Ajker Patrika

ডাম্পিং স্টেশনের আগেই গাড়ি, গচ্চা ৩৭ লাখ

মো. লুৎফর রহমান, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় বর্জ্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও রিসাইক্লিং করতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নেওয়া হয় ‘টোকাই’ প্রকল্প। এর আওতায় সদরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক মিনি গার্বেজ ভ্যান কেনা হয়। সেই সঙ্গে ৯ ইউনিয়নের জন্য সংগ্রহ করা হয় ৯টি ব্যাটারিচালিত ভ্যান। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৩৭ লাখ টাকা। কিন্তু এগুলো কোনো কাজেই আসছে না। ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ না করায় গচ্চা গেছে প্রকল্পটি। সাটুরিয়া সদরে ২ শতাধিক আবাসিক ভবন রয়েছে। এসব ভবনের ময়লা গাজীখালী নদীতে ফেলা হয়। ফলে নদী হারিয়েছে নাব্যতা। সেই সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ কয়েকটি ক্লিনিকের আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন’ সাটুরিয়া নির্মাণে টোকাই প্রকল্প নেওয়া হয়।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে টোকাই প্রকল্পের নামে দুটি ডাম্পিং গাড়ি কেনা হয়। এতে ব্যয় করা হয় ২৫ লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া প্রকল্পটিকে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়ি কেনায় আরও ব্যয় করা হয় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এতে কাজে লাগানো হয় ভূমি উন্নয়ন করের টাকা। গত বছরের ৫ জুন বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দুই টোকাই গাড়ি উদ্বোধন করেছেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার। কিন্তু এরপর থেকেই গাড়িগুলো গ্যারেজবন্দী রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা সাটুরিয়ার যেকোনো স্থানে একটি ডাম্পিং স্টেশন করার প্রস্তাব করেন, যা মাসিক সমন্বয় সভায় অনুমোদন করে উপজেলা পরিষদ। কিন্তু পরে সেই স্টেশন নির্মাণ না করেই আগে গাড়ি কিনে ফেলা হয়। এখন গাড়িগুলো বসে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, এক বছর আগে টোকাই প্রকল্পের মাধ্যমে সাটুরিয়ার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য দুটি গাড়ি কেনা হয়। কিন্তু ময়লা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ব্যাটারিচালিত ভ্যান কেনা হয়। ডাম্পিং স্টেশন তৈরি না করে এ টোকাই প্রকল্প হাতে নেওয়া ঠিক হয়নি।

দড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলিনূর বকস রতন বলেন, সরকারি কোষাগারের টাকা খরচ করা হলেও সাটুরিয়া বাসিন্দাদের কোনো উপকারে লাগেনি টোকাই প্রকল্প। অহেতুক টাকা অপচয় করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দুই মাস হলো সাটুরিয়া উপজেলায় যোগদান করেছি। টোকাই প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমারকে বাধ্যতামূলক অবসর

এবার এসপিদেরও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে: উপদেষ্টা আসিফ

‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাদ দিয়ে জিম্বাবুয়ে-আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেলুক পাকিস্তান’

নির্বাচিত হলে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী—এটি বিএনপির অবস্থান নয়: রিজভী

ঘুষের বিনিময়ে ভিসা: বাংলাদেশে ইতালি দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ৫

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত