Ajker Patrika

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সন্ত্রাসের জায়গা হয়েছে: সাবেক উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ মে ২০২২, ১৫: ২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সন্ত্রাসের জায়গা হয়েছে: সাবেক উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর আগের মতো নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল জ্ঞানের আঁতুড়ঘর। শত বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের আলো প্রজ্বালিত রেখেছিল। কিন্তু সেটি এখন সন্ত্রাসের জায়গা হয়েছে। এখানে সন্ত্রাসের লাল-পালন হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ভোটের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি এন্ড ভোটার রাইটস আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কোনো শিক্ষক যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় না বলে দাবি করেন তিনি। আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত হিন্দু শিক্ষক কোত্থেকে এলো। গত ১২ থেকে ১৩ বছরে ৯০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এর অর্ধেকের বেশিই হিন্দু। 

জনসংখ্যার বিচারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত হিন্দু শিক্ষক নিয়োগের বিরোধিতা করে ঢাবির এই সাবেক উপাচার্য বলেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িক নই, কিংবা হিন্দুবিদ্বেষী নই। আমরা হিন্দু-মুসলিমের পার্থক্য করি না। কিন্তু আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী দেশের মাত্র ১০ শতাংশ হিন্দু। সেই হিসাবে আপনি যদি ৯০০ জনের মধ্যে ৫০০ জন হিন্দু নিয়োগ দেন, তাহলে কীভাবে হয়? একজন কলেজ প্রিন্সিপাল বলছিলেন, আমাদের কলেজে প্রায় ৫০ শতাংশের ওপরে হিন্দু শিক্ষক। এসব শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। মানলাম তাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে সেখানে নিয়োগ পেয়েছেন, কিন্তু আমি এ কথা বলতে পারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি, যেটা আমাদের সময়ে হয়েছে। আমাদের সময়ে কোনো দল বিবেচনা হয়নি। আমরা যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়েছি। সে জন্য আমাদের সময়ে দলমত-নির্বিশেষে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।’ 

বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদের শাসন কায়েম করেছে উল্লেখ করে আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক যে সমস্যা তৈরি করেছিল আইয়ুব খান আর ইয়াহিয়া খান; আমরা মনে করেছি স্বাধীনতার পর তা আর ফিরে আসবে না। আমরা ভেবেছিলাম গণতন্ত্রের মাধ্যমে একটি সরকার গঠন হবে। কিন্তু আমরা দেখি তার উল্টো চিত্র। পাকিস্তানের চেয়েও ভয়াবহ একটি সরকার এখানে কায়েম হয়েছে। এই সরকার স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী। এরা এ দেশের মানুষকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছিলাম, কিন্তু আমরা আবার শিকলে বন্দী হয়েছি। এই জাতির মুক্তির জন্য আবার একটি যুদ্ধ প্রয়োজন। এই জাতির অধিকার আদায়ে নতুন করে আবার যুদ্ধ করতে হবে।’ 

অনুষ্ঠানে হুমায়ুন কবির ব্যাপারীর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবির সিন্ডিকেটে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের চূড়ান্ত অনুমোদন

শ্বশুরকে জামাতার ফোন: ‘আপনার মেয়েকে মাইরা ফেলছি, লাশ নিয়ে যান’

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে গেলেন ইমামতি করতে

ঐতিহাসিক শিমলা চুক্তি বাতিল করল পাকিস্তান, এর প্রভাব কী

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত