Ajker Patrika

লক্ষ্মীপুরে কোরবানির পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর 
লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলায় প্রায় তিন হাজার ছোট-বড় খামারে চলছে কোরবানির পশুর পরিচর্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলায় প্রায় তিন হাজার ছোট-বড় খামারে চলছে কোরবানির পশুর পরিচর্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের খামারগুলোতে কোরবানির পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খামারিরা। তবে গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও পশুর অতিরিক্ত সরবরাহ থাকায় দাম নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তাঁরা। খামারিরা চান দেশীয় চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে যেন গরু না আসে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, কোরবানির জন্য জেলায় পশুর চাহিদা ৮৮ হাজার হলেও এবার লালন-পালন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৬টি পশু, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার বেশি। জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার ছোট-বড় খামারে চলছে কোরবানির পশুর পরিচর্যা। এর মধ্যে সদর উপজেলার বালাইশপুরের আদর্শ গরুর খামারটি উল্লেখযোগ্য।

খামারমালিক ফারুকুর রহমান জানান, তার খামারে দেশীয় জাতের দুই শতাধিক গরু রয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে এসব গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। শুধু এই খামারেই নয়, জেলার অন্যান্য খামারেও চলছে অতিরিক্ত যত্ন, পরিচর্যা ও পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা।

তবে খামারিরা বলছেন, গেল বছরের তুলনায় গোখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত পশু থাকায় গরুর সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তারা জানান, গরুগুলোকে পুষ্টিকর খাবার যেমন খৈল, ভুসি, ছোলা, সবুজ ঘাস ও গম খাওয়ানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে, কোনো হরমোন বা স্টেরয়েড ব্যবহার করা হচ্ছে না।

অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন, গরুর বাজারে এখনই গত বছরের তুলনায় প্রতি পশুতে ১৫-২০ হাজার টাকা বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। অনেকেই ইতিমধ্যে গরু কিনলেও বেশির ভাগ ক্রেতা ঈদের কদিন আগেই বাজারে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

জেলার মজুত অনুযায়ী পশুর কোনো ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু ঢুকলে দেশীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে সতর্ক করেছেন তারা। এ বিষয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র জানান, খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জেলার চাহিদার তুলনায় পশু বেশি থাকায় ঈদে ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। পাশাপাশি ভারত থেকে গরু আসা ঠেকাতে কড়া নজরদারিতে রয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। কোরবানির সময় প্রতিটি হাটে পশু চিকিৎসক মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত