ঢাবি প্রতিনিধি
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ফেরানো ঠেকাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসন।
আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য আজকের পত্রিকাকে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সদস্য বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের প্রবেশকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দাবি পূরণ হয়েছে, তদন্ত কমিটিও হয়েছে, কাজ চলমান। আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে থেকে ঘোষিত বিভিন্ন ব্যাচের পরীক্ষা ছিল, পরীক্ষার তারিখ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেনি। তাই একাডেমিক কাউন্সিলের আলোচনার ভিত্তিতে সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে, রেজল্যুশন আকারে এখনো আমাদের কাছে আসেনি। তবে কবে সেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে—সে জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসব, আলোচনা করব, এরপর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্যতম এক সংগঠক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের আন্দোলনের পদ্ধতি কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। প্রশাসন সম্মত হয়েছে যে শিক্ষার্থীরাও আপিল করার জন্য আইনজীবী প্রস্তাব করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিনিধিদল কিংবা সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ আইনি প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশ নিতে পারবেন।
একটি দৃশ্যমান পদক্ষেপ না দেখা পর্যন্ত তাঁরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বলে জানান ওই সংগঠক। তিনি জানান, ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের অংশ হিসেবে আজ ২০ ব্যাচের কেউ টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ২২ এপ্রিল ১৮ ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায়ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন না।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর দাবিতেও সংবাদ সম্মেলনে করে আসছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁদের মুখপাত্র আশিক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন সচেতন হয়েছে, একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমরা আমাদের দাবি নিয়ে অটল রয়েছি। আশা করছি, আগামী ২৭ তারিখ থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবে।’
ঈদুল ফিতরের ছুটির পর বুয়েট ইস্যুতে ছাত্রলীগ কীভাবে এগোচ্ছে জানতে চাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েটের শিক্ষার্থীরাই বুয়েটে রাজনীতি করবে, সেটা তাদের মতামত নিয়ে করা হবে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ তার ঐতিহ্য অনুসারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগোচ্ছে, কাজ করে যাবে।’
উল্লেখ, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের প্রবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাদ্দাম হোসেনকে প্রবেশে সহযোগিতা করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ও বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি হলের সিট বাতিল ও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা প্রশাসন। পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে গেলে সিট ফেরত দিতে ও ছাত্ররাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর মধ্যে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানকে অপসারণ করে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিককে সে পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ফেরানো ঠেকাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসন।
আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য আজকের পত্রিকাকে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সদস্য বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের প্রবেশকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দাবি পূরণ হয়েছে, তদন্ত কমিটিও হয়েছে, কাজ চলমান। আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে থেকে ঘোষিত বিভিন্ন ব্যাচের পরীক্ষা ছিল, পরীক্ষার তারিখ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেনি। তাই একাডেমিক কাউন্সিলের আলোচনার ভিত্তিতে সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে, রেজল্যুশন আকারে এখনো আমাদের কাছে আসেনি। তবে কবে সেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে—সে জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসব, আলোচনা করব, এরপর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্যতম এক সংগঠক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের আন্দোলনের পদ্ধতি কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। প্রশাসন সম্মত হয়েছে যে শিক্ষার্থীরাও আপিল করার জন্য আইনজীবী প্রস্তাব করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিনিধিদল কিংবা সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ আইনি প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশ নিতে পারবেন।
একটি দৃশ্যমান পদক্ষেপ না দেখা পর্যন্ত তাঁরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বলে জানান ওই সংগঠক। তিনি জানান, ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের অংশ হিসেবে আজ ২০ ব্যাচের কেউ টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ২২ এপ্রিল ১৮ ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায়ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন না।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর দাবিতেও সংবাদ সম্মেলনে করে আসছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁদের মুখপাত্র আশিক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন সচেতন হয়েছে, একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমরা আমাদের দাবি নিয়ে অটল রয়েছি। আশা করছি, আগামী ২৭ তারিখ থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবে।’
ঈদুল ফিতরের ছুটির পর বুয়েট ইস্যুতে ছাত্রলীগ কীভাবে এগোচ্ছে জানতে চাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েটের শিক্ষার্থীরাই বুয়েটে রাজনীতি করবে, সেটা তাদের মতামত নিয়ে করা হবে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ তার ঐতিহ্য অনুসারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগোচ্ছে, কাজ করে যাবে।’
উল্লেখ, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের প্রবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাদ্দাম হোসেনকে প্রবেশে সহযোগিতা করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ও বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি হলের সিট বাতিল ও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা প্রশাসন। পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে গেলে সিট ফেরত দিতে ও ছাত্ররাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর মধ্যে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানকে অপসারণ করে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিককে সে পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মিষ্টির দোকানে এক ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার জাফলংয়ের মামার বাজার মন্দিরসংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর নাম রাজীব সরকার (৩০)। তিনি নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার জয়কৃষ্ণ সরকারের ছেলে।
২ মিনিট আগেরাজধানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মানববন্ধন থেকে তাঁরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
৪ মিনিট আগেসুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে দাবি না মানা পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমি ভবনের ফটকে তালা দিয়ে রক্তাক্ত প্রতীকী অ্যাপ্রোন ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
১২ মিনিট আগেদিনাজপুরের বীরগঞ্জে এক যুবক তাঁর স্ত্রীকে খোলা তালাক দিয়ে ১০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় এক বছরের স্বামী–স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ থেকে মুক্তি পাওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল করেছেন বলে দাবি আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সোহাগ ইসলামের।
১৪ মিনিট আগে