ্যাপ পদ্ধতি।
২ ঘণ্টা আগেরংপুর নগরীর প্রতিটি সড়ক, গলি, মোড় যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। চারপাশে ছড়িয়ে থাকা এসব পচা ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধে নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।
২ ঘণ্টা আগেআসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে দেশের ৬টি মহাসড়কের ১১৮ স্থানে যানজটের আশঙ্কা করছে পুলিশ। এই ৬ মহাসড়কের পাশেই বসছে ২৩০টি পশুর হাট। এসব হাটকে কেন্দ্র করে পশুবাহী ট্রাকের যাতায়াত, সড়কে দাঁড়িয়ে পশু নামানো-ওঠানো ইত্যাদির কারণে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ...
২ ঘণ্টা আগে