Ajker Patrika

চাঁদপুরে ২৪ ঘণ্টায় জেলার সর্বোচ্চ ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৫৮
চাঁদপুরে ২৪ ঘণ্টায় জেলার সর্বোচ্চ ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

চাঁদপুর জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় চলতি বছর সর্বোচ্চ ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। 

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়েব বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০ মিলিমিটার এবং সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এ বছর জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৭৭ মিলিমিটার। এর আগে গত ২৭ মে জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। 

আজ শনিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত। শহর ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ মহল্লার সড়কে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে শহরের নাজিরপাড়া, মিশন রোড আশ্রম এলাকা, প্রফেসরপাড়া, মমিনপাড়া, গুয়াখোলা, চিত্রলেখা মোড়, পালপাড়া, আলিমপাড়া, আদালতপাড়া, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, গাজী সড়ক, মাদ্রাসা সড়কে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা। এসব এলাকায় সড়কের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। 

মিশন রোড এলাকার অটোরিকশাচালক রেদওয়ান ইসলাম বলেন, আজ ভোর ৬টায় সড়কে নামেন। বৃষ্টির কারণে লোকজন বাসাবাড়িতে থেকে বের হয়নি। যাত্রীর অপেক্ষায় আছেন। সড়কে যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম জানালেন তিনি। 

শহরের নাজিরপাড়ার মামুনুর রশিদ বলেন, বৃষ্টির পানি তাঁদের বাসার নিচতলায় হাঁটু পরিমাণ। গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

পালপাড়া এলাকার মাজহারুল ইসলাম জানান, চলতি বছর টানা বৃষ্টি হলেও গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। তাদের বাসায়ও পানি হাঁটু পরিমাণ। 

শহরের শপথ চত্বর এলাকায় মাঠা বিক্রি করেন বিকাশ। তিনি জানান, আজ সকাল ৬টায় এসে মাঠা বিক্রির জন্য বসেছেন। বৃষ্টির কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো ক্রেতা আসেনি। মাঠা বিক্রিতেই তাঁর সংসার চলে। যে কারণে বৃষ্টিতেও ঘরে বসে থাকতে পারেননি। 

সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলগী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তার বলেন, টানা বৃষ্টিতে বাড়ির চারপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সড়কের অবস্থাও বেহাল। 

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। থেমে থেমে সারা রাত বৃষ্টি ও বজ্রপাত অব্যাহত ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে শহরের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল কমে যায়। অনেকেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসাবাড়িতে চলে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত