Ajker Patrika

কক্সবাজারে এতিমখানার শিশুকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজার প্রতিনিধি
মোহাম্মদ তকী তাযওয়া। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ তকী তাযওয়া। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকা থেকে মোহাম্মদ তকী তাযওয়ার নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে শাহ জব্বারিয়া এতিমখানার পাশে রাস্তার মোড় থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়।

শিশুটির পরিবার বলছে, বিকেলে বার্মিজ মার্কেটে নাশতার জন্য বের হলে তকী তাযওয়ারকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

অপহৃত শিশু মোহাম্মদ তকী তাযওয়ার (১২) চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদার পাড়ার মোহাম্মদ নোমানে ছেলে। সে শাহ জব্বারিয়া এতিমখানার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় তকীর চাচা মাওলানা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল রোববার কক্সবাজার সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মাওলানা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা রোববার সন্ধ্যার দিকে তকীর ভাইয়ের মোবাইল ফোনে কল করে এক লাখ মুক্তিপণ দাবি করেছে। এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোনে এই টাকা না পেলে তকীকে হত্যা বা পাচার করে দেবে বলে হুমকি দেয়। এ অবস্থায় তকীর জীবন নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত।

শিশুটির বড় ভাই জানান, তকীকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে গতকাল রোববার দুপুরে একটি বিকাশ নম্বরে মুক্তিপণ নেয়। এরপর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের রামুর গর্জনি এলাকায় যেতে বলে। পরে সেখানে গেলে অপহরণকারীরা শিশুটিকে ফেরত না দিয়ে আরও টাকা দাবি করে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান আজকের পত্রিকাকে জানান, শিশুটির পরিবারের দেওয়া অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে পুলিশের টিম শিশুটিকে উদ্ধারে মাঠে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ করল কানাডা

কাল থেকে অনলাইনেই মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি কার্ড রিচার্জ

আজকের রাশিফল: একদিকে প্রেম ডাকছে, অন্যদিকে পুরোনো বন্ধুর বকেয়া পাওনার মেসেজ

বরিশালে হেলে পড়েছে ৫ তলা ভবন, এলাকায় আতঙ্ক

ভারতীয় নারীকে আটকে রাখল সাংহাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশ দাবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

কর্ণফুলী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আনোয়ারা থানা। ছবি: সংগৃহীত
আনোয়ারা থানা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের পাঠনীকোটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম ফজল করিম (৩৫)। তিনি বাঁশখালী উপজেলার দাড়িয়াপাড়া ফতের বাপের বাড়ির মফজল আহম্মদের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল রোববার গভীর রাতে পরৈকোড়া ইউনিয়নের পাঠনীকোটা নুর মোহাম্মদের বাড়িতে গরুচোরের দল হানা দেয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারটির লোকজন চোরদের উপস্থিতি টের পেলে তাদের ধাওয়া করেন। এরপর এলাকাবাসী সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে পিটুনি দেন। এতে ফজল করিমের মৃত্যু হয়।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে গরুচোর সন্দেহে পিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, ভিকটিমের মৃত্যুর ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া আইন নিজের হাতে তুলে যাঁরা সংগঠিত ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ করল কানাডা

কাল থেকে অনলাইনেই মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি কার্ড রিচার্জ

আজকের রাশিফল: একদিকে প্রেম ডাকছে, অন্যদিকে পুরোনো বন্ধুর বকেয়া পাওনার মেসেজ

বরিশালে হেলে পড়েছে ৫ তলা ভবন, এলাকায় আতঙ্ক

ভারতীয় নারীকে আটকে রাখল সাংহাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশ দাবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিয়ানমারে পাচারের সময় ৪৫০ বস্তা সিমেন্টসহ আটক ৯

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
সিমেন্ট পাচারের অভিযোগে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিমেন্ট পাচারের অভিযোগে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাগরপথে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচারের সময় ৯ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। আজ সোমবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র এলাকায় একটি ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ৪৫০ বস্তা সিমেন্টসহ তাঁদের আটক করা হয়। আজ বিকেলে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার নূর হোসেন, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার নিজাম উদ্দীন, একই জেলার বড়ুড়া এলাকার মানিক হোসেন, ভোলার চরফ্যাশন এলাকার মো. জামাল, একই জেলার দক্ষিণ আইচ এলাকার মো. শামিম, অনুমদ্দিন এলাকার মো. ফারুক, লেত্রা এলাকার মো. সবুজ, মনপুরা এলাকার আল আমিন ও মো. আহসান।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সিয়াম-উল-হক জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড সদস্যরা সন্দেহজনক একটি ফিশিং ট্রলার থামিয়ে তল্লাশি চালান। এ সময় ট্রলারটি থেকে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করা ৪৫০ বস্তা সিমেন্ট উদ্ধার করা হয়। এর বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ট্রলারটিতে থাকা ৯ জন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, মাদকের বিনিময়ে মিয়ানমারে বাংলাদেশি সিমেন্ট পাচার করা হচ্ছে। জব্দ করা বোট, সিমেন্টসহ আটক পাচারকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ করল কানাডা

কাল থেকে অনলাইনেই মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি কার্ড রিচার্জ

আজকের রাশিফল: একদিকে প্রেম ডাকছে, অন্যদিকে পুরোনো বন্ধুর বকেয়া পাওনার মেসেজ

বরিশালে হেলে পড়েছে ৫ তলা ভবন, এলাকায় আতঙ্ক

ভারতীয় নারীকে আটকে রাখল সাংহাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশ দাবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মান্দায় ৬০ বস্তা সার জব্দ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপনে মজুত চেষ্টার অভিযোগে নওগাঁর মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি এলাকা থেকে ৬০ বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদ মোড় থেকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সারগুলো জব্দ করে স্থানীয় প্রশাসন।

ভটভটির চালক শাহিন আলম বলেন, ‘সারগুলো হোসনপুর এলাকার কৃষক ওবাইদুল হক দেলুয়াবাড়ি বাজারের বিসিআইসি ডিলার আশরাফ ট্রেডার্স ও খুচরা ব্যবসায়ী রবিনের কাছ থেকে কিনেছেন। সেগুলো তালন্দ এলাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনটি ভটভটি ভাড়া করেন কৃষক ওবাইদুল হক। পথে ভারশোঁ এলাকায় সেগুলো আটক করে সেনাবাহিনী ও প্রশাসন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, ‘সারগুলো রাজশাহীর তানোর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এমন সংবাদে সেনাবাহিনী ও এসিল্যান্ডের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে জব্দ করা ৪০ বস্তা এমওপি ও ২০ বস্তা টিএসপি সার কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তদন্ত করে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাবিল নওরোজ বৈশাখ বলেন, জব্দ করা সারগুলো কৃষি কর্মকর্তার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ করল কানাডা

কাল থেকে অনলাইনেই মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি কার্ড রিচার্জ

আজকের রাশিফল: একদিকে প্রেম ডাকছে, অন্যদিকে পুরোনো বন্ধুর বকেয়া পাওনার মেসেজ

বরিশালে হেলে পড়েছে ৫ তলা ভবন, এলাকায় আতঙ্ক

ভারতীয় নারীকে আটকে রাখল সাংহাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশ দাবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আলোচনায় বিএনপি নেতা আযম খান

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ০৮
সখীপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
সখীপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুক্তিযুদ্ধে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়ে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘আমি নিজে যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা, সারা জীবন আমি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করব।’ গতকাল রোববার রাতে সখীপুর সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় এক নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তাঁর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। ফেসবুকে কয়েকটি আইডি থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে তৈরি করা ভিডিও শেয়ার করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সখীপুর উপজেলার একাধিক ব্যক্তি জানান, আহমেদ আযম খান দীর্ঘদিন ধরে সখীপুর-বাসাইলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা, এর আগে তাঁরা কখনো শোনেননি। এ সময় তাঁরা যোগ করেন, হয়তো তাঁদের জানার মধ্যে ভুল থাকতে পারে।

তবে আজ সোমবার সখীপুর উপজেলার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমি সক্রিয় আঞ্চলিক (বাসাইল অঞ্চলের) সংগঠকদের মধ্যে একজন ছিলাম। আমি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই তখনকার আমাদের যিনি ছাত্রনেতা ছিলেন, খন্দকার আব্দুল বাতেনের সঙ্গে।

