Ajker Patrika

বীর নিবাস পেয়ে আবেগাপ্লুত মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হক

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
বীর নিবাস পেয়ে আবেগাপ্লুত মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হক (৭০) সরকারের ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের অধীনে ‘বীর নিবাস’ বরাদ্দ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এ যাবৎ যেসব কল্যাণমূলক কার্যক্রম হয়েছে তা সবই তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) হাত ধরেই হয়েছে।’ 

গতকাল বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা শেষে সামশুল হক জানান, গত মঙ্গলবার সরকারের ‘বীর নিবাস’ ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। তিনি প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন, কখন থেকে বীর নিবাসে বসবাস শুরু করবেন। এ সময় তাঁর দুচোখ বেয়ে আনন্দাশ্রু ঝরে পড়ে। 

উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হকের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীর নিবাসের কাজ করছেন ঠিকাদারের লোকেরা। এ সময় তিনি বিভিন্নভাবে তাদের সহায়তা করছেন। নিজের স্বপ্নের এই ভবনের কাজটি নিখুঁত যেন হয় সে জন্য তিনিও কাজের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। 

স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার। একমাত্র মেয়ে আয়েশা খাতুনকে (২১) এ বছরই একই এলাকার দিদার আলমের (২৬) সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছেলে মো. কোরবান আলী অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছে। অপর তিন ছেলে বিয়ে করে আলাদাভাবে বসবাস করেন। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হকের বীর নিবাস নির্মাণ করা হচ্ছেসামশুল হক জানান, এক সময় তিনি রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও দশ বছর আগে পড়ে গিয়ে কোমরের একটি হাড় ভেঙে যায়। এ অবস্থায় আর রিকশা চালাতে কিংবা কোন কাজ করতে পারেন না। তবে সরকারের দেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার টাকায় কোনোমতে ছেলের পড়ালেখার খরচ ও সংসার খরচ নির্বাহ করেন। 

সরকারের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা না পেলে তাকে এবং তার পরিবারকে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকতে হতো। এ জন্য তিনি বর্তমান সরকার এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

সামশুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি মা-বাবার সঙ্গে সিলেটের দোয়ারা বাজার এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানেই কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মাহবুবের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে স্বাধীনতার পর তাঁর পুরো পরিবার নিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী গ্রামে নিজ পৈতৃক বাড়িতে চলে আসেন। সেই থেকে এখানেই বসবাস করছেন। 

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কোম্পানীগঞ্জের ডেপুটি কমান্ডার এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হক অসচ্ছল, নিরীহ, ও অসহায়। তাঁকে ‘বীর নিবাস’ পাওয়ার জন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে সুপারিশ করেছিলাম। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ দাবি নিয়ে মার্কিন চাপ, বাংলাদেশের সায় ৩ শর্তে

গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার

রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসে তৈরি হচ্ছে মানিব্যাগ, জুতা

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে চীনের তৈরি অত্যাধুনিক মাল্টিরোল অ্যাটাক হেলিকপ্টার জেট-১০

রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে জামায়াত নেতার সুপারিশ, উপ-উপাচার্যের ফেসবুক থেকে ভাইরাল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত