সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্র আবুল হাসান শাহীন (২১)। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে আহত হন শাহীন। একটি ছররা গুলি বিদ্ধ হয় তাঁর গলায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েও সেই গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। দরিদ্র বাবা তাঁর চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। তাই টিউশনির টাকায় সামান্য কিছু ওষুধ কিনে শুধু যন্ত্রণা কমানোর চেষ্টা করছেন শাহীন। মাদ্রাসার এই ছাত্রের সঙ্গে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পুরো পরিবার।
শাহীন উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া গ্রামের ফল ব্যবসায়ী এনায়েত উল্যাহর ছেলে। তিনি ফেনী আলিয়া মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গলায় গুলি নিয়েই তিনি ফাজিল প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৪ আগস্ট দুপুরে শাহীন মহিপাল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা ছিলেন মহিপাল উড়ালসড়কের পশ্চিম পাশে। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ফেনী শহরের ট্রাংক রোড থেকে গিয়ে মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে আবুল হাসানসহ ৫০ জনের বেশি ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন।
অন্য আন্দোলনকারীরা শাহীনসহ গুলিবিদ্ধ অন্যদের উদ্ধার করে ফেনীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেন। শাহীনকে নেওয়া হয় ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে দুদিন চিকিৎসার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আবুল হাসানের গলার গুলিটি এ মুহূর্তে বের করতে গেলে অন্য রগ কাটতে হবে। এতে তাঁর বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি কোনো হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু টাকার অভাবে এনায়েত উল্যাহ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। অর্থের অভাবে গুলি বের করতে না পারায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আমার পাঁচ ছেলে। আবুল হাসান তৃতীয়। সামান্য ফলের দোকান করে সবার খাবার জোগাড় করা অনেক কষ্টের। কী করব বুঝতে পারছি না। চিকিৎসা দিয়ে গুলি বের করা দরকার। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাব? ছেলে টিউশনি করে নিজের ওষুধের খরচ কোনোরকমে চালাচ্ছে।’
শাহীন বলেন, ‘গলায় গুলি থাকায় সব সময় কাঁধে যন্ত্রণা হয়। শুয়ে পড়লে গলার নিচে ব্যথা হয়। টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারছি না। অনেক হাসপাতালে গিয়েছি। কোনো হাসপাতালে গুলি বের করার যন্ত্রপাতি নেই, আবার কোথাও চিকিৎসক নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তালিকা করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহতদেরও পর্যায়ক্রমে চিকিৎসাসহ সহায়তা করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্র আবুল হাসান শাহীন (২১)। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে আহত হন শাহীন। একটি ছররা গুলি বিদ্ধ হয় তাঁর গলায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েও সেই গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। দরিদ্র বাবা তাঁর চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। তাই টিউশনির টাকায় সামান্য কিছু ওষুধ কিনে শুধু যন্ত্রণা কমানোর চেষ্টা করছেন শাহীন। মাদ্রাসার এই ছাত্রের সঙ্গে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পুরো পরিবার।
শাহীন উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া গ্রামের ফল ব্যবসায়ী এনায়েত উল্যাহর ছেলে। তিনি ফেনী আলিয়া মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গলায় গুলি নিয়েই তিনি ফাজিল প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৪ আগস্ট দুপুরে শাহীন মহিপাল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। তাঁরা ছিলেন মহিপাল উড়ালসড়কের পশ্চিম পাশে। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ফেনী শহরের ট্রাংক রোড থেকে গিয়ে মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে আবুল হাসানসহ ৫০ জনের বেশি ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন।
অন্য আন্দোলনকারীরা শাহীনসহ গুলিবিদ্ধ অন্যদের উদ্ধার করে ফেনীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেন। শাহীনকে নেওয়া হয় ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে দুদিন চিকিৎসার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আবুল হাসানের গলার গুলিটি এ মুহূর্তে বের করতে গেলে অন্য রগ কাটতে হবে। এতে তাঁর বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি কোনো হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু টাকার অভাবে এনায়েত উল্যাহ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। অর্থের অভাবে গুলি বের করতে না পারায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আমার পাঁচ ছেলে। আবুল হাসান তৃতীয়। সামান্য ফলের দোকান করে সবার খাবার জোগাড় করা অনেক কষ্টের। কী করব বুঝতে পারছি না। চিকিৎসা দিয়ে গুলি বের করা দরকার। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাব? ছেলে টিউশনি করে নিজের ওষুধের খরচ কোনোরকমে চালাচ্ছে।’
শাহীন বলেন, ‘গলায় গুলি থাকায় সব সময় কাঁধে যন্ত্রণা হয়। শুয়ে পড়লে গলার নিচে ব্যথা হয়। টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারছি না। অনেক হাসপাতালে গিয়েছি। কোনো হাসপাতালে গুলি বের করার যন্ত্রপাতি নেই, আবার কোথাও চিকিৎসক নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তালিকা করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহতদেরও পর্যায়ক্রমে চিকিৎসাসহ সহায়তা করা হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
২ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৩ ঘণ্টা আগে