Ajker Patrika

পুলিশ কর্মকর্তা মামুন হত্যা মামলায় আরাভ খানসহ ৮ জনের রায় বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে আরাভ খান। ফাইল ছবি
রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে আরাভ খান। ফাইল ছবি

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী বুধবার (৫ মার্চ)। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এই রায় ঘোষণা করবেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

এই রায়ের পরে এই মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিচার নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তি হবে।

এই মামলায় ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ এ মামলায় নিহত মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

মামলার আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন— রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। তাঁরা কারাগারে আছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানী মডেল টাউনের রোড নম্বর ২/৩, বাড়ি নম্বর-৫ অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় খুন করা হয়। পরে মরদেহ গুম করার জন্য দুর্বৃত্তরা গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা রাস্তার পাশে ঝাড়ের মধ্যে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে রাখে। ১০ জুলাই কালিগঞ্জ পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বনানী থানায় ১০ জুলাই হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৯ সালে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

হত্যায় সহযোগিতার কারণে আইনের সংস্পর্শে আসা দুই কিশোরীর বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়। এই দুজনের বিচার করার জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ দোষীপত্রটি পাঠানো হয়।

রবিউল ইসলাম এখন আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে আছেন। ২০২৩ সালে দুবাইতে অভিজাত জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০২৩ সালে একটি অস্ত্র মামলায় ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত