Ajker Patrika

ভিকারুননিসার ছাত্রী অরিত্রীর আত্মহত্যা: তৃতীয় দফা পেছাল মামলার রায় 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪, ১৬: ০৬
ভিকারুননিসার ছাত্রী অরিত্রীর আত্মহত্যা: তৃতীয় দফা পেছাল মামলার রায় 

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন রায় পিছিয়ে আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, রায় ঘোষণা করা হয়নি। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। 

তারও আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। মামলার দুই আসামি হলেন শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার। 

 ২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। 

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন। 

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তার অভিভাবকদের ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর তারা স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাঁকে অনেক অপমান করে। এই অপমান ও পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।’ 

 ২০১৯ সালের ২০ মার্চ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। 

 ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:–

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত