নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত কয়েক দিন ধরেই চালের দাম বাড়ার বিভিন্ন কারণ ব্যাখ্যা করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান যে মাছ, পোলট্রি, প্রাণী খাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার মন্ত্রী বলেছিলেন জনসংখ্যা বাড়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে। তার এক দিন পরই বুধবার মাছ মুরগির ওপর দোষ চাপালেন তিনি।
বুধবার ঢাকার ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টাস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ফোরাম ফর ইনফরমেশন ডিসেমিনেশন অন এগ্রিকালচার (ফিডা) ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে। দেশে প্রতি শতাংশ জমিতে এখন আগের চেয়ে বেশি এক মণ ধান উৎপাদন হয়। তারপরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে নানা কারণে।
বুধবার মন্ত্রী আবার বলেন, প্রতি বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, ধানের ক্ষেত কমছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুট্টার চাষ। এ সবের সঠিক পরিসংখ্যান দেশে নেই। ফলে কি পরিমাণ চালের চাহিদা আছে দেশে তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না। তাই চাল উৎপাদনে রেকর্ড গড়লেও দেশে চালের দাম বাড়ছে।
শুধু কৃষিমন্ত্রী নয়, চালের দাম অব্যাহত বাড়তে থাকায় খোদ সরকারের ভেতরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। যদি গত কয়েক বছর ধরে ধান উৎপাদনে রেকর্ড করে তাহলে তো চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা। উল্টো লাখ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে কেন? কেনই বা দাম আকাশ ছোঁয়া?
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-(ব্রি) বলছে, দেশে সব সময়ই কমপক্ষে ২৮ লাখ টন চাল মজুত থাকে। কৃষি গবেষকেরা বলছেন, এই তথ্যে অবশ্যই গরমিল আছে। নইলে চাল আমদানি করার কথা নয়।
গেল দুই বছর দেশে ধান উৎপাদনে রেকর্ড হচ্ছে বলে সরকারিভাবে যে প্রচারণা চলছে, তার সত্যতা কতটুকু? তা নিয়ে এর আগে আজকের পত্রিকাকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘দেশে যদি চালের উদ্বৃত্ত থাকে তবে কেন ৭০ লাখ টন চাল আমদানি করতে হবে? বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য ২-৩ টন আনা যেতে পারে। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণে আমদানির কী প্রয়োজন? আর উদ্বৃত্তই যদি থাকবে তাহলে বাজারে এর দাম বাড়বে কেন? অর্থনীতির সংজ্ঞা তো তা বলে না। উদ্বৃত্তের চাল গেল কোথায়? উদ্বৃত্ত চালের তথ্যে গরমিল করেছে কৃষি বিভাগ। তাদেরই এটা ঠিক করতে হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে চালের উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ মেট্রিক টন। আর বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের চালের লক্ষ্যমাত্রা ৩ কোটি ৯৬ লাখের বিপরীতে আউশ ও আমন ফলন হয়েছে মোট ১ কোটি ৭৬ লাখ টন। আর বোরো ফলনের চূড়ান্ত হিসাব না পাওয়া গেলেও আগের বছরের অর্জন ধরলেও তা হয় ১ কোটি ৯৬ লাখ টন। সেই হিসাবে মোট উৎপাদন হওয়ার কথা ৩ কোটি ৭২ লাখ টন।
উৎপাদনের তথ্য যদি এটা হয়, তাহলে চালের মোট চাহিদা কত? এর সঠিক কোনো হিসাব নেই বলে বুধবারের অনুষ্ঠানে জানালেন কৃষিমন্ত্রী।
বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রভারটি অ্যান্ড সোশ্যাল প্রোটেকশন পলিসির সাবেক উপদেষ্টা মিজানুল হক কাজলের হিসাব অনুযায়ী, জনপ্রতি যদি তা আধা কেজি হিসাবেও ধরা হয়, তবে ১৭ কোটি মানুষের বছরে চাল লাগার কথা ৩ কোটি ১৯ লাখ টনের মতো।
গত কয়েক দিন ধরেই চালের দাম বাড়ার বিভিন্ন কারণ ব্যাখ্যা করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান যে মাছ, পোলট্রি, প্রাণী খাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার মন্ত্রী বলেছিলেন জনসংখ্যা বাড়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে। তার এক দিন পরই বুধবার মাছ মুরগির ওপর দোষ চাপালেন তিনি।
বুধবার ঢাকার ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টাস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ফোরাম ফর ইনফরমেশন ডিসেমিনেশন অন এগ্রিকালচার (ফিডা) ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে। দেশে প্রতি শতাংশ জমিতে এখন আগের চেয়ে বেশি এক মণ ধান উৎপাদন হয়। তারপরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে নানা কারণে।
বুধবার মন্ত্রী আবার বলেন, প্রতি বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, ধানের ক্ষেত কমছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুট্টার চাষ। এ সবের সঠিক পরিসংখ্যান দেশে নেই। ফলে কি পরিমাণ চালের চাহিদা আছে দেশে তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না। তাই চাল উৎপাদনে রেকর্ড গড়লেও দেশে চালের দাম বাড়ছে।
শুধু কৃষিমন্ত্রী নয়, চালের দাম অব্যাহত বাড়তে থাকায় খোদ সরকারের ভেতরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। যদি গত কয়েক বছর ধরে ধান উৎপাদনে রেকর্ড করে তাহলে তো চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা। উল্টো লাখ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে কেন? কেনই বা দাম আকাশ ছোঁয়া?
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-(ব্রি) বলছে, দেশে সব সময়ই কমপক্ষে ২৮ লাখ টন চাল মজুত থাকে। কৃষি গবেষকেরা বলছেন, এই তথ্যে অবশ্যই গরমিল আছে। নইলে চাল আমদানি করার কথা নয়।
গেল দুই বছর দেশে ধান উৎপাদনে রেকর্ড হচ্ছে বলে সরকারিভাবে যে প্রচারণা চলছে, তার সত্যতা কতটুকু? তা নিয়ে এর আগে আজকের পত্রিকাকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘দেশে যদি চালের উদ্বৃত্ত থাকে তবে কেন ৭০ লাখ টন চাল আমদানি করতে হবে? বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য ২-৩ টন আনা যেতে পারে। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণে আমদানির কী প্রয়োজন? আর উদ্বৃত্তই যদি থাকবে তাহলে বাজারে এর দাম বাড়বে কেন? অর্থনীতির সংজ্ঞা তো তা বলে না। উদ্বৃত্তের চাল গেল কোথায়? উদ্বৃত্ত চালের তথ্যে গরমিল করেছে কৃষি বিভাগ। তাদেরই এটা ঠিক করতে হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে চালের উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ মেট্রিক টন। আর বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের চালের লক্ষ্যমাত্রা ৩ কোটি ৯৬ লাখের বিপরীতে আউশ ও আমন ফলন হয়েছে মোট ১ কোটি ৭৬ লাখ টন। আর বোরো ফলনের চূড়ান্ত হিসাব না পাওয়া গেলেও আগের বছরের অর্জন ধরলেও তা হয় ১ কোটি ৯৬ লাখ টন। সেই হিসাবে মোট উৎপাদন হওয়ার কথা ৩ কোটি ৭২ লাখ টন।
উৎপাদনের তথ্য যদি এটা হয়, তাহলে চালের মোট চাহিদা কত? এর সঠিক কোনো হিসাব নেই বলে বুধবারের অনুষ্ঠানে জানালেন কৃষিমন্ত্রী।
বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রভারটি অ্যান্ড সোশ্যাল প্রোটেকশন পলিসির সাবেক উপদেষ্টা মিজানুল হক কাজলের হিসাব অনুযায়ী, জনপ্রতি যদি তা আধা কেজি হিসাবেও ধরা হয়, তবে ১৭ কোটি মানুষের বছরে চাল লাগার কথা ৩ কোটি ১৯ লাখ টনের মতো।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। গত আট মাসে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার এসব ঘটনায় পর্যালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব হত্যাকাণ্ডে একই গ্যাং জড়িত।
২ ঘণ্টা আগেমেয়াদ শেষের প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুরে দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দুধকুমারের তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ম্যানেজারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের টাকা নিয়ে...
২ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে বসানো হয়েছে হাট-বাজার। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশ। খেলাধুলার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটিতে যাওয়া-আসা করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
২ ঘণ্টা আগেবালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে