নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ভারতের সেরাম ইসস্টিটিউট চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের টিকা দিতে পারছে না। ফলে টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। ভারত গত মার্চ থেকেই টিকা রপ্তানি স্থগিত করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সময়মতো টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন।
ঢাকার কুর্মিটোলা জেনালের হাসপাতালে শনিবার দুপুরে করোনাভাইরোসর টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান নাজমুল হাসান।
বেক্সিমকোর এমডি বলেন, সেরাম টিকা না দিলে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম সংকটের মুখে পড়বে। এ বিষয়টি সরকারকে জোরালোভাবে বলা উচিত। কারণ দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য সরকার তাদের অগ্রিম টাকা দিয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। অর্থাৎ বেক্সিমকোর ঠিকাদারিতে কোভিড টিকা আনছে সরকার।
চুক্তি এবং অগ্রিম টাকা দেওয়ার পরও সেরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশকে টিকা দিচ্ছে না, কবে সেই টিকা পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নে নাজমুল হাসান বলেন, এটা বলা খুব কঠিন। তবে আমাদের জন্য (সেরাম) পুরো ৫০ লাখ রেডি করে রেখে দিয়েছে, কোনো সমস্যা নেই। ওদের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষা করছে। গতমাসে ৫০ লাখ আসার কথা ছিল, ওরা দিয়েছে ২০ লাখ, এ মাসে এখনো দেয়নি।
পাপন বলেন, আমার কথা হচ্ছে, যে টাকা সরকার অগ্রিম দিয়েছে সেটা তারা কোনোভাবেই আটকাতে পারে না। এটা অন্য দেশের সঙ্গে কী হলো তা আমাদের জানার দরকার নেই। টাকা নিয়ে দেবে না এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
সেরাম ইসস্টিটিউট টিকা না দিলে দ্বিতীয় ডোজের সংকট হবে জানিয়ে পাপন বলেন, আমাদের এটা তাড়াতাড়ি দিতে হবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের লিখিত জানিয়েছেন, তাদের সরকার আটকে রেখেছে। তাই আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি, এরপর আমাদের চুপ করে থাকার কোনো কারণ নেই।
‘সরকারকে ইমিডেয়েটলি ওদেরকে স্পষ্ট ভাষার বলা উচিত, আমরা অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছি এটা আমাদের সময়মত দিতেই হবে। কারণ আমাদের সেকেন্ড ডোজ এখনই নেই, এটা জোরালোভাবে বলতে হবে। আনঅফিসিয়ালি ফোনে একটা কথা বলা, এটা না, শক্ত একটা পদক্ষেপ নিতে হবে।’
পাপন জানান, সেরাম ইসস্টিটিউট থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কিনতে অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। মে মাসের মধ্যে সব টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। ৮০ লাখ দিয়ে দিক, তারপরে দরকার হলে ওরা দেবে, হয়ত আমরাই নেব না ওদের কাছ থেকে, আমাদের অন্য সোর্স থাকবে।
টিকা না দিলে কী হবে সেই প্রশ্নে পাপন বলেন, আমাদের এখানে কিছু করার নেই। সরকার আগে টাকা দিয়ে বুক করার কথা, সরকার সেটা করেছে। বেক্সিমকোর দায়িত্ব সেটা আসার পরে এখানে পরিবহন, স্টোরেজ ও বিতরণ- আমরা সেটা করছি।
‘সরকার আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে কিন্তু সেটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি আমরা বিশ্বাস করি ও জানি, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। এটা দেখার একটা সময় হয়েছে, এটা এখন দেখতে হবে, এত মিষ্টি মিষ্টি কথা শোনার দরকার নেই। আমরা ওদের কাছ থেকে কোনো দয়া চাচ্ছি না, আমরা ন্যায্য পাওনা আমাদের ভ্যাকসিন চাচ্ছি।’
