Ajker Patrika

মগবাজার ধ্বংসস্তূপে দুর্গন্ধ, ঘটনাস্থলে পেট্রোবাংলার কমিটি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মগবাজার ধ্বংসস্তূপে দুর্গন্ধ, ঘটনাস্থলে পেট্রোবাংলার কমিটি 

রাজধানীর মগবাজারে শর্মা হাউসের ভবনে বিস্ফোরণস্থল থেকে গতকাল রোববার সকাল থেকে গ্যাস বের হওয়ার খবর মেলে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিস ও তিতাসের কর্মীরা। তিতাসের বিচ্ছিন্ন করা একটি লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছে বলে জানা যায়। 

সোমবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকলেও ফায়ার সার্ভিস কিংবা তিতাসের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। কিন্তু গ্যাসের গন্ধ তখনো ছিল। 

দায়িত্বরত কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এএসআই মজুমদার বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে এখানে পানি জমেছে। তা ছাড়া আর কোন নতুন আলামত পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গত শনিবার এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার পায় সিটিটিসি। 

যেখানে দুর্ঘটনা হয়েছে সেখান থেকে কয়েক দিন ধরে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের পেছনের দিকে এই গন্ধের তীব্রতা বেশি। 

শর্মা হাউস লাগোয়া জুনায়েদ স্টোরের দোকানি মোহাম্মদ পলাশ হাওলাদার ও হেয়ার ক্র্যাফট সেলুনের দীপঙ্কর জানান, বিস্ফোরণের পরদিন থেকেই ধ্বংসস্তূপ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া শুরু হয়। তবে প্রথমদিকে দুর্গন্ধের তীব্রতা কম থাকলেও যতই দিন যাচ্ছে এর তীব্রতা বাড়ছে। জুনায়েদের ধারণা বিধ্বস্ত বিল্ডিংয়ের বেঙ্গল মিটের স্টোরে মজুত করা মাংস পচেই এ দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা অল ইন্ডিয়া মেডিকেল সার্ভিসের নির্বাহীর পরিচালক এসকে ফজলে রাব্বীও কারণ হিসেবে সেটিই উল্লেখ করলেন। 

এদিকে ঘটনার ৯ দিনের মাথায় সোমবার বেলা বারোটার দিকে প্রথমবারের মত ঘটনাস্থল পরিদর্শন আসে পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি। সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার শাহনেওয়াজ পারভেজ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক। তিনি জানান, এখনো তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন তাঁরা। বিস্ফোরণের সূত্রপাত সম্পর্কে কোন নিশ্চিত তথ্য নেই পেট্রোবাংলার হাতে। 

শাহনেওয়াজ পারভেজ আরও বলেন, সমস্ত সন্দেহগুলো একত্র করে আসলে বলা যাবে এই বিস্ফোরণের কারণ। তিতাসের লাইন লিকেজ হয়েছে কি-না বলা যাচ্ছে না। এখানে আবার এলপিজি সিলিন্ডারও ছিল, সেটাও একটা কারণ হতে পারে। সবই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। গ্যাসের লাইন বৈধ না অবৈধ ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নকশা অনুযায়ী এই ধরনের গ্যাসের লাইন কীভাবে ঘরের ভেতরে থাকে তাও খতিয়ে দেখা হবে। 

ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন তিতাসের ঢাকা মেট্রোর বিপণন শাখা-৩ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সত্যজিৎ ঘোষ। 

তিতাসের লাইন ছিদ্রের বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে তিনি বলেন, এখানে দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটিরা যাচাই বাছাই করছে। সবকিছু অবজারভেশন করা হচ্ছে। যাচাই বাছাই শেষে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। 

গত ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের প্রথম দিন ৭ জন নিহত হন। তিন দিনের মাথায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে এক নিরাপত্তারক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত