কক্সবাজার প্রতিনিধি
মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে কক্সবাজারে উখিয়া সীমান্তে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলে মোস্তাফিজুর রহমানের (৪৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তের খালে ১৭ দিন আগে তিনি নিখোঁজ হন। স্বজনদের দাবি, আরাকান আর্মির সদস্যরা জেলে মোস্তাফিজকে অপহরণ করেছিল।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান পাড়ার মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে। তিনি পেশায় জেলে ও দিনমজুর।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল রোববার রাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল সীমান্তের নাফ নদীর তীরের বেড়িবাঁধ থেকে নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই মো. আমির হোসেন বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন জেলে। একপর্যায়ে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সদস্যরা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই দিন ঘটনাস্থলের আশপাশের থাকা অন্য জেলেরা বিষয়টি তাদের জানায়।
আমির হোসেন আরও বলেন, বিষয়টি বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে জানানো হয়। নিখোঁজের পর থেকে নানাভাবে খোঁজ নিয়েও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। অপহরণকারীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। স্থানীয় চিংড়ি চাষিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে বিজিবির সহায়তায় পুলিশ বেড়িবাঁধে পড়ে থাকা অবস্থায় মোস্তাফিজের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
মোস্তাফিজুরের শরীরে গুলি বা আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই জানিয়ে ওসি শামীম হোসেন বলেন, নিহতের পায়ে রশি বা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। কারা, কী কারণে এ জেলেকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত নয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে তুমব্রু রাইট ও লেফট ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই থেকে তিন দিন তীব্র লড়াইয়ের পর তুমব্রু ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি দখলে নেয় আরাকান আর্মি। সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে ৩৩০ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনা ও বেসামরিক নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের গত বৃহস্পতিবার সাগর পথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সংঘাতের আঁচ লাগে এপারের বান্দরবানের উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে।
৫ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী এবং অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। এ ছাড়া গোলাগুলিতে আহত হন আরও ৯ জন।
মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে কক্সবাজারে উখিয়া সীমান্তে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলে মোস্তাফিজুর রহমানের (৪৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তের খালে ১৭ দিন আগে তিনি নিখোঁজ হন। স্বজনদের দাবি, আরাকান আর্মির সদস্যরা জেলে মোস্তাফিজকে অপহরণ করেছিল।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান পাড়ার মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে। তিনি পেশায় জেলে ও দিনমজুর।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল রোববার রাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল সীমান্তের নাফ নদীর তীরের বেড়িবাঁধ থেকে নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই মো. আমির হোসেন বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন জেলে। একপর্যায়ে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সদস্যরা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই দিন ঘটনাস্থলের আশপাশের থাকা অন্য জেলেরা বিষয়টি তাদের জানায়।
আমির হোসেন আরও বলেন, বিষয়টি বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে জানানো হয়। নিখোঁজের পর থেকে নানাভাবে খোঁজ নিয়েও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। অপহরণকারীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। স্থানীয় চিংড়ি চাষিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে বিজিবির সহায়তায় পুলিশ বেড়িবাঁধে পড়ে থাকা অবস্থায় মোস্তাফিজের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
মোস্তাফিজুরের শরীরে গুলি বা আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই জানিয়ে ওসি শামীম হোসেন বলেন, নিহতের পায়ে রশি বা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। কারা, কী কারণে এ জেলেকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত নয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে তুমব্রু রাইট ও লেফট ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই থেকে তিন দিন তীব্র লড়াইয়ের পর তুমব্রু ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি দখলে নেয় আরাকান আর্মি। সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে ৩৩০ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনা ও বেসামরিক নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের গত বৃহস্পতিবার সাগর পথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সংঘাতের আঁচ লাগে এপারের বান্দরবানের উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে।
৫ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী এবং অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। এ ছাড়া গোলাগুলিতে আহত হন আরও ৯ জন।
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় কাজী নিজাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
৩ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার সময় গতকাল মঙ্গলবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর ১২ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। অজ্ঞাতনামা আরো ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৭ মিনিট আগেসারা দেশে নারী নির্যাতন, নিপীড়ন ও বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে এক জুম্ম কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে ঢাকায় অবস্থানরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ছাত্র সমাজ। সমাবেশে ঢাকায় তাদের যেসব সংগঠন রয়েছে, সেগুলো অংশগ্রহণ করেছে...
১৫ মিনিট আগেইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল। প্রধান অতিথি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। ইফতার অনুষ্ঠানে তাঁকে বরণ করে নেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা দলের এক কর্মী মারা গেছেন। তাঁর নাম গণিউল ইসলাম গণি।
২৯ মিনিট আগে