ঢাকা: ভারতের সেরাম ইসস্টিটিউট চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের টিকা দিতে পারছে না। ফলে টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। ভারত গত মার্চ থেকেই টিকা রপ্তানি স্থগিত করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সময়মতো টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন।
ঢাকার কুর্মিটোলা জেনালের হাসপাতালে শনিবার দুপুরে করোনাভাইরোসর টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান নাজমুল হাসান।
বেক্সিমকোর এমডি বলেন, সেরাম টিকা না দিলে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম সংকটের মুখে পড়বে। এ বিষয়টি সরকারকে জোরালোভাবে বলা উচিত। কারণ দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য সরকার তাদের অগ্রিম টাকা দিয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। অর্থাৎ বেক্সিমকোর ঠিকাদারিতে কোভিড টিকা আনছে সরকার।
চুক্তি এবং অগ্রিম টাকা দেওয়ার পরও সেরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশকে টিকা দিচ্ছে না, কবে সেই টিকা পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নে নাজমুল হাসান বলেন, এটা বলা খুব কঠিন। তবে আমাদের জন্য (সেরাম) পুরো ৫০ লাখ রেডি করে রেখে দিয়েছে, কোনো সমস্যা নেই। ওদের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষা করছে। গতমাসে ৫০ লাখ আসার কথা ছিল, ওরা দিয়েছে ২০ লাখ, এ মাসে এখনো দেয়নি।
পাপন বলেন, আমার কথা হচ্ছে, যে টাকা সরকার অগ্রিম দিয়েছে সেটা তারা কোনোভাবেই আটকাতে পারে না। এটা অন্য দেশের সঙ্গে কী হলো তা আমাদের জানার দরকার নেই। টাকা নিয়ে দেবে না এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
সেরাম ইসস্টিটিউট টিকা না দিলে দ্বিতীয় ডোজের সংকট হবে জানিয়ে পাপন বলেন, আমাদের এটা তাড়াতাড়ি দিতে হবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের লিখিত জানিয়েছেন, তাদের সরকার আটকে রেখেছে। তাই আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি, এরপর আমাদের চুপ করে থাকার কোনো কারণ নেই।
‘সরকারকে ইমিডেয়েটলি ওদেরকে স্পষ্ট ভাষার বলা উচিত, আমরা অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছি এটা আমাদের সময়মত দিতেই হবে। কারণ আমাদের সেকেন্ড ডোজ এখনই নেই, এটা জোরালোভাবে বলতে হবে। আনঅফিসিয়ালি ফোনে একটা কথা বলা, এটা না, শক্ত একটা পদক্ষেপ নিতে হবে।’
পাপন জানান, সেরাম ইসস্টিটিউট থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কিনতে অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। মে মাসের মধ্যে সব টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। ৮০ লাখ দিয়ে দিক, তারপরে দরকার হলে ওরা দেবে, হয়ত আমরাই নেব না ওদের কাছ থেকে, আমাদের অন্য সোর্স থাকবে।
টিকা না দিলে কী হবে সেই প্রশ্নে পাপন বলেন, আমাদের এখানে কিছু করার নেই। সরকার আগে টাকা দিয়ে বুক করার কথা, সরকার সেটা করেছে। বেক্সিমকোর দায়িত্ব সেটা আসার পরে এখানে পরিবহন, স্টোরেজ ও বিতরণ- আমরা সেটা করছি।
‘সরকার আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে কিন্তু সেটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি আমরা বিশ্বাস করি ও জানি, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। এটা দেখার একটা সময় হয়েছে, এটা এখন দেখতে হবে, এত মিষ্টি মিষ্টি কথা শোনার দরকার নেই। আমরা ওদের কাছ থেকে কোনো দয়া চাচ্ছি না, আমরা ন্যায্য পাওনা আমাদের ভ্যাকসিন চাচ্ছি।’
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
৪ ঘণ্টা আগেআসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
৪ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
৪ ঘণ্টা আগে