সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। সমৃদ্ধি, স্বপ্নের নতুন এক হাতছানি। এই টানেল নির্মাণের ‘নিপুণ শিল্পী’ প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী। নানা প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তিনি নতুন এক ইতিহাস তৈরির সাক্ষী হলেন।
হারুনুর রশীদ ১৯৭১ সালে পটিয়ার রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৭৯ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) পাস করেন তৎকালীন চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থকে। পরে চট্টগ্রাম ওয়াসায় যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে বিসিএস দিয়ে সড়ক ও জনপথের (সওজ) সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যান তিনি।
দায়িত্বকালে হারুনুর রশীদ বিভিন্ন সেতু, কালভার্ট ও রাস্তা নির্মাণে নেতৃত্ব দেন। বরিশালে দপদপিয়া সেতু ও কর্ণফুলী ব্রিজ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছড়ায় প্রকৌশলীসহ সব মহলে। ২০১৫ সালে তিনি সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে যান। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে টানেল উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে সরকার তাঁকে দায়িত্ব পালনে নিয়ে আসে। ২০১৮ সালে অবশ্য তিনি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করে আজও আছেন।
খননকাজে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন কি না প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানেল খননের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। প্রথমে আমরা দেখে দেখে এই প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছি।’
এই প্রকৌশলী বলেন, ‘প্রথম টিউব খননকালে ৫ শতাংশ কাজ হওয়ার পর খননযন্ত্রে একটি ঊর্ধ্বগতি প্রবণতা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে টানেল সেগমেন্ট বা রিং স্থাপনে বাধার সৃষ্টি হয়। আমরা সেটা ওভারকাম করি। এরপর খননকাজ ৫০ শতাংশ হওয়ার পর যখন আমরা টানেলের একদম গভীরতম স্থানে যাই, তখন টানেল বোরিং মেশিন বা টিবিএম শিল্ডে একটু পরিবর্তন লক্ষ করি। ফলে আমাদের কাজ ব্যাহত হয়। পরে বিশেষজ্ঞদের সমন্বিত তৎপরতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়।’
টানেল নির্মাণে সম্পৃক্ত থেকে ইতিহাসের অংশ হওয়ার অনুভূতি কী জানতে চাইলে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘গর্ববোধ করছি। সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় এই মহাযজ্ঞ সম্পন্ন করতে পেরেছি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা, যিনি আমাকে এই প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই কারণে প্রকৌশলী সমাজের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
১০০ বছরের স্থায়িত্ব মাথায় নিয়ে করা এই টানেলে কাজ করেছেন চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসি) ২২৫ জন ও বাংলাদেশের ৯২০ জন। তাঁদের মধ্যে আবার এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ১৪ প্রকৌশলীকে কাজে লাগানো হয় বলে জানায় সেতু কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ জানান, ১০০ বছরের স্থায়িত্বের কথা মাথায় রেখেই বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। সমৃদ্ধি, স্বপ্নের নতুন এক হাতছানি। এই টানেল নির্মাণের ‘নিপুণ শিল্পী’ প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী। নানা প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তিনি নতুন এক ইতিহাস তৈরির সাক্ষী হলেন।
হারুনুর রশীদ ১৯৭১ সালে পটিয়ার রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৭৯ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) পাস করেন তৎকালীন চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থকে। পরে চট্টগ্রাম ওয়াসায় যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে বিসিএস দিয়ে সড়ক ও জনপথের (সওজ) সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যান তিনি।
দায়িত্বকালে হারুনুর রশীদ বিভিন্ন সেতু, কালভার্ট ও রাস্তা নির্মাণে নেতৃত্ব দেন। বরিশালে দপদপিয়া সেতু ও কর্ণফুলী ব্রিজ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছড়ায় প্রকৌশলীসহ সব মহলে। ২০১৫ সালে তিনি সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে যান। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে টানেল উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে সরকার তাঁকে দায়িত্ব পালনে নিয়ে আসে। ২০১৮ সালে অবশ্য তিনি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করে আজও আছেন।
খননকাজে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন কি না প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানেল খননের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। প্রথমে আমরা দেখে দেখে এই প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছি।’
এই প্রকৌশলী বলেন, ‘প্রথম টিউব খননকালে ৫ শতাংশ কাজ হওয়ার পর খননযন্ত্রে একটি ঊর্ধ্বগতি প্রবণতা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে টানেল সেগমেন্ট বা রিং স্থাপনে বাধার সৃষ্টি হয়। আমরা সেটা ওভারকাম করি। এরপর খননকাজ ৫০ শতাংশ হওয়ার পর যখন আমরা টানেলের একদম গভীরতম স্থানে যাই, তখন টানেল বোরিং মেশিন বা টিবিএম শিল্ডে একটু পরিবর্তন লক্ষ করি। ফলে আমাদের কাজ ব্যাহত হয়। পরে বিশেষজ্ঞদের সমন্বিত তৎপরতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়।’
টানেল নির্মাণে সম্পৃক্ত থেকে ইতিহাসের অংশ হওয়ার অনুভূতি কী জানতে চাইলে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘গর্ববোধ করছি। সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় এই মহাযজ্ঞ সম্পন্ন করতে পেরেছি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা, যিনি আমাকে এই প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই কারণে প্রকৌশলী সমাজের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
১০০ বছরের স্থায়িত্ব মাথায় নিয়ে করা এই টানেলে কাজ করেছেন চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসি) ২২৫ জন ও বাংলাদেশের ৯২০ জন। তাঁদের মধ্যে আবার এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ১৪ প্রকৌশলীকে কাজে লাগানো হয় বলে জানায় সেতু কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ জানান, ১০০ বছরের স্থায়িত্বের কথা মাথায় রেখেই বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
৩২ মিনিট আগেটঙ্গীতে প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমায় ইয়াকুব আলী (৬০) নামের আরেক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইজতেমা ময়দানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ইয়াকুব আলী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাধবপুর গ্রামের নওয়াব উল্লাহ ছেলে।
৩৪ মিনিট আগেরাজধানীর আদাবরে গত বৃহস্পতিবার দিনদুপুরে ছিনতাইকারীদের চাপাতির কোপে সুমন শেখ (২৬) নামে এক যুবকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ভুক্তভোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
৩৫ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
২ ঘণ্টা আগে