নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর যানজট দূর করতে, লেক বাঁচাতে ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় হাতিরঝিল। এ প্রকল্প চালুর ফলে ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও মগবাজার এলাকা লেকের দুই পারে চারটি সেতু দিয়ে যোগাযোগ করে থাকে। তবে বছরের বিশেষ দিনগুলোতে হাতিরঝিল হয়ে উঠে রাজধানীবাসীর অঘোষিত বিনোদনকেন্দ্র। ঢাকার দুই প্রান্ত থেকেই ঘুরতে আসেন মানুষ এই লেকের চারপাশে।
আজ রোববার হাতিরঝিলের মহানগর অংশ থেকে রামপুরা অংশ ঘুরে দেখা যায়, দুই পাশের সংযোগ সেতুগুলোর পাশের রাস্তায় ভিড় করেছে কিশোর বয়সের ছেলেমেয়েরা। কেউ আছন পরিবারের সঙ্গে। তরুণ-তরুণীরা ব্যস্ত সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করায়। আবার কেউ ওয়াটার বোট বা নৌকা ভ্রমণ করে ঝিলের বাড়তি আনন্দ উপভোগে ব্যস্ত।
মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে হাতিরঝিলে এসেছেন সানাউল্লাহ খান। বাসে করে পুরো হাতিরঝিল ঘুরেছেন তিনি। এখন অপেক্ষা করছেন নৌকা ভ্রমণের জন্য। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত ঢাকায় ঘোরার জায়গা নেই। যেগুলো আছে তাতে অনেক জনসমাগম থাকে। হাতিরঝিল অনেক বড়। তাই ঘুরে শান্তি পাওয়া যায়।’
ঈদ উপলক্ষে বন্ধ রয়েছে ওয়াটার বোটে যাত্রী পারাপার। তার পরিবর্তে চালু হয়েছে পুরো হাতিরঝিল লেক ঘুরে দেখার আয়োজন। প্রতি ৩০ মিনিটের জন্য জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৮০ টাকা। ঈদের ছুটির তিন দিন এই প্যাকেজ চালু থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হাসনাত এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে। তিনি বলেন, ‘সাধারণত মাঝে মাঝেই আসা হয় এখানে। তবে ঈদের সময় প্রতিবার আসি ৷ বন্ধুদের মোটরসাইকেলে ঘুরি।’
তবে লেকে চারপাশে লোকারণ্য থাকলেও লেকের পানি নিয়েও আছে অভিযোগ। হাসনাত বলেন, ‘এখানে একটাই সমস্যা পানিতে গন্ধ অনেক। লেকের ধারে বেশিক্ষণ থাকা যায় না।’
এদিকে ঈদ উপলক্ষে হাতিরঝিলের দুই ব্রিজের পাশে ও পুলিশ প্লাজার পেছনে জমজমাট হয়ে উঠেছে খাবারের দোকানগুলো। বিশেষ করে ফুচকা, ভেলপুরি, চটপটি, ছোলা, মমো, চিকেন ফ্রাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই হাতিরঝিলের লেকপাড়ের গোল চত্বরে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউ-বা আবার রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলোতে বসে নানা পদের খাবার খাচ্ছেন। দুই অংশের উড়াল সড়কের নিচে খাবারের দোকানেও ভিড় অনেক।
এ ছাড়া ছোটদের খেলনার ভ্রাম্যমাণ দোকান, বেলুন—এগুলোর প্রতিও আগ্রহ রয়েছে ক্রেতাদের। খেলনা ও বেলুন বিক্রেতা সেলিম বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলেই এখানে আসি। তবে ঈদের সময় মানুষ বেশি থাকে। বাচ্চা আসে অনেক। বেচাবিক্রি ভালো হয় তখন।’
হাতিরঝিলের চারপাশের রেস্তোরাঁতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ওয়েটাররা জানান, আজকে ভিড় অনেক বেশি। তন্দুরি চিকেন ও চায়নিজ খাবারের কদর বেশি এখানে। ইন্ডিয়ান জনপ্রিয় খাবার দোসা, চিকেন, কাবাব কম দামে প্যাকেজ আকারে বিক্রি হচ্ছে এখানে।
হাতিরঝিল ছাড়াও বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, চন্দ্রিমা উদ্যানেও রয়েছে দর্শনার্থীদের ভিড়। দুপুরের পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। টিকিট কাউন্টারে তিল ধারণের জায়গা নেই। নিরিবিলি পরিবেশের জন্য চন্দ্রিমা উদ্যানেও রয়েছে অল্প বয়সীদের আনাগোনা।
রাজধানীর যানজট দূর করতে, লেক বাঁচাতে ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় হাতিরঝিল। এ প্রকল্প চালুর ফলে ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও মগবাজার এলাকা লেকের দুই পারে চারটি সেতু দিয়ে যোগাযোগ করে থাকে। তবে বছরের বিশেষ দিনগুলোতে হাতিরঝিল হয়ে উঠে রাজধানীবাসীর অঘোষিত বিনোদনকেন্দ্র। ঢাকার দুই প্রান্ত থেকেই ঘুরতে আসেন মানুষ এই লেকের চারপাশে।
আজ রোববার হাতিরঝিলের মহানগর অংশ থেকে রামপুরা অংশ ঘুরে দেখা যায়, দুই পাশের সংযোগ সেতুগুলোর পাশের রাস্তায় ভিড় করেছে কিশোর বয়সের ছেলেমেয়েরা। কেউ আছন পরিবারের সঙ্গে। তরুণ-তরুণীরা ব্যস্ত সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করায়। আবার কেউ ওয়াটার বোট বা নৌকা ভ্রমণ করে ঝিলের বাড়তি আনন্দ উপভোগে ব্যস্ত।
মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে হাতিরঝিলে এসেছেন সানাউল্লাহ খান। বাসে করে পুরো হাতিরঝিল ঘুরেছেন তিনি। এখন অপেক্ষা করছেন নৌকা ভ্রমণের জন্য। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত ঢাকায় ঘোরার জায়গা নেই। যেগুলো আছে তাতে অনেক জনসমাগম থাকে। হাতিরঝিল অনেক বড়। তাই ঘুরে শান্তি পাওয়া যায়।’
ঈদ উপলক্ষে বন্ধ রয়েছে ওয়াটার বোটে যাত্রী পারাপার। তার পরিবর্তে চালু হয়েছে পুরো হাতিরঝিল লেক ঘুরে দেখার আয়োজন। প্রতি ৩০ মিনিটের জন্য জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৮০ টাকা। ঈদের ছুটির তিন দিন এই প্যাকেজ চালু থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হাসনাত এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে। তিনি বলেন, ‘সাধারণত মাঝে মাঝেই আসা হয় এখানে। তবে ঈদের সময় প্রতিবার আসি ৷ বন্ধুদের মোটরসাইকেলে ঘুরি।’
তবে লেকে চারপাশে লোকারণ্য থাকলেও লেকের পানি নিয়েও আছে অভিযোগ। হাসনাত বলেন, ‘এখানে একটাই সমস্যা পানিতে গন্ধ অনেক। লেকের ধারে বেশিক্ষণ থাকা যায় না।’
এদিকে ঈদ উপলক্ষে হাতিরঝিলের দুই ব্রিজের পাশে ও পুলিশ প্লাজার পেছনে জমজমাট হয়ে উঠেছে খাবারের দোকানগুলো। বিশেষ করে ফুচকা, ভেলপুরি, চটপটি, ছোলা, মমো, চিকেন ফ্রাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই হাতিরঝিলের লেকপাড়ের গোল চত্বরে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউ-বা আবার রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলোতে বসে নানা পদের খাবার খাচ্ছেন। দুই অংশের উড়াল সড়কের নিচে খাবারের দোকানেও ভিড় অনেক।
এ ছাড়া ছোটদের খেলনার ভ্রাম্যমাণ দোকান, বেলুন—এগুলোর প্রতিও আগ্রহ রয়েছে ক্রেতাদের। খেলনা ও বেলুন বিক্রেতা সেলিম বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলেই এখানে আসি। তবে ঈদের সময় মানুষ বেশি থাকে। বাচ্চা আসে অনেক। বেচাবিক্রি ভালো হয় তখন।’
হাতিরঝিলের চারপাশের রেস্তোরাঁতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ওয়েটাররা জানান, আজকে ভিড় অনেক বেশি। তন্দুরি চিকেন ও চায়নিজ খাবারের কদর বেশি এখানে। ইন্ডিয়ান জনপ্রিয় খাবার দোসা, চিকেন, কাবাব কম দামে প্যাকেজ আকারে বিক্রি হচ্ছে এখানে।
হাতিরঝিল ছাড়াও বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, চন্দ্রিমা উদ্যানেও রয়েছে দর্শনার্থীদের ভিড়। দুপুরের পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। টিকিট কাউন্টারে তিল ধারণের জায়গা নেই। নিরিবিলি পরিবেশের জন্য চন্দ্রিমা উদ্যানেও রয়েছে অল্প বয়সীদের আনাগোনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে রেলের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরির সময় এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁর পোরশায় নিজ বাড়ি থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের শীতলী ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে হাই বাবু (৪৭) এবং তাঁর স্ত্রী মোমেনা বেগম (৩৫)।
১ ঘণ্টা আগেউত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আহত, নিহত, নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও অন্যদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরি করবে ছয় সদস্যের এই কমিটি।
১ ঘণ্টা আগেআফসানার দেবর হাসিবুল হাসান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে আমরা আমাদের ভাবি ও তার সন্তান ওহীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওহিকে পাওয়া যায় স্কুলের একটি কক্ষে। আল্লাহর রহমতে ওহি অক্ষত ও ভালো আছে। কিন্তু তার মা আফসানা প্রিয়াকে কোথাও পাওয়া যায়নি।’
১ ঘণ্টা আগে