‘আমরা যাঁরা খন্দকার আব্দুল বাতেনের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিলাম, তাঁদের কেউই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতাপ্রাপ্ত নই এবং তালিকাভুক্তও নই। কারণ উনি (আব্দুল বাতেন) কোনো স্বীকৃত সাবসেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। আমরা তখন তুখোড় ছাত্ররাজনীতি করেছি, এই দেশ স্বাধীনের জন্য ভূমিকা পালন করেছি। কোনো ভাতার জন্য চিন্তা করে এসব করিনি।’

আযম খান আরও বলেন, ‘এর আগে আওয়ামী লীগের সময়েও আমি টক শোতে অনেকবার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলাতে ডিজিএফআইয়ের কথা শুনেছি—তাঁরা বাসাইলে ও সখীপুরে তদন্ত করতে এসেছে যে—আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি কি-না। কিন্তু আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এবং মুক্তিযুদ্ধের একজন আঞ্চলিক সংগঠকও ছিলাম।’

অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘যাঁরা এই প্রজন্মের, তাঁরা অনেকেই হয়তো চেনেন না। আজকে এই কথা বলতে হচ্ছে আমার মুখ থেকে, এটা অনেক কষ্টের, কারণ, মুক্তিযোদ্ধা হয়ে কোনো দিন ভাতা নিইনি। পত্রপত্রিকায় দেখি লাখ-লাখ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিচ্ছে।

‘আর আমি জেনুইন (প্রকৃত) মুক্তিযোদ্ধা হয়েও অনেক টক শোতে বলেছি—আমি ভাতাপ্রাপ্ত নই, কারণ, আমি তালিকাভুক্ত নই। আমরা যাঁরা বাতেন ভাইয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি, অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা, তাঁরা কেউই ভাতাপ্রাপ্ত নই।’

কোন এলাকায় যুদ্ধ করেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইলের পশ্চিম এলাকা, বাতেন ভাইয়ের যেহেতু সামরিক প্রশিক্ষণ ছিল না, আমরা বিচ্ছিন্নভাবেই কিছু যুদ্ধ করেছি।

‘কারণ, আমরা মূলত রাজনৈতিক কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ট্রেনিং নিতে আমরা ভারতে যাইনি, আমাদের ওই রকম প্রশিক্ষণ ছিল না, আমাদের যিনি নেতা, বাতেন ভাই, উনারও ছিল না, আমরা মূলত বিচ্ছিন্ন কিছু যুদ্ধ করেছি। শেষ দিকে অবশ্যই, শেষ তিন মাসে বাসাইলে সামাদ গামা নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, ভূঞাপুরে তাঁর বাড়ি ছিল, তাঁর সঙ্গেও কিছুদিন যুদ্ধ করেছি।’

আযম খান আরও বলেন, ‘এগুলো সবই করেছি দেশপ্রেম থেকে। মুক্তিযুদ্ধের পরে কোথাও আমি কারও সঙ্গে মুক্তিবার্তায় আমার নামটা থাকুক, আমি ভাতা পাই—এমন কথা বলি নাই, এই চিন্তায় মুক্তিযুদ্ধ করি নাই।’

এর আগে গত বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আযম খানের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মণ্ডলকে হুমকি ও আপত্তিকর ভাষায় কথা বলার অভিযোগ ওঠে।

৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রোববার ভূঞাপুরসহ টাঙ্গাইল সদর ও সখীপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

ওই অডিওতে আহমেদ আযম খানকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি আমার নির্বাচনী এলাকায় কমিটি করবেন আর আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না? আপনার বাড়ি কোথায়? আপনার সিএস আরএস কী। আপনি আমার নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত করবেন, এটা করতে দেওয়া হবে না। খামোশ। আপনার পিঠের চামড়া থাকবে না। কীভাবে আপনি বাসাইল আসেন দেখব। ফাজিলের বাচ্চা।’

তবে ছড়িয়ে পড়া অডিওটি এডিট বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা আযম খান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অডিওটি এআই দিয়ে এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি মহল আমার নির্বাচনী প্রচারণাকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ করল কানাডা

কাল থেকে অনলাইনেই মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি কার্ড রিচার্জ

আজকের রাশিফল: একদিকে প্রেম ডাকছে, অন্যদিকে পুরোনো বন্ধুর বকেয়া পাওনার মেসেজ

বরিশালে হেলে পড়েছে ৫ তলা ভবন, এলাকায় আতঙ্ক

ভারতীয় নারীকে আটকে রাখল সাংহাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশ দাবